সন্তান বড় করা নিয়ে কাকে ‘জানোয়ার’ বললেন পরী!

ঢালিউড, বিনোদন

মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম | 2025-02-23 12:32:28

চিত্রনায়িকা পরীমণির অভিনয় নিয়ে এখন আর সেভাবে আলোচনা হয় না। সিনেমা বলেন, কিংবা ওটিটির কাজ- কখন আসে কখন যায় কারও মনেও থাকে না। তিনি শুধুই আলোচিত ১৬ মিলিয়নের ফেসবুক পেজে!

অর্থাৎ ওই ফেসবুক পেজে যে কর্মকাণ্ড করেন তা নিয়েই তিনি আলোচিত-সমালোচিত হন, যার পুরোটাই অনলাইন সর্বস্ব। তার সাম্প্রতিক ফেসবুক পোস্ট ঘাটলে যা দেখা যায় তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি নজরে আসে উঠতি গায়ক শেখ সাদীর সঙ্গে নানা ধরনের পোস্ট, যা নিয়ে উঠেছে নতুন প্রেমের গুঞ্জন। আর দেখা যায় পরীর সিঙ্গেল মাদার হিসেবে স্ট্রাগলের বয়ান!

পরীমণি । ছবি: ফেসবুক

আজও সিঙ্গেল মাদারের সংগ্রাম নিয়ে একটি পোস্ট করেছেন এই আলোচিত-সমালোচিত চিত্রনায়িকা। তাতে শুধু নিজের সংগ্রামের গল্পই লেখেননি তিনি, তার ছেলের বাবাকে (চিত্রনায়ক শরিফুল রাজকে ব্যাঙ্গাত্মকভাবে সোনা বলে পুরো স্ট্যাটাসে অভিহীত করেছেন তিনি) খোঁচাও দিয়েছেন বেশ কায়দা করে। যদিও কোথাও রাজের নাম তিনি উল্লেখ করেননি। তবে তার লেখা পড়ে বুঝতে বাকী থাকে না যাকে তিনি সোনা বলে ডেকেছেন সে আসলে রাজই।

পরীমণি । ছবি: ফেসবুক

পরী স্ট্যাটাসের প্রথমেই লিখেছেন, ‘রাত জাগা আর নির্ঘুম রাত মোটেও এক না সোনা! মা হয়ে দেখো শুধু। বাচ্চার গায়ে একটা মশার কামড়ও নিতে পারবা না আর সেখানে বাচ্চার ১০৪ জ্বর তো মায়ের দম বন্ধ হয়ে থাকার মতন। তার ওপর একা মা হয়ে বাচ্চার এই ফেস নেওয়া যায় না..জাস্ট ট্রাস্ট মি! রাত জেগে নেটফ্লিক্স, বন্ধুরা, পার্টি, আড্ডা, লং ড্রাইভ অথবা র‌্যানডম ফেইসবুক স্ক্রলে লেপ্টে থাকা সবই উপভোগ্য। শুধু বিস্বাদ লাগে এই বাধ্য হয়ে থাকা দায়িত্বের বেড়াজাল তাই না? কাদের লাগে জানেন? যারা সুযোগ বুঝে বাচ্চার সাথে কয়েক সেকেন্ড ভিডিও রেকর্ডে মিথ্যা ইমোশন শেয়ার করে সোশ্যালে। শুধু মায়েদেরই এসব বিস্বাদ লাগে না। একবার ভাবো তো, দিনের শুরু থেকে শেষ অব্দি কি কি করে একজন মা! তুমি ভাবতেও পারবা না জানোয়ার। ভাবা লাগেও নি তো বাবাদের কখনো! যারা বাবা হয় তারা সব জানে। জেনেই সব আগলে রাখে...’

শরিফুল রাজ । ছবি: ফেসবুক

এরপরই পরী আসল তীর টি মেরেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘পরীর বাচ্চাদের এমন সো কল্ড বাপের মোটেও দরকার নাই। অন্তত এতদিনে সেটা প্রমাণিত তোমার কাছে সোনাটা। ওদের কাছে ওদের মা-বাপ আমি একাই সব। কারণ ওরা এটাই বুঝে বুঝে বড় হচ্ছে। কিন্তু আমাকে বুঝ দেয়ার মতন তোমার কিচ্ছু নেই সোনা জীবনে আর.. আমি সব মাফ করলেও আজীবন আমার এই ঘেন্নায় তোমাকে বাঁচতে হবে সোনা। মরে গেলে তো মরেই যেতা। হসপিটালের আপডেট যায় তো সোনা তোমার ফোনে! ওসব দেখে অন্ধ হয়ে যাও না কেন তুমি! কিছু ঘেন্না খোলাই হয়।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর