সমন্বয়ক পরিচয়ে ব্যবসায়ীর ঘরে তল্লাশি, পুলিশে দিল গ্রামবাসী

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ফেনী সদর উপজেলার লেমুয়া ইউনিয়নে মমিন ভূঞা নামে এক ব্যবসায়ীর ঘরে সমন্বয়ক পরিচয়ে ঢুকে তল্লাশি করার অভিযোগে পাঁচজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে গ্রামবাসী। পরে মুচলেকা নিয়ে তাদের থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে লেমুয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ চাঁদপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় ফেনী পৌরসভার বারাহীপুর ভুঁইয়া বাড়ির এনামুল হক বাবু, শান্তিধারা এলাকার আবদুল্লাহ আল ওহি, ডাক্তারপাড়া এলাকার জিহাদ হাসান প্রান্ত, সদর উপজেলার ফাজিলপুর এলাকার শাহরিয়ার ইসলাম আলভি ও চাড়িপুর এলাকার শাহাদাত হোসেনকে আটক করা হয়। তারা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) এ ঘটনা জানাজানি হলে জেলাজুড়ে আলোচনা সমালোচনা চলছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুকে বইছে সমালোচনার জড়।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ চাঁদপুর গ্রামের বাসিন্দা মমিন ভূঞা বিগত সময়ে তিনি আওয়ামী লীগের সমর্থক থাকলেও তিনি ঢাকায় ব্যবসা করেন। তবে আওয়ামী লীগের কোনো পদ-পদবি বা মামলার আসামির তালিকায় তার নাম নেই। গত শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে বাড়িতে আসেন তিনি। পরে অনুষ্ঠান শেষে আবার তিনি ঢাকায় ফিরে যান। সোমবার রাতে ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে পাঁচজন মমিনের ঘরে ঢুকে তল্লাশি শুরু করেন। এসময় ঘরে থাকা নারী ও শিশুরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে এসে তাদের আটক করে পুলিশে খবর দেন।

বিজ্ঞাপন


সমাজ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সভাপতি আলী মনছুর সুমন বলেন, মমিন ভূঞা আমাদের সমাজের সভাপতি। তার বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেফতারের কথা বলে সমন্বয়ক পরিচয়ে এখানে এসে কয়েকজন চাঁদাবাজির চেষ্টা করেছে। শুরুতে পরিবারের সদস্যরা দরজা খুলতে না চাইলেও তারা সেনাবাহিনীর লোকজন নিয়ে এসেছেন বলে দরজা খুলতে বাধ্য করেন।


লেমুয়া ইউনিয়ন জামায়াতের আমির কামরুল ইসলাম বলেন, মমিন আওয়ামী লীগের সমর্থক হলেও কখনো পদ-পদবিতে ছিলেন না। তিনি অত্যন্ত ভালো মানুষ। কিন্তু রাতে হঠাৎ কয়েকজন এসে সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে ঘরে ঢুকে তল্লাশি করেন। যদি কোনো অপরাধীকেও এভাবে আটক করতে হয় তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রয়েছে। মূলত এখানে তারা চাঁদাবাজির উদ্দেশে এসেছেন। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের আটক করে বোগদাদিয়া তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছি।

ফেনী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শামসুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের থানায় নিয়ে আসে। এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলে বিস্তারিত অবগত হয়েছি। তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না থাকায় মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।