মাগুরা সদরে বোন বাড়িতে বেড়াতে এসে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৮ বছর বয়সী এক শিশু।
বৃহস্পতিবার সকালে অচেতন অবস্থায় তাকে প্রথমে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মাগুরা সদর থানার ওসি আয়ুব আলী জানান, আট বছর বয়সি শিশুটিকে প্রথমে মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে আনা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ফদিরপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বড় মেয়ের বরাতে শিশুটির মা বলেন, তার ছোট মেয়ে বড় মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে যায়। ঘটনার সময় শিশুটি ছাড়া কেউ ঘরে কেউ ছিল না। এই সুযোগে কেউ একজন ঘরে ঢুকে শিশুটিকে ধর্ষণ করে অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে রেখে যায়। পরে বড় মেয়ে বাড়ি এসে তার ছোটবোনকে অচেতন অবস্থায় ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন। তখন দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যায়।
শিশুটির জ্ঞান না ফেরায় বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
তবে ধারণা করা হচ্ছে, মেয়েটিকে ধর্ষণ করে হত্যার চেষ্টাও করা হয়েছে।
মাগুরা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সুবাস রঞ্জন হালদার বলেন, তাকে প্রথমে শ্বাসকষ্টের রোগী হিসেবে নিয়ে আসা হয়। পরে মেডিসিন বিভাগে নিয়ে গেলে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টার আলামত পাওয়া যায়। মেয়েটির অবস্থা শঙ্কামুক্ত নয়।
ওসি আয়ুব আলী বলেন, মাগুরা শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে নিজনান্দুয়ালী এলাকায় শিশুকে ধর্ষণের মৌখিক অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে।