জাবিতে হল গেটে তালা, ক্যাম্পাস জুড়ে আতঙ্ক
জাবি উপাচার্য অপসারণ আন্দোলন-
-
|

বিজ্ঞপ্তির পর হল ছাড়তে শুরু করেছে শিক্ষার্থীরা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম


বিজ্ঞপ্তির পর হল ছাড়তে শুরু করেছে শিক্ষার্থীরা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
ছবি: সংগৃহীত
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) মূল ফটকের পাশে ‘জয় বাংলা’ লেখার সময় এক ছাত্রলীগ কর্মীকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। আটক ছাত্রলীগ কর্মী নিজের নাম তানজিল বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) স্নাতক ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের সি ইউনিটের দ্বিতীয় সেশনের ভর্তি পরীক্ষা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে তাকে আটক করে শিক্ষার্থীরা।
আটক হওয়ার পর এ ছাত্রলীগ কর্মী বলেন, আমি শুধু জয় বাংলা লিখেছি। জগন্নাথের দেয়াল ছাড়া আর কোথাও লিখিনি। আমাকে কেউ এটা লিখতে বলেনি আমি নিজেই লিখেছি।
ঘটনার সময় উপস্থিত থাকা শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহরিয়ার বলেন, আমরা ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থীদের মোবাইল দিচ্ছিলাম। এমন সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের ডান পাশে জয় বাংলা লেখার সময় আমরা একজনকে আটক করেছি। আটক পরবর্তী সময়ে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের সহায়তায় পুলিশের কাছে তাকে সোপর্দ করি। আওয়ামী লীগের প্রোগ্রাম চলমান আছে, সেজন্য তারা তাদের কর্মসূচির অংশ হিসেবে এসব কাজ করে দেশের মধ্যে আবারও অরাজকতা সৃষ্টি করার পাঁয়তারা করছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জবি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শরিফ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই এবং আটক যুবককে থানায় নিয়ে আসি। তাকে মোবাইল টীমের মাধ্যমে কোতোয়ালি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং পরিচয় যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, এক ব্যক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের পাশে জয় বাংলা লেখার সময় শিক্ষার্থীরা তাকে আটক করে। পরবর্তীতে আটককৃত ব্যক্তিকে কোতোয়ালি থানা পুলিশের সাথে কথা বলে তাদের কাছে সোপর্দ করি।
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে দেশের বৃহত্তম পত্রিকাভিত্তিক প্রতিযোগিতা ‘দ্য ডেইলি স্টার নিউজপেপার অলিম্পিয়াড’ এর ময়মনসিংহের আঞ্চলিক পর্ব।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন অনুষদের গ্যালারিতে বাকৃবি প্রেসক্লাবের সার্বিক সহযোগিতায় প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই প্রতিযোগিতায় প্রায় ১০০ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেছেন। সকল অংশগ্রহণকারীকে সনদপত্র ও সৌজন্য উপহার দেয়া হয়েছে।
প্রতিযোগিতাটি তৃতীয় শ্রেণি থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য পাঁচটি বিভাগে অনুষ্ঠিত হয়েছে- ক (৩য়-৫ম শ্রেণি), খ (৬ষ্ঠ-৮ম শ্রেণি), গ (৯ম-১০ম শ্রেণি), ঘ (১১শ-১২শ শ্রেণি) এবং ঙ (বিশ্ববিদ্যালয় ও তদূর্ধ্ব)।
এসময় নিউজপেপার অলিম্পিয়াডের ময়মনসিংহ অঞ্চলের ডিভিশনাল কো-অর্ডিনেটর নুসরাত জাহান বলেন, “সাধারণ মানুষের মাঝে গণমাধ্যমের ভূমিকা ও কার্যক্রম সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতেই নিউজপেপার অলিম্পিয়াডের আয়োজন করা হয়েছে। পত্রিকা পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার মাধ্যমে মানুষের জ্ঞানচর্চা ও বিশ্লেষণী দক্ষতা বৃদ্ধি পায়। এই প্রতিযোগিতা শিক্ষার্থীদের মাঝে সংবাদপত্র পাঠের আগ্রহ তৈরি করবে এবং গণমাধ্যম সম্পর্কে আরও গভীর ধারণা দিতে সহায়ক হবে।”
উল্লেখ্য, ‘দ্য ডেইলি স্টার নিউজপেপার অলিম্পিয়াড’ এর জাতীয় পর্বের বিজয়ীদের জন্য রয়েছে ১ লাখ টাকা পুরস্কার, মিডিয়া ক্যাম্পে অংশগ্রহণের সুযোগ এবং বিভিন্ন আকর্ষণীয় পুরস্কার। এছাড়া, প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীরা দেশের খ্যাতনামা গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সুযোগও পাবেন।
ছবি: সংগৃহীত
দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা সাফল্যের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। তারা অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা, মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টিং, ডাটা জার্নালিজম, নিউজ প্রোডাকশন, নিউজ প্রেজেন্টেশন ও ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরিতেও রাখছেন উল্লেখযোগ্য অবদান।
