লঞ্চের পাখা পরিষ্কার করতে গিয়ে নিখোঁজ, ২৪ ঘন্টা পর লাশ উদ্ধার
-
-
|

ছবি: সংগৃহীত
ভোলার বোরহানউদ্দিন টু ঢাকা নৌরুটে চলাচলকারী এমভি মানিক-১ লঞ্চের পাখা পরিষ্কার করতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া লঞ্চের ইঞ্জিন হেলপার মো. তাইজুল ইসলাম (৫০) নামে এক শ্রমিকদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল তার লাশ উদ্ধার করে। এর আগে বুধবার দুপুরে নিখোঁজ হন তিনি। নিখোঁজের পর প্রায় ২৪ ঘন্টার চেষ্টায় লাশ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল।
ভূঁইয়া রিপার ট্রান্সপোর্ট কো. এর মানিক-১ লঞ্চের ম্যানেজার আ. জলিল জানান, বুধবার দুপুর ২টার দিকে প্রতিদিনের ন্যায় লঞ্চের পাখা পরিষ্কার করতে নদীতে নামে তাইজুল ইসলাম। তাকে পানি থেকে উঠতে না দেখে উপরে থাকা লোকজন ডাকাডাকি করে তাকে খুঁজতে থাকে। এরপর স্থানীয় থানা ও ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। তারা এসে নদীতে নেমে আমাদের সঙ্গে খুঁজতে থাকে। দীর্ঘ সময় খোঁজাখুঁজি করে না পেলে বরিশাল হতে দুইজন ডুবুরি সরবরাহ করি। বৃহস্পতিবার ওই দলটি ঘটনাস্থলে এসে সকাল ৭টা হতে দুপুর ১২টা পর্যন্ত নদীতে তল্লাশি করে কোনো সন্ধান পায়নি। পরে দুইটার দিকে নদীর তলদেশে তাজুল ইসলামের লাশ পাওয়া যায়।
এদিকে বুধবার সন্ধ্যায় বিক্ষুব্ধ জনতা ঘাটে এসে মানিক-১ লঞ্চটিতে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে। এক পর্যায়ে নিচ তালা থেকে শুরু করে ৩ তালা পর্যন্ত লঞ্চের বিভিন্ন সামগ্রী, কেবিনের গ্লাস, জানালা এবং দরজা ভাঙচুর করে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
বোরহানউদ্দিন ফায়ার সার্ভিস দায়িত্বরত ইনচার্জ আবুল কালাম জানান, খবর পেয়ে শুরু থেকে লঞ্চ শ্রমিককে উদ্ধার করার জন্য অভিযান পরিচালনা করি। বরিশাল হতে দুই জন ডুবুরি এনে বৃহস্পতিবার সকাল হতে চেষ্টা করি। দুপুর ২টার দিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হই। নিহত তাজুল ইসলামের পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিদ্দিকুর রহমান জানান, নিহত তাজুল ইসলামের লাশ উপজেলার লঞ্চঘাট এলাকার নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
বোরহানউদ্দিন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রায়হান-উজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন।