ঢাকার বায়ুমানের আরও অবনতি, দূষণে শীর্ষে দিল্লি

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ফের অবনতি হয়েছে রাজধানী ঢাকার বাতাসের। একিউআইয়ের নির্ধারিত মানদণ্ডে বাতাসের গুণমান শুক্রবার ৮টা ১৯ মিনিটে শীর্ষ দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকার বায়ুমান ১৪০, যা নির্দিষ্ট শ্রেণির (অসুস্থ, শ্বাসতন্ত্রের রোগ আছে এমন মানুষ) জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায়ও অবস্থান এগিয়েছে ঢাকা। বৃহস্পতিবার ১৫তম অবস্থানে থাকলেও আজ বায়ুমানের অবনতি হয়ে দূষিত বাতাসের শীর্ষ ১০টি শহরের অষ্টম স্থানে উঠে এসেছে রাজধানী শহর ঢাকা।

বিজ্ঞাপন

একিউআইয়ের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় গত তিন দিনের মতো আজ শুক্রবারও শীর্ষে ভারত। শীর্ষদশে আছে দেশটির দুটি শহর। ২৬৮ বায়ুমান নিয়ে তালিকার প্রথম স্থানে রয়েছে দেশটির রাজধানী শহর দিল্লি। এছাড়াও ১৫০ বায়ুমান নিয়ে দেশটির আরেক শহর মুম্বাই ষষ্ঠ স্থানে আছে।

একিউআইয়ের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষ পাঁচে রয়েছে যথাক্রমে-পাকিস্তানের লাহোর (১৭২), উগান্ডার কামপালা (১৬২), মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন (১৫৯) ও ভিয়েতনামের হানোই (১৫৫)।

বিজ্ঞাপন

বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।

বাতাসের গুণমান সূচক (একিউআই) দিয়ে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ-এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্‌রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

উল্লেখ্য, বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।