মানুষ নাকি পশু?
চারপাশে ঘুরে বেড়ায় মুখোশধারী শকুন,
যারা রক্তের গন্ধ পেলে বুনো হিংস্রতায় ঝাঁপিয়ে পড়ে।
আট বছরের শিশুটিও রেহাই পেল না,
সে তো জানতই না—
বিশ্বাসঘাতকতা কাকে বলে!
সে গিয়েছিলো বোনের বাড়ি!
খেলবে, হাসবে,
সকালে বিকালে দৌড়াবে নতুন জায়গার মাঠে,
কিন্তু মৃত্যুর কফিন সাজিয়ে রেখেছিল এক নরপিশাচ।
সে তো জানত না,
এই পৃথিবীতে কিছু মানুষ নামের
আছে হিংস্র জন্তুর দল।
সে তো বুঝতে পারেনি,
যে হাত তাকে আশ্রয় দেবে,
সেই হাতই তাকে মৃত্যুর দ্বারে পৌঁছে দেবে।
কে দেবে তার কান্নার জবাব?
কে দেবে তার মা’র শূন্য কোলের উত্তর?
কে বলবে পোশাক ছিল দোষী?
সে তো শিশু, তার তো পোশাকও ছিল অবুঝ!
তবু সমাজ চুপ থাকবে,
সামাজিক বিচার আবার অন্ধ হবে,
মিছিল উঠবে, প্রতিবাদ হবে,
তারপর?
তারপর আবার নতুন কোনো নাম
সংবাদপত্রের শিরোনাম হবে!
তারপর?
তারপর আবার ন্যায়ের নামে চলবে বিচারহীন প্রহসন,
আবার কোনো মায়ের বুক ফেটে যাবে, তবু শাসক নির্বাক!
তারপরও অন্ধ সমাজ মেনে নেবে নিয়মের শিকল,
যেখানে অপরাধীর নয়, ভুক্তভোগীর কাঁধেই দায় থাকে!
তবু আমরা চুপ থাকি, তবু আমরা সহ্য করি,
পোশাক, চরিত্র, সমাজ—সব প্রশ্ন তোলে নিরীহ দিকেই!
যতদিন না শকুনের ডানা ভেঙে পড়বে রাস্তায়,
ততদিন থামবে না নিষ্পাপ শিশুর রক্তস্নান!