মাগুরায় ধর্ষণের শিকার ৮ বছরের আছিয়ার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর ঘটনায় জড়িত ধর্ষকদের পাথর মেরে হত্যার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) দুপুরে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে দলটির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত এক বিক্ষোভ মিছিলে বক্তারা এ কথা বলেন।
বিক্ষোভ মিছিলে বক্তারা বলেন, মাগুরায় শিশু আছিয়ার ধর্ষকদের দ্রুত সময়ের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হবে। শুধু আছিয়া না, তনু ও খাদিজার ধর্ষণ হয়েছিলো। কিন্তু সেই ঘটনারও বিচার হয় নি। যে সংবিধান দিয়ে ধর্ষক ও সুবিধাবাদীদের বিচার করবেন। সেই সংবিধানই নারীদের ভোগ্যপণ্য হিসেবে ব্যবহার করতে চাওয়া সুবিধাবাদী লোকজন লুকিয়ে আছে।
আপনি যে সরষে দিয়ে ভূত ছাড়াবেন, সেই সরষের মধ্যেই ভূত লুকাইত আছে। এই বিক্ষোভ থেকে আমরা সরকারকে বলতে চাই, অবিলম্বে প্রকাশ্যে ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হবে।
দলটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লা আমিন বলেন, আজকে বাংলাদেশ অত্যন্ত হৃদয়বিদারক দৃশ্য দেখেছে। এই রমজান মাসে একটা শিশুকে ধর্ষণ করে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে, তাকে হত্যা করা হয়েছে। এমন ঘটনার জন্য বাংলাদেশে কখনও প্রস্তত ছিলো না।
ধর্ষণ কেনো ঘটে বিষয়টা বুঝতে হবে। তার বিশ্লেষণ করতে হবে। ব্যাবিচারকে প্রমোট করবেন আর ধর্ষণ বন্ধ করার চেষ্টা করবেন তা হবে না। ধর্ষণ বন্ধে অবাধ মেলামেশা বন্ধ করতে হবে। নাটক সিনেমায় ছেলে-মেয়েদের অবাধ মেলামেশার শিক্ষা দেওয়া হয়। এ জন্য প্রজন্মের ছেলে মেয়েরা মানসিকভাবে বিকারগস্ত হয়।
পর্ণ সাইট বন্ধের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা দেখেছি সরকার সমস্ত পর্ণ সাইট বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। সকল সাইট বন্ধ করতে হবে। যত ধরনের অশ্লীল সিনেমা ও নাটক আছে এই সব বন্ধ করতে হবে। নারী পুরুষের শালীন পোশাকের কোড থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, যারা আছিয়াকে শহীদ করেছে। তাদের যারা মদদ দিয়েছে তাদের সবাইকে ফাঁসি দিতে হবে। শুধু ফাঁসি না, তাদের প্রকাশ্যে পাথর মেরে হত্যা করতে হবে।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস নেতাদের বক্তব্য শেষে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেট থেকে মিছিল নিয়ে পল্টন মোড় প্রদক্ষিণ করে আবার উত্তর গেটে গিয়ে কর্মসূচি শেষ হয়।