একটা হারই বদলে দিয়েছে বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সমীকরণ। মাত্র তিন ম্যাচের গ্রুপ পর্ব, যেখানে প্রতিটি দলেরই সমান সুযোগ থাকলেও প্রথম ম্যাচের হার পরিস্থিতিকে কঠিন করে দিয়েছে বাংলাদেশের জন্য। ভারতের বিপক্ষে ৬ উইকেটের হার এখন দলের সামনে তৈরি করেছে নতুন চ্যালেঞ্জ। সেমিফাইনালের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে হলে পরবর্তী দুই ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই।
প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটিং মোটেও ভালো যায়নি। ৫০ ওভারের ম্যাচে ২২৮ রানের সংগ্রহ তেমন প্রতিযোগিতামূলক বলা যায় না, বিশেষ করে দুবাইয়ের মতো ব্যাটারদের সহায়ক উইকেটে। ভারতের বিপক্ষে ব্যাটাররা বড় ইনিংস খেলতে পারেননি, যা ম্যাচের ফলাফলে বড় প্রভাব ফেলেছে।
বল হাতে মোহাম্মদ শামির দুর্দান্ত পারফরম্যান্সই বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপের ভরাডুবির অন্যতম কারণ ছিল। তবে বোলাররা লড়াই করলেও সেই সংগ্রহ জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। ভারতের বিপক্ষে হারের ফলে বাংলাদেশ এখন গ্রুপ পর্বের পয়েন্ট তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে, কেবল রান রেটের কারণে পাকিস্তানের ওপরে।
এই মুহূর্তে গ্রুপের অন্য দলগুলোর অবস্থানও বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। নিউজিল্যান্ড তাদের প্রথম ম্যাচে জয় পেয়েছে, ভারতও একই পথ অনুসরণ করেছে। ফলে বাংলাদেশের সামনে দুটি কঠিন প্রতিপক্ষ অপেক্ষা করছে-নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তান। দুটি ম্যাচই হবে রাওয়ালপিন্ডিতে, যা পাকিস্তানের জন্য কিছুটা বাড়তি সুবিধা এনে দিতে পারে। পরবর্তী দুই ম্যাচের ফলই ঠিক করে দেবে বাংলাদেশ আসর থেকে বিদায় নেবে নাকি সেমিফাইনালে উঠবে।
বাংলাদেশ যদি নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তান-উভয় দলের বিপক্ষে জয় পায়, তাহলে পয়েন্ট হবে চার। তবে ভারত ও নিউজিল্যান্ড যদি আরও একটি করে ম্যাচ জেতে, তাহলে তিন দলের পয়েন্ট হবে সমান। সেক্ষেত্রে সেরা দুই দল নির্ধারণ হবে রান রেটের ভিত্তিতে, যা বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে। অন্যদিকে, যদি বাংলাদেশ একটিমাত্র ম্যাচ জেতে, তাহলে সেমিফাইনালের সমীকরণ আরও কঠিন হয়ে যাবে। কারণ তখন অন্য ম্যাচগুলোর ফলাফলের ওপর নির্ভর করতে হবে।
পাকিস্তান যদি ভারতের বিপক্ষে হেরে যায়, তাহলে বাংলাদেশের সেমিফাইনালে যাওয়ার সুযোগ কিছুটা বাড়বে। তবে কোনো ম্যাচে জয় না পেলে কোনো সমীকরণই কাজে লাগবে না, সরাসরিই বিদায় নিতে হবে।
বাংলাদেশকে সেমিফাইনালে যেতে হলে জয় নিশ্চিত করতেই হবে। একটি জয় পেলেও সম্ভাবনা থাকছে, তবে সেটা নির্ভর করছে নেট রান রেট ও অন্য ম্যাচগুলোর ফলাফলের ওপর।
বাংলাদেশের পরের দুই ম্যাচ
২৪ ফেব্রুয়ারি: প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড
২৭ ফেব্রুয়ারি: প্রতিপক্ষ পাকিস্তান