ছাত্রদলসহ অন্যান্য ছাত্র সংগঠনকে বিভাজনমুখিতা ও সহিংসতা পরিহার করে ছাত্রবান্ধব ও কল্যাণমুখী ছাত্ররাজনীতি করার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্র শিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম।
রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই আহ্বান জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর সারাদেশে শত শত জায়গায় চাঁদাবাজি দেখে বোঝার উপায় নেই যে দেশে কোনো পরিবর্তন হয়েছে। কুয়েট ও তামিরুল মিল্লাতে যে ঘটনা ঘটেছে তার মাধ্যমে আমরা নব্য ফ্যাসিবাদ দাঁড়াচ্ছে বলে আশঙ্কা করছি।
কুয়েট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কুয়েটে ছাত্রদলের সাথে সাধারন শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়েছে। সেখানে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিলো না। তারপরও একটি দল ইসলামী ছাত্র শিবিরের উপর দায় চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে।
গাজীপুরের তামিরুল মিল্লাত মাদরাসার শিক্ষার্থীর ওপর হামলার প্রসঙ্গে বলেন, ফজলে রাব্বীকে ফোন করে নিয়ে যায় ছাত্রদলের কর্মীরা। এরপর তাকে নানাভাবে হেনস্তা করে একপর্যায়ে তার উপর হামলা করে।
এই ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিও জানিয়েছেন তিনি।
এছাড়া, দেশের চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে বলেন, গণমাধ্যমের তথ্যমতে সারাদেশে ২৭৩টি কিশোরগ্যাং এখনো সক্রিয় আছে। তারা নানাভাবে দেশের অরাজকতা তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে।
এই প্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন ছাত্রশিবিরের সভাপতি। আর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে ব্যর্থতা স্বীকার করে জাতির কাছে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগের দাবিও জানিয়েছেন তারা।
একই সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্র শিবিরের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আজহারুল ইসলামসহ মজলুম কারাবন্দীদের মুক্তির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।