বাংলাদেশে স্বৈরাচারকে ভারত দীর্ঘদিন টিকিয়ে রেখেছে বলে দাবি করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. সায়মা আহমেদ ।
রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচার থিয়েটার ভবনের আর সি মজুমদার অডিটোরিয়ামে ন্যারেটিভের উদ্যোগে 'জুলাই গণ অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশ: প্রসঙ্গ ভারত' শীর্ষক এক সেমিনারে একথা বলেন তিনি।
সায়মা আহমেদ বলেন, জাতিসংঘের রিপোর্টে জুলাই অভ্যুত্থানে ৭০০ এর মত মানুষ হত্যা হয়েছে তা উঠে এসেছে। আসলে তা আরো বেশি। সেখানে এই হত্যাকান্ড আন্তর্জাতিকভাবে প্রমাণ পাচ্ছে। তারপরও ভারতে শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় সম্মান পাচ্ছে। হাসিনার পতনের পর ভারত অভার রিয়েকশন দেখাচ্ছে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বাধা দিচ্ছে, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়াচ্ছে। মিডিয়াগুলি ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে। রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্যের মধ্যে অভার রিয়েকশন দেখা যাচ্ছে।
এতদিন মিথ্যা আবরণ দিয়ে ভারতকে বন্ধু রাষ্ট্র বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছিল বলে উল্লেখ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. সায়মা আহমেদ। তিনি বলেন, আমার মতে সেই সম্পর্ক আরো অবনতি হয়েছে। গত দেড় দশক ধরে হয়েছে, এখন মারাত্মক ভাবে হচ্ছে।
ভারতের সাথে এমন পররাষ্ট্র নীতি অন্য কোনো রেইজিমে ছিল না উল্লেখ করে সায়মা বলেন, হাসিনার সময়ে পররাষ্ট্র নীতি ব্যক্তিকেন্দ্রীক এবং দলকেন্দ্রীক ছিল। সেখানে কোন জনগণের কথায় তুলে ধরা হয়নি। একটি বিশেষ দেশের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলেছে, যেটি তার ক্ষমতায় ঠিকে থাকার জন্য সহায়তা করেছে। যখনি ভোট কারচুপি হয়েছে তখনি প্রতিবেশী দেশ সমর্থন দিয়েছে, অভিনন্দন জানিয়েছে সবার আগে।
সায়মা বলেন, আমাদের করণীয় হলো, প্রতিষ্ঠানগুলো ঠিক করা। সেখানে যোগ্য লোকদের নিয়োগ করা দরকার। গণতন্ত্র তখন ঠিকমত কাজ করবে যখন যোগ্য লোক নির্বাচিত হবে। জবাবদিহিতা থাকবে। পররাষ্ট্র নীতিকে ঢালাওভাবে সাজানো উচিত। সংস্কারের সব কনসার্ন প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামোতে দেওয়া দরকার।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোঃ ওবায়দুল হক, নায়েল রহমান রাজনৈতিক বিশ্লেষক, লেখক ও সংবিধান সংস্কার কমিশনের সদস্য মুস্তাইন জহির, ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ন এন্ড ডিপ্লোম্যাসির নির্বাহী পরিচালক শফিউল আলম শাহিন।