পুলিশের বাধায় রাস্তায় শুয়ে পড়েছেন শিক্ষকরা

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পদযাত্রায় পুলিশের বাধায় রাস্তা দখল করে কাফনের কাপড় মুড়িয়ে শুয়ে পড়েন তারা। এতে বন্ধ হয়ে যায় সড়কের যান চলাচল।

বুধবার (১২ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর কদম ফোয়ারা মোড়ে এই ঘটনা ঘটে।

বিজ্ঞাপন

অনতিবিলম্বে সকল বিশেষ (অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী) বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্ত সুনিশ্চিত করাসহ পাঁচ দফা দাবি আদায়ে দীর্ঘদিন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থানের পর প্রধান উপদেষ্টা বাসভবন যমুনা অভিমুখে যাত্রা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, দুপুর ১২টার দিকে বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় সমন্বয় পরিষদ ব্যানারে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের দিকে যাত্রার প্রস্তুতি নেয় প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। কিন্তু শুরু থেকে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। তারা কিছুটা অগ্রসর হয়ে কদম ফোয়ারা মোড়ে আসলে পুলিশ মানববন্ধন তৈরি করে তাদেরকে বাধা দেয়।

বিজ্ঞাপন

পুলিশের বাধার প্রতিবাদে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কদম ফোয়ারা মোড়েই বসে যান। এতে করে পল্টন থেকে প্রেস ক্লাবের সামনে হয়ে হাইকোর্টের দিকে আসার রাস্তাটি বন্ধ হয়ে যায়। অন্যদিকে মৎস্য ভবন থেকে শিক্ষা ভবনের দিকে আসার রাস্তাও বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে পথিমধ্যে থাকা যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হন।

পরে পুলিশ পল্টন থেকে কদম ফোয়ারার দিকে আসার রাস্তায় থাকা গাড়িগুলো প্রেসক্লাবের সামনে থেকে ইউটার্ন দিয়ে আবারো পল্টনের দিকে পাঠায়। অন্যদিকে মৎস্য ভবন থেকে আসা রাস্তার গাড়িগুলোকে বিকল্পভাবে শিক্ষা ভবনের দিকে যাওয়ার পথ করে দেয়। বর্তমানে এই দুটি সড়কে গাড়ির তীব্র যানজট তৈরি হয়েছে।

প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় শিক্ষকরা বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে যদি কেউ এখানে না আসে, তবে তারা রাস্তা থেকে উঠবেন না।

বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় সমন্বয় পরিষদের অন্যান্য দাবিগুলো হলো- সকল বিশেষ বিদ্যালয়ের প্রতিবন্ধীবান্ধব অবকাঠামো সুনিশ্চিত করতে হবে; বিশেষ শিক্ষার্থীদের ন্যূনতম শিক্ষা ভাতা তিন হাজার টাকা নিশ্চিত করতে হবে; শিক্ষার্থীদের মিডডে মিলসহ শিক্ষা উপকরণ, খেলাধুলা সরজ্ঞাম প্রদান ও থেরাপি সেন্টার বাস্তবায়ন করতে হবে এবং ছাত্র-ছাত্রীদের ভোকেশনাল শিক্ষা কারিকুলামের আওতায় কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও পুনর্বাসন সুনিশ্চিত করতে হবে।