মৌসুম শেষে বাড়তি সবজির দাম, আমিষে স্বস্তি

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মৌসুম শেষে বাড়তি সবজির দাম

মৌসুম শেষে বাড়তি সবজির দাম

পবিত্র মাহে রমজান আসা মানেই যেন ছিলো অনিয়মই নিয়মে পরিণত হওয়া, সবজি থেকে মাছ, মাংস দাম বাড়তো সবকিছুরই। তবে ব্যতিক্রম ছিলো এ বছর। শীতকালের সবজির মৌসুম থাকায় ও সরকারি তদারকি ব্যবসায়ীরা কারসাজি করতে না পারায় নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম ছিলো হাতের নাগালেই। কিন্তু মৌসুম শেষ হয়ে আসায় কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী দেখা গেছে সবজির দাম।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) সকালে সরেজমিনে রাজধানীর ইব্রাহীমপুর ও কচুক্ষেত কাঁচা বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। এ সময় সবজির মৌসুম শেষ হতে চলায় শিম, ফুলকপি, বেগুন ও ধনিয়াপাতাসহ কিছু পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

বিজ্ঞাপন
মৌসুম শেষে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী দেখা গেছে সবজির দাম

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সবজি ব্যবসায়ী বার্তা২৪.কম কে বলেন, এখন মৌসুম শেষ হয়ে আসছে, তাই কিছু কিছু জিনিসের দাম কিছুটা বাড়ছে। আগে শিম ৪০ টাকা বিক্রি করলেও এখন ৬০ টাকা প্রতি কেজি বিক্রি করছি। ফুলকপি ১০-১৫-২০ টাকা বিক্রি করলেও এখন তা ২৫-৩০ টাকা বিক্রি করছি। বেগুন ৬০-৮০ টাকায় বিক্রি করছি।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, অমৌসুমী সবজির দাম কিছুটা বাড়তি। এর মধ্যে ঢেঁড়স প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়, পটল ১০০ টাকায়, বরবটি ১০০ টাকায় ও করলা ১০০ টাকায়।

বিজ্ঞাপন

এছাড়াও সাইজভেদে ফুলকপি ২৫-৩০ টাকা, বাধা কপি ৩০ টাকা, টমেটো ২৫-৩০ টাকা, কাচা পেঁপে ৪০ টাকা, গাজর ৩০ টাকা, করলা ১০০ টাকা, শসা ৪০-৫০ টাকা, শিম ৬০ টাকা, মটরশুঁটি ১২০ টাকা, ধনিয়া পাতা ৮০-১০০ টাকায়, কাচা মরিচ ৮০ টাকায়, প্রতি পিস লাউ মাঝারি ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ব্রয়লার মুরগীর দামে স্বস্তি

ইফতারে প্রয়োজনীয় পণ্যের মধ্যে প্রতি হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৬০-১০০ টাকা, বেগুন প্রকারভেদে ৬০-৮০ টাকা, ছোলা ১০০ টাকা, বুট ৯০ টাকা, খেসারি ডাল ১২০ টাকায়। এছাড়াও আলু ২৩-২৫ টাকা, পেঁয়াজ ৩৫-৪০ টাকা, নতুন রসুন ১০০, রসুন আমদানি ২৪০ টাকা, আদা ১০০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়।

স্বস্তি দিচ্ছে আমিষ পণ্য। এর মধ্যে দাম কমেছে সোনালী ও ব্রয়লার মুরগীর। ১০-২০ টাকা দাম কমে প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকায়। এছাড়াও সোনালী ২৮০-২৯০ টাকা, গরু ৭৮০ টাকা, প্রতি ডজন মুরগীর ডিম লাল ১২০ টাকা, সাদা ডিম ১১৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়।

দাম কমেছে সোনালী মুরগীর

রোজায় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কেমন জানতে চাইলে আরিফুর রহমান নামের এক ভোক্তা বলেন, এবার আলহামদুলিল্লাহ জিনিসপত্রের দাম নিয়ে স্বস্তিতেই আছি। রোজা আসলেই অন্যান্য বছর যেভাবে হঠাৎ করে দাম বেড়ে যেত এবার তা হয়নি। বাজার করে অনেকটা স্বস্তি নিয়েই ঘরে ফিরতে পারছি। আবার কিছু পন্যের দাম বাড়লেও সেখানে সরকার তদারকি করছে। এটা ভাল। আশা করি আগামীতেও এটা অব্যাহত থাকবে।