অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনই দিতে পারে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা: মির্জা ফখরুল
একটি অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনই দিতে পারে বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, একটা বিশাল সংগ্রাম ও ছাত্র-জনতার অভাবনীয় অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমরা বাংলাদেশের মানুষ দম ছেড়ে নিঃশ্বাস নিতে পারছি। এই শহীদ মিনারে দাঁড়িয়ে কথা বলবো এটা ভাবতেও পারিনি। কারণ ফ্যাসিস্টরা নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ দিয়ে এই জায়গাগুলো আমাদের জন্য নিষিদ্ধ করেছিল। এমনকি যারা স্বাধীনতা যুদ্ধে লড়াই করেছিল তারা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার পর শহীদ মিনারে সম্মানটুকুও পেতে পারেননি। ভয়াবহ সেই ফ্যাসিস্টকে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে অবসান ঘটানো হয়েছে।
তিনি বলেন, মানুষের মধ্যে নতুন প্রত্যাশা সংগ্রাম করে আমরা নতুন সরকার পেয়েছি। সরকার পরিচালনার দায়িত্ব যাদের হাতে দিয়েছি তিনি দেশে-বিদেশে সমাদৃত। তবে আমাদের একটায় কথা যত দ্রুত সম্ভব জঞ্জাল সব সরানো, তবে অল্প সময়ে সব সম্ভব নয়। তারপরও যত দ্রুত সম্ভব একটা নির্বাচন দেবেন। আমরা নির্বাচনের কথা বলছি আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা থেকে।
তিনি আরও বলেন, একটি অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনই পারে বাংলাদেশকে একটা রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা দিতে। যেদিন আওয়ামী লীগ পার্লামেন্টে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করলো সেদিন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে নতুন অস্থিতিশীলতার সৃষ্টি হলো। হয়েছেও তাই। আমরা খুব ভালোভাবে দেখেছি যে ১৫ বছর ধরে সংঘাত, সংঘর্ষ, হত্যা, নির্যাতন, গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা থেকে শুরু করে সব কিছু। একটা ভয়াবহ একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চালু করেছিল। আমরা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সেই দানবকে সরাতে পেরেছি। তাই এই সরকারের কাছে প্রত্যাশা যে তারা অতি অল্প সময়ের মধ্যে এই জঞ্জালগুলো সরিয়ে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ব্যবস্থা করবেন। নতুন বাংলাদেশ নির্মাণ করার যে স্বপ্ন জাতি দেখেছে সেই স্বপ্ন পূরণে আরও একধাপ এগিয়ে যাবেন।