রাজধানীর জননিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে পুলিশি কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ডিএমপিসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে সমন্বিত চেকপোস্ট ও টহল কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হয়েছে।
এতে গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৮৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধারায় ৬৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বিকেলে ডিএমপির মিডিয়া বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ডিএমপির ক্রাইম কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারের বরাত দিয়ে তিনি জানান,গতকাল বুধবার রাত ১২টা থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ৫০টি থানা এলাকায় জননিরাপত্তা বিধানে দুই পালায় ডিএমপির ৬৬৭টি টহল টিম দায়িত্ব পালন করেছে। এরমধ্যে রাতে ৩৪০টি ও দিনে ৩২৭টি টিম দায়িত্ব পালন করে। টহল টিমগুলোর মধ্যে রয়েছে মোবাইল পেট্রোল টিম ৪৭৯টি, ফুট পেট্রোল টিম ৭৩টি ও হোন্ডা পেট্রোল টিম ১১৫টি।
এছাড়া মহানগর এলাকার নিরাপত্তা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও কৌশলগত স্থানে ডিএমপি কর্তৃক ৭১টি পুলিশি চেকপোস্ট পরিচালনা করা হয়।
জননিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপির টহল টিমের পাশাপাশি মহানগরীর বিভিন্ন অপরাধপ্রবণ স্থানে দুই পালায় সিটিটিসির ১৪টি, তিন পালায় অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ) এর ১২টি এবং ডিএমপির সাথে রাতে র্যাবের ১০টি টহল টিম দায়িত্ব পালন করে। এছাড়াও ডিএমপির সাথে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট এপিবিএন কর্তৃক ২০টি চেকপোস্ট পরিচালনা করা হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত মোট ১৮৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে রয়েছে তিন জন ডাকাত, ২৪ জন পেশাদার সক্রিয় ছিনতাইকারী, তিনজন চাঁদাবাজ, তিন জন চোর, ২০ জন চিহ্নিত মাদক কারবারি, ২১ জন পরোয়ানাভূক্ত আসামিসহ অন্যান্য অপরাধে জড়িত অপরাধী। অভিযানে বিভিন্ন অপরাধে ব্যবহৃত ছয়টি চাকু, একটি ছুরি, একটি চাপাতি, একটি সামুরাই, একটি লোহার রড, দুটি মোবাইল ফোন ও একটি পিকআপ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া উদ্ধারকৃত মাদকের মধ্যে রয়েছে ৫১ কেজি ২৩০ গ্রাম গাঁজা, ১১৮৭ পিস ইয়াবা ও ৩ গ্রাম হেরোইন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডিএমপির বিভিন্ন থানায় ৬৪টি মামলা রুজু করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগরবাসীর সার্বিক নিরাপত্তা ও নির্বিঘ্নে চলাচল নিশ্চিত করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।