শিক্ষার্থীদের এই সাফল্য উদযাপনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ দৃঢ় করতে বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়টির সিদ্ধেশ্বরী ক্যাম্পাসে আয়োজিত হয়েছে “স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি মিডিয়া প্রফেশনালস গেট টুগেদার-২০২৫”।
সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ড. ফারাহনাজ ফিরোজ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইউনুছ মিয়া ও রেজিস্ট্রার আবদুল মতিন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. ফারাহনাজ ফিরোজ বলেন, “গণমাধ্যম একটি চ্যালেঞ্জিং পেশা, যেখানে প্রতিযোগিতা দিনে দিনে বাড়ছে। আমাদের লক্ষ্য শিক্ষার্থীদের সেই প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুত করা। স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় সব সময় যুগোপযোগী শিক্ষা, প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং হাতে-কলমে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ করে দিচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের সাবেক শিক্ষার্থীরা দেশের গণমাধ্যমে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, যা আমাদের গর্বিত করে। ভবিষ্যতেও এই ধারা বজায় রাখতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রয়োজনীয় সব সহায়তা দেবে।”
অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত স্টামফোর্ডের সাবেক শিক্ষার্থীরা তাদের ক্যারিয়ারের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন এবং বর্তমান শিক্ষার্থীদের জন্য দিকনির্দেশনা দেন।
সাবেক শিক্ষার্থীরা বলেন, “প্রতিযোগিতামূলক গণমাধ্যমে টিকে থাকতে হলে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা, প্রযুক্তির ব্যবহার, অনুসন্ধানী দক্ষতা ও মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টিংয়ে পারদর্শী হতে হবে। গণমাধ্যম দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে, তাই শুধু খবর সংগ্রহ নয়, সেটি কীভাবে উপস্থাপন করতে হবে তা জানতে হবে।”
স্টামফোর্ডের শিক্ষার্থীরা ইতিমধ্যে ডিআরইউ রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড, টিআইবি অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা পুরস্কার, ইউনিসেফ মীনা অ্যাওয়ার্ডসহ বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্মাননা অর্জন করেছেন। অনেকেই আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ও উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করছেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মৃত্যুঞ্জয় আচার্য্য, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোশারফ হোসেন মামুন, সহকারী অধ্যাপক সামিয়া আসাদি, সহকারী অধ্যাপক তানিয়া সুলতানা, সহকারী অধ্যাপক শবনম জান্নাতসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা।
জবির ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের পরীক্ষা আজ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবির) ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের পরীক্ষা চলছে। গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিচ্ছেন জবি। তারই ধারাবাহিকতায় ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শেষ হবে আজ।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ বাংলা বাজার সরকারি গার্লস্কুল, ঢাকা সরকারি মুসলিম হাই স্কুলে তিনটি কেন্দ্রে নেওয়া হচ্ছে জবির ভর্তি পরীক্ষা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. গিয়াসউদ্দিন জানিয়েছেন, পরীক্ষা দুটি শিফটে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম শিফট সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত হবার কথা থাকলেও ১৫ মিনিট পিছিয়ে ৯ টা ৪৫ মিনিটে শুরু হয়ে ১০ টা ৪৫ মিনিটে শেষ এবং দ্বিতীয় শিফট দুপুর ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত চলবে।
এবার ৫২০টি আসনের বিপরীতে পরীক্ষায় অংশ নিবেন ২০ হাজার ১১২ জন শিক্ষার্থী। প্রতি আসনের জন্য লড়বেন ৩৯ জন শিক্ষার্থী।
এ বছর বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব নিয়মে ভর্তি পরীক্ষা নিচ্ছে। পরীক্ষার মোট নম্বর ১০০। এর মধ্যে ৭২ নম্বরের পরীক্ষা হবে বহুনির্বাচনী ও লিখিত প্রশ্নের ওপর। বহুনির্বাচনী অংশে ২৪ নম্বর, লিখিত অংশের জন্য ৪৮ নম্বর বরাদ্দ। পাশাপাশি এসএসসি ও এইচএসসি জিপিএর ওপর যথাক্রমে ১২ ও ১৬ নম্বর যুক্ত হবে।
প্রতিযোগিতার এই লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে আসতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার জন্য সকাল থেকেই ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাড়তি নজরদারি রয়েছে।