সিলেটে পুলিশের খাঁচায় বন্দি হলেন ১৩ ছিনতাইকারী। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক চুরি ছিনতাই মামলা রয়েছে। শুধুমাত্র মার্চ মাসের ১৬ দিনে কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। এসময় তাদের কাছ থেকে ১০টি চাকু উদ্ধার করা হয়।
সোমবার (১৭ মার্চ) সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশেরে এডিসি (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন-সিলেটের তোপখানার সুরমা ভ্যালী-১০৫ নং বাসার মৃত আব্দুল গফ্ফারের ছেলে আব্দুল করিম ওরফে সাকিব, সিলেটের সাহেববাজার (বাজারতল) এলাকার মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে মো.জাকির হোসেন (৩৩), জৈন্তাপুর উপজেলার পানিছড়া গ্রামের মো.মনাফ হোসেন মনার ছেলে মো.সাহেদ হোসেন (২০), একই উপজেলার সরুখেল পশ্চিম গ্রামের হাবিবুর রহমান আবুলের ছেলে ইমরান আহমদ দুলাল (৩০), লামাশ্যামপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রবের ছেলে মো.শুয়েব আহমদ (২৯), মৌলভীবাজার সদরের শেরপুর (পিটুয়া) এলাকার মৃত তমিজ মিয়ার ছেলে বাবলু আহমদ (২৫), সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার সাউদপাড়া এলাকার মৃত আব্দুর রহমানের পুত্র রিপন মিয়া (৩১), জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া(কলকলি) গ্রামের মোকদ্দছ আলীর পুত্র শরিফ আহমদ ওরফে সাঈদ আহমদ (৩২), ধর্মপাশা উপজেলার মাটিকাটা গ্রামের আব্দুর রশিদ ওরফে আবু মিয়ার পুত্র হাবিল আহমদ (২৮), তাহিরপুর উপজেলার চরগাঁও গ্রামের মো.জজ মিয়ার পুত্র রফিকুল ইসলাম (১৯), সুনামগঞ্জ সদরের কালীপুর গ্রামের মো.বাচ্চু মিয়ার পুত্র মো.ফারুক মিয়া (৩৫),কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামের শান্তিপুর গ্রামের মো.জিবু মিয়ার ছেলে মো.রুবেল মিয়া (২৫) ও একই থানার লতিবপুর গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে রুবেল আহমদ (২৭)।
গ্রেফতারকৃত ১৩জনই সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করতেন বলে জানিয়েছে পুলিশ জানিয়েছে।
এব্যাপারে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশেরে এডিসি(মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, গত ১-১৬ মার্চ পর্যন্ত উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশের গঠিত চৌকস টিম কর্তৃক বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে চিহ্নিত ছিনতাইকারীদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক চুরি ছিনতাই মামলা রয়েছে। ইতোমধ্যে উল্লেখিত গ্রেফতারকৃত ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।