করোনা মহামারিতে দেশে জন্মাবে ২৪ লাখ শিশু, হুমকিতে স্বাস্থ্য সেবা
বাংলাদেশে করোনাভাইরাস-
-
|

করোনা মহামারি চলাকালে দেশে জন্মাবে ২৪ লাখ শিশু
দেশে নতুন করে ৭০৬ জনের দেহে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) রোগের সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১৩ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে।
করোনা মহামারিতে বাংলাদেশে জন্মাতে পারে ২৪ লাখ শিশু। এমন পূর্বাভাস দিচ্ছে ইউনিসেফ। বিশ্বব্যাপী জন্ম নিবে ১১৬ মিলিয়ন নবজাতক। কোভিড -১৯ মহামারি চলাকালীন ১১ মার্চ থেকে শুরু করে ৪০ সপ্তাহব্যাপী এই সংখ্যক নবজাতক জন্মগ্রহণ করবে।
ইউনিসেফ বলছে, করোনাভাইরাস লকডাউন পরিস্থিতিতে জন্ম নেওয়া এসব শিশু ও মা কঠিন বাস্তবতার মধ্য দিয়ে সময় অতিবাহিত করবেন। বিশ্বব্যাপী জরুরি অবস্থা জারি, লকডাউনের কারণে চিকিৎসা সরঞ্জামের ঘাটতি, সরবরাহ সমস্যা এবং দক্ষ নার্সিং এর অভাবে কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে মায়েদের।
ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিটা ফরে বলেন, সন্তান জন্ম দেওয়া মায়েদের এই পরিস্থিতি মেনে সতর্ক হতে হবে। অনেক অন্তঃসত্ত্বা লকডাউন ও জরুরি অবস্থায় সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কায় জরুরি চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে যেতে ভয় পাচ্ছেন।
ইউনিসেফের ধারণা, করোনাকালীন এই ৯ মাসে ভারতে জন্মাতে পারে ২ কোটির বেশি শিশু। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চীনে ১.৩ কোটি শিশু, নাইজেরিয়ায় ৬০ লাখ এবং পাকিস্তানে ৫০ লাখ শিশু। এসব দেশে আগে থেকেই নবজাতকের মৃত্যুহার বেশি। এই সংকটকালীন সময়ে এ মৃত্যুহার আরো বাড়তে পারে।
মহামারি করোনাতে নবজাতক জন্ম দিতে শুধু স্বল্প আয়ের দেশ নয়, উন্নত দেশগুলোও নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হবে। প্রত্যাশিত শিশু জন্মদানে আমেরিকা ৬ষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে।
ডিরেক্টরেট জেনারেল অব হেলথ সার্ভিসেস (ডিজিএইচএস) মতে, বাংলাদেশে করোনাভাইরাস মহামারিতে নবজাতক জন্মদানে চিকিৎসা সেবার ঘাটতি থাকলেও এখন পর্যন্ত মাতৃমৃত্যু ও নবজাতক মৃত্যু হারে কোন পরিবর্তনে আসেনি। বাংলাদেশে মাত্র ৩৩ টি জেলায় জরুরি চিকিৎসা প্রদানের ব্যবস্থা রয়েছে।
ইউনিসেফ মনে করে করোনা সংকটে প্রসূতিদের সেবা দিতে কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া উচিত। ইউনিসেফ বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে অন্তঃসত্ত্বা মা ও নবজাতক জন্মদানে ঝুঁকি এড়াতে কাজ করে যাচ্ছে।