বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সেস-এ মডেল গ্লোবাল পার্লামেন্ট অনুষ্ঠিত

, ক্যাম্পাস

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2025-03-05 12:04:44

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সেস-এর অকুপেশনাল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল হেলথ বিভাগ এবং ওয়ার্ল্ড সিটিজেন অ্যাসোসিয়েশন-অস্ট্রেলিয়া-এর যৌথ উদ্যোগে মডেল গ্লোবাল পার্লামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। এই ইন্টারঅ্যাকটিভ সিমুলেশনের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন, বৈশ্বিক অভিবাসন সংকট এবং ক্যান্সার সচেতনতা বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সেস-এর মাননীয় ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. শেখ আখতার আহমদ। সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন অকুপেশনাল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল হেলথ বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. এম এইচ ফারুকী। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ল্ড সিটিজেন অ্যাসোসিয়েশন-অস্ট্রেলিয়ার পরিচালক ড. ওয়ালি ইসলাম এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. জাহিদ হাসান।

এই আয়োজনটি সমন্বয় করেন অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ড. সাইকা নিজাম, এবং সহ-সমন্বয়কারী ছিলেন অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর পলাশ চন্দ্র বণিক ও ড. তানজিনা আতিক।

এই মডেল গ্লোবাল পার্লামেন্টে মোট ৪৫ জন শিক্ষার্থী সংসদ সদস্য হিসেবে অংশগ্রহণ করেন, যারা তিনটি অঞ্চলের প্রতিনিধি হিসেবে বিভক্ত ছিলেন: এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও আফ্রিকা।

প্রতিটি দলের নেতৃত্বে ছিলেন: এশিয়া দল: মোস্ত. সাদিয়া আক্তার, সংসদীয় নেতা; গোলাম হাক্কানী, উপনেতা; মোহসিনা হক সাফি, হুইপ, অস্ট্রেলিয়া দল: শেখ বিন আজিজ, সংসদীয় নেতা; ফাহমিদা হোসেন ইশিকা, উপনেতা; মনিরা মনোরমা, হুইপ, আফ্রিকা দল: রওনক জাহান নাহিন, সংসদীয় নেতা; আবদুর রাজ্জাক রাব্বি, উপনেতা; শাফিন রহমান মাহি,হুইপ।

সংসদের স্পিকার নির্বাচিত হন আজিজুল হক মজুমদার এবং ডেপুটি স্পিকার ছিলেন মিস সুমাইয়া ও সুদীপ্ত কুমার মণ্ডল। স্পিকার সংসদীয় বিধি-বিধান সম্পর্কে ধারণা দেন এবং সারা অধিবেশনজুড়ে নিয়ম মেনে চলার গুরুত্ব তুলে ধরেন।

সংসদে প্রাণবন্ত বিতর্ক ও ভোটাভুটির মাধ্যমে নিম্নলিখিত বিলসমূহ গৃহীত হয়:

🔹 জলবায়ু পরিবর্তন: জলবায়ু পরিবর্তনে অবদান রাখা দেশগুলোর ওপর কর আরোপ; কয়লার ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ এবং বন সংরক্ষণকে উৎসাহিত করা; প্রতিটি অঞ্চলে ২৫% সবুজায়নের লক্ষ্যে বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন।

🔹 বিশ্বব্যাপী অভিবাসন সংকট: অভিবাসীদের জন্য দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি তৈরি করা; উন্নত দেশগুলোর জন্য ন্যায়সঙ্গত অভিবাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলা ও মানবিক ভিসা কর্মসূচি চালু করা; শরণার্থীদের দায়িত্ব উন্নত দেশগুলোর মধ্যে ন্যায়সংগতভাবে ভাগ করে উন্নত জীবনযাত্রা নিশ্চিত করা।

🔹 ক্যান্সার সচেতনতা: ক্যান্সার স্ক্রিনিং ও ডায়াগনস্টিক পরীক্ষা সহজলভ্য করা; ক্যান্সার চিকিৎসা বিকেন্দ্রীকরণ করে গ্রাম থেকে শহর পর্যন্ত সকলের জন্য চিকিৎসা সুবিধা নিশ্চিত করা; সঠিক তথ্য সংগ্রহের জন্য ক্যান্সার রেজিস্ট্রি প্রতিষ্ঠা করা।

এই মডেল গ্লোবাল পার্লামেন্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিশ্বব্যাপী গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে আলোচনা ও সমাধান কৌশল নিয়ে কাজ করার সুযোগ পায়, যা তাদের ভবিষ্যৎ নেতৃত্বদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে

এ সম্পর্কিত আরও খবর