আমিন বাজারের "বাংলা বসতি"তে পিংক সিটির রজত জয়ন্তী উদযাপন
-
-
|

ছবি: সংগৃহীত
পিংক সিটি (আইসিএস) বিজনেস গ্রুপের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে "এ মাটি আমার এ জমিন আমার" স্লোগান সামনে রেখে সাভারের আমিন বাজার এলাকায় অত্যাধুনিক ডুপ্লেক্স সিটি "বাংলা বসতি" (রিভেইরা পার্ক সিটিতে উদযাপিত হয়েছে প্রি-সিলভার জুবলি ফেস্ট(রজত জয়ন্তী)।
টেকসই জীবনযাপনের সুবিধা দেয়ার প্রত্যয়ে ''বাংলা বসতি" যাত্রা শুরু করেছে। আমিন বাজার ও প্রস্তাবিত ঢাকা হেমায়েতপুর মেট্রো রেল লাইনের পাশেই গড়ে তোলা হচ্ছে আধুনিক এই টাউনশিপ প্রকল্প। ডাউন পেমেন্টের পর বাড়িভাড়ার সমান কিস্তিতে গ্রাহকরা স্বপ্নের আবাসন গড়তে পারবেন এই প্রকল্পে।
শুক্রবার (২১শে ফেব্রুয়ারী) বিকেলে ঢাকার অদূরে আমিনবাজার এ অবস্থিত একমাত্র অত্যাধুনিক ডুপ্লেক্স সিটি "বাংলা বসতি" রিভেইরা পার্ক সিটিতে প্রি-সিলভার জুবলি ফেস্ট (রজতজয়ন্তীর) শুভ উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন "বাংলা বসতি"র চেয়ারম্যান মো.সালাহ উদ্দিন,কো-চেয়ারম্যান মিসেস সালাহউদ্দিন, ম্যানেজিং ডিরেক্টর, সিএমও মোঃ সাদ্দাম হোসেন ও হেড অফ বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ইসমাইল হোসেন ফয়সাল।
প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়, ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট পরিশোধ করলে গ্রাহকদের ছাফ-কবলা দলিলের মাধ্যমে জমির মালিকানা বুঝিয়ে দেয়া হবে। পরবর্তী পাঁচ বছরে বাড়ি ভাড়ার সমমানের কিস্তি পরিশোধের মাধ্যমেই নান্দনিক ডিজাইনের ডুপ্লেক্স /ট্রিপ্লেক্স বাড়ি নির্মাণের সুযোগ পাবেন গ্রাহকরা।
প্রবাসী ও তরুণ পেশাজীবীদের প্রায়,বাড়ি ভাড়ার সমানুপাতিক কিস্তিতে মাত্র পাঁচ বছরে নিজস্ব জমি ও বাড়ি নির্মাণের সকল সুবিধা দেয়ার প্রয়াসেই গড়ে তোলা হচ্ছে এই টাউনশিপ। একটি বাড়ি কেবল স্থাপনা হিসেবেই নয়,একটি পরিবেশসম্মত স্থাপত্যশৈলী ও সমমনা প্রতিবেশীদের সমন্বয়ে অনন্য একটি কমিউনিটি গড়ে তোলাই এই প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য বলে জানান এর উদ্যোক্তারা। সুযোগ সুবিধার ধরন ভেদে তিন প্রকার আবাসন থাকছে এই প্রকল্পে।
"বাংলা বসতি"র চেয়ারম্যান ও সিইও মো. সালাহ উদ্দিন বলেন, ঢাকায় একটি স্থায়ী ঠিকানা গড়ে নেয়ার স্বপ্ন প্রায় সবারই থাকে। সেই স্বপ্নের সঙ্গে পরিবেশ সচেতনতা ও একটি উপযুক্ত কমিউনিটির চাহিদাও বিদ্যমান বর্তমান গ্রাহকদের কাছে। বিশেষ করে প্রবাসীদের জন্য নিষ্কণ্টক জমিতে বিনিয়োগ করার সুযোগ ও নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে বাড়ি নির্মাণের কাজটি বেশ চ্যালেঞ্জিং। গ্রাহকদের এই দিকগুলো বিবেচনায় নিয়েই যাত্রা শুরু করে "বাংলা বসতি"।
বাংলা বসতির পক্ষ থেকে সিএমও মোঃ সাদ্দাম হোসেন জানান, টাউন হোম,টেরেছ হোম, গার্ডেন হোম,বাংলো/ভিলা ইত্যাদি বিবিধ ধরনের ডুপ্লেক্স, ট্রিপ্লেক্স,কোয়াড্রোপ্লেক্স মডেল বিশিষ্ট একক,দ্বৈত ও সন্নিবেশ বাড়ি রেমিটেন্স যোদ্ধা প্রবাসীদের জন্য বিশেষ ছাড়কৃত মূল্যে বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। গ্রাহকদের পছন্দসই বাড়ি ক্রয়ের জন্য একটি টোকেন মূল্য রিজার্ভেশন ফি হিসেবে দিতে হবে। রিজার্ভেশন এর ৩০ ক্যালেন্ডার দিবসের মধ্যে গ্রাহকদেরকে বাড়িটির ধার্য মূল্যের শতকরা ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ পরিশোধ করে জমির ছাফ কবলা দলিল সম্পাদন করতে হবে। একই সঙ্গে কোম্পানি এবং ব্যাংক বরাবর পাওয়ার অব অ্যাটর্নি ও ব্যাংক মর্টগেজ দলিল সম্পাদন করে দিতে হবে।
পরবর্তীতে ধার্যকৃত মাসিক কিস্তি দেওয়ার মাধ্যমে, ৩,৪ ও ৫ বছরের মধ্যে বাড়িটির নির্মাণ কাজ সমাপ্তি সাপেক্ষে বুঝে নেওয়া বা ভাড়া দেওয়ার ভিত্তিতে অবশিষ্ট দায় পরিশোধ করেই বাড়িটির সম্পূর্ণ মালিকানা গ্রহন করতে পারবেন গ্রাহক।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন "বাংলা বসতি"র প্রকল্পের আর্কিটেক মেজবাহ উদ্দিন এবং সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন ব্র্যান্ড এন্ড মার্কেটিং বিভাগের সহ ব্যবস্থাপক মো.রেজাউল করিম।