কৃষি ও শিল্প-কারখানার যন্ত্রাংশের বর্ধিত ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2025-02-25 13:25:55

অত্যাবশকীয় কৃষি ও শিল্প-কারখানার ব্যবহৃত যন্ত্র ও যন্ত্রাংশের সকল পর্যায়ে আরোপিত বর্ধিত মূল্যসংযোজন কর (ভ্যাট) প্রত্যাহার চায় বৈষম্যমূলক করবৃদ্ধি প্রতিরোধ কমিটি।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়। এ সময় সংগঠনটির পক্ষে লিখিত বক্তব্য দেন আহ্বায়ক সহিদুল হক মোল্লা।

তিনি বলেন, অতি সম্প্রতি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্দেশক্রমে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের মাঝপথে এসে কৃষিজাত পন্য উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত ডিজেল ইঞ্জিন মটরপাম্প, অগভীর ও গভীর পাম্প (সাবমারসিবল পাম্প) শিল্প-কলকারখানার ব্যবহৃত মেশিনারীজ ও যন্ত্রাংশের ওপর ৫ গুন কর ও ভ্যাট বৃদ্ধি করায় আমরা ব্যবসায়ীরা এবং কৃষক সমাজ হতাশ ও উদ্ধিন্ন।

সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কোন আলাপ-আলোচনা ছাড়াই গত ৯ জানুয়ারি উক্ত কর বৃদ্ধিসংক্রান্ত গেজেট নোটিফিকেশন করেছে। ব্যাংক ঋণের সুদের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরা ব্যবসায়ীরা এমনিতেই ব্যবসা-বানিজ্য পরিচালনায় হিমশিম খাচ্ছি। বাজার মূল্যের উর্দ্ধগতিতে সাধারণ মানুষ খুব সমস্যায় আছে।

কর ও ভ্যাট বৃদ্ধিতে ব্যবসা-বানিজ্য স্থবির হয়ে পড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ক্রেতারাও পণ্য কিনতে আগ্রহ হারিয়েছেন। এ অবস্থা চলতে থাকলে অচিরেই ব্যবসায়ীরা সর্বশান্ত হয়ে পড়বে। দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে হলে কর-ভ্যাট সহনীয় পর্যায়ে রাখা একান্ত জরুরী। কর হার বৃদ্ধি হলে কর ফাঁকির প্রবণতা বৃদ্ধি পায়।

সংগঠনটির আহ্বায়ক বলেন, কৃষিখাত ও শিল্প-কারখানায় সরকারি ভর্তুকি দিয়ে সচল রাখলেই জনগণ সুফল পাবে। কমে আসবে উৎপাদিত পণ্যের বাজার মূল্য। উন্নত বিশ্বের দেশ সমুহ কৃষি ও শিল্প খাতে ভর্তুকি দিয়ে কৃষিখাত ও শিল্প-কারখানা সচল রাখতে কর্মপন্থা নির্ধারণ করে থাকে। আমরা ব্যবসায়ীরাও উক্ত নীতি অনুসরণ করার জন্য এনবিআরসহ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

ভ্যাট বৃদ্ধিতে আইএমএফের হাত থাকতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের ধারণা বিশ্বব্যাংক (IMF) এর প্রেসক্রীপশন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সরকার উক্ত কৃষিপণ্য উৎপাদনের মেশিনারীজ ও যন্ত্রপাতি এবং শিল্প-কলকারখানার ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ ও হার্ডওয়ার মেশিনারীজের ওপর ৫ শতাংশের এর পরিবর্তে ৭.৫শতাংশের মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট বৃদ্ধির জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করেছেন। খুচরা ও পাইকারি পর্যায়ে বিক্রির ওপর ৫% ভ্যাট বহাল রেখে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।

সাংবাদিক সম্মেলনে ব্যবসায়ীরা যৌক্তিক দাবী সমূহ অনতিবিলম্বে বাস্তবায়ন না হলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর