প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে ইয়েমেনে বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতিদের ওপর তীব্র বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীটির সামরিক ঘাঁটি, ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও কমান্ড সেন্টারে একের পর এক মার্কিন যুদ্ধবিমানের আঘাতে অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
রোববার (১৬ মার্চ) ভোরে এক প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই খবর জানিয়েছেন বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হুতিদের ওপর ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই আক্রমণ সবে শুরু। কয়েক সপ্তাহ ধরে চলতে পারে এই হামলা।
ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতিরা জানিয়েছে, সানার শাওয়াব জেলার আবাসিক এলাকায় হামলা হয়েছে, যেখানে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
হুতি নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইয়েমেনের রাজধানী সানায় মার্কিন হামলায় কমপক্ষে ১৩ জন বেসামরিক লোক নিহত এবং নয়জন আহত হয়েছে।
এছাড়াও গোষ্ঠীটির নিয়ন্ত্রিত আল-মাসিরাহ টিভি জানিয়েছে, উত্তরাঞ্চলীয় সাদা প্রদেশে মার্কিন হামলায় চার শিশু এবং এক নারীসহ ছয়জন নিহত এবং ১১ জন আহত হয়েছে।
হুতির মুখপাত্র নাসরুদ্দিন আমের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এই হামলা তাদের দমিয়ে রাখতে পারবে না। গাজার জন্য সানা রক্ষাকবচ হয়ে থাকবে।
মার্কিন রণতরী ইউএসএস হ্যারি এস. ট্রুম্যান কৃষ্ণসাগরে মোতায়েন ছিল। এছাড়া, ইউএসএস জর্জিয়া ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র সাবমেরিনও এই অভিযানে সক্রিয় ভূমিকা নেয়। ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে এটি ইয়েমেনের হুতিদের বিরুদ্ধে প্রথম হামলা।
এর আগে, ট্রাম্প হুতিদের লোহিত সাগরে জাহাজে হামলা বন্ধ করতে আহ্বান জানিয়েছেন। অন্যথায় ‘নরক বৃষ্টির’ হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি।
হুতিদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ইরানকেও হুমকি দিয়ে ট্রাম্প বলেছিলেন, ইরান যদি যুক্তরাষ্ট্রকে হুমকি দেয় ‘আমেরিকা তোমাকে সম্পূর্ণ জবাবদিহির আওতায় আনবে। এটা কিন্তু তোমাদের জন্য ভালো হবে না।’