গারো পাহাড়ের পাঁজড়ের হাড়—
ছুট উত্তরী হাওয়া
সোমেশ্বরীর দুই তীর আর
সৌর আলোয় ছায়া
বিষ্ণুপুরের মতো সে দূরের
কোন এক দূর গ্রামে
ছোট দিনগুলি পেরিয়ে গোধূলি
সহসা সন্ধ্যা নামে।
মুয়াজ্জিনের ভাঙা মাইকের
চোঙের আড়াল থেকে
মাগরিব ডাকে প্রিয় বান্দাকে
আমি কি তেমন ডেকে-
ডেকে মরিনাই না কি স্মরিনাই
গত রাত্রির সুখ
জুলেখার মন অতি সাধারণ
আহা ভাবছে ভাবুক।
হিমায়িত ধূম উড়ে হাওয়া ছুটে উত্তুরে
কার্তিক শেষ
হোসেনের লহু মাখা সুদূর আকাশে আঁকা
মেঘেরাও বেশ
সিঁথির সিঁদুরে রাঙা আধখানা চাঁদ ভাঙা
উঁকিঝুঁকি মারে
আহারে কাজল কার গলে যায় সন্ধ্যার
আলো আঁধিয়ারে।
এখন রাত্রি কালো শরীরে জ্বেলেছে আলো
বিরহিনী একা একা
একে তো পৌষমাস সমূহ সর্বনাশ
না পেলে তোমার দেখা।