‘ভারতের কারাগারে থাকতে পারেন গুম হওয়া ব্যক্তিরা’
-
-
|

ছবি: সংগৃহীত
গত দুই-আড়াই বছরে ভারতের বিভিন্ন কারাগারে আটক ১০৬৭ বাংলাদেশির নাম ঠিকানাসহ একটি তালিকা পাওয়া গেছে। গুমের শিকার লোকদের কেউ কেউ সেখানে থাকতে পারেন বলে জানিয়েছেন গুম সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত বিচারক মইনুল ইসলাম চৌধুরী।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) দুপুরে গুম সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন
তিনি বলেন, কমিশনের কাছে গুমের শিকার এমন ৩৩০ জনের তালিকা আছে। ওই ব্যক্তিদের ফিরে আসার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
মইনুল ইসলাম বলেন, ভারতের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি থাকা বাংলাদেশি নাগরিকদের তালিকা চাওয়া হয়েছিল। সেখানে আটক বাংলাদেশিদের নাম ঠিকানাসহ একটি তালিকা পাওয়া গেছে। প্রাপ্ত তালিকায় গুমের শিকার কোনো ব্যক্তির নাম আছে কিনা, তার অনুসন্ধান চলমান।
তিনি বলেন, পুলিশ ও বিজিবির পক্ষ থেকে পূর্ণাঙ্গ তথ্য প্রাপ্তিসাপেক্ষে অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। তবে গত বছরের ২২ ডিসেম্বর ঢাকার ধামরাইয়ের মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ নামের গুমের শিকার ব্যক্তিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর বর্ডার দিয়ে পুশইন করা হয়েছে মর্মে আমরা অবগত আছি।
গুম তদন্ত কমিশনের অনুসন্ধান অনুযায়ী, প্রতিটি গুমের ঘটনা তৎকালীন সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে পরিচালিত হয়েছে। ২০০৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে সংঘটিত গুমের ঘটনায় সরকারের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ নির্দেশ ছিল। গুম তদন্ত কমিশনে এ পর্যন্ত ১৭৫২টি অভিযোগ জমা পড়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১০০০টি অভিযোগের প্রাথমিক যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হয়েছে। ২৮০ জন অভিযোগকারীর জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রায় ৪৫ জন কর্মকর্তার বক্তব্য নেওয়া হয়েছে।
কমিশন জানায়, ৫ আগস্ট হাসিনার পতনের পর ভারত থেকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো ১৪০ জনের একটি তালিকা যাচাই করে সেখানে গুম হওয়ার কারো খোঁজ পাওয়া যায়নি।