চুয়াডাঙ্গায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে ৮৩ বোতল ভারতীয় মদ ব্লাক হান্ট ও ৩৬ বোতল ফেনসিডিলসহ চিহ্নিত দুই মাদক কারবারিকে আটক করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও সেনাবাহিনীর একটি যৌথ টিম।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
বিজ্ঞাপন
এর আগে সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী।
আটককৃতরা হলেন- দর্শনার আনোয়ারপুর হঠাৎপাড়ার আব্দুল মালেকের ছেলে জুবায়ের হোসেন (২১) এবং একই এলাকার খোরশেদ আলমের ছেলে শিপন ইসলাম (২১)।
বিজ্ঞাপন
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চুয়াডাঙ্গা জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক নাজমুল হোসেন খানের নেতৃত্বে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ১২ সদস্যের একটি টিম এবং ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের লেফটেন্যান্ট আবিদ আহমেদের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ১৬ জন সদস্যের একটি টিম দর্শনা থানার বিভিন্ন এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান চালায়। এসময় চিহ্নিত মাদক কারবারি জুবায়ের ও শিপন ইসলামের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের দুজনকে আটক করে। আটককৃতদের স্বীকারোক্তিতে তাদের ঘরে তল্লাশি চালিয়ে ৮৩ বোতল ভারতীয় মদ ব্লাক হান্ট ও ৩৬ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক নাজমুল হোসেন খান বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেন। আটককৃতদের দর্শনা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বানে ফ্যাসিবাদবিরোধী এবং গণঅভ্যুত্থানে ভূমিকা পালনকারী ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে পূর্বনির্ধারিত বৈঠক বুধবার (৪ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে ৷ এ নিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দিনগত মধ্যরাতে এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সদস্য সচিব আরিফ সোহেল।
বার্তায় জানানো হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বানে ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলোর ‘জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ’ পালন শেষে ধারাবাহিক আলোচনা হিসেবে বাংলামোটর, রূপায়ন টাওয়ারে সন্ধ্যা ৬টায় মতবিনিময় সভাটি অনুষ্ঠিত হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সব ছাত্রসংগঠনের ঐকমত্যে জাতীয় সংকট রূখে দিতে বদ্ধপরিকর বলেও বার্তায় উল্লেখ করা হয়।
গত ২৫ নভেম্বর রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত সব ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসন ঠেকাতে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে চলমান অস্থিরতা নিরসনে এক সপ্তাহব্যাপী ফ্যাসিবাদবিরোধী সব ছাত্রসংগঠনের সমন্বয়ে ‘জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ’ পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।
আগস্টে ফেনীর স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে জেলার ১৭ লাখ মানুষ। বন্যাকালীন সময়ে দেশের সর্বস্তরের মানুষ ও ফেনীর বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ফেনীবাসীর পাশে দাঁড়ায়। ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনেও কাজ করছে বিভিন্ন সংগঠন। বন্যায় কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ জেলার ১০০টি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে সম্মাননা দিয়েছে স্থানীয় দৈনিক পত্রিকা দৈনিক ফেনী।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে শহরের একটি কনভেনশন হলে পত্রিকাটির ৫ম বছরে পদার্পণ উপলক্ষ্যে আয়োজিত দুর্যোগে দুর্বার অনুষ্ঠানে এ সম্মাননা দেওয়া হয়। আবেদনের প্রেক্ষিতে যাচাই-বাছাই শেষে ১০০ টি সংগঠনকে দেয়া হয় সম্মাননা।
অনুষ্ঠানে ফেনী জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথির বক্তব্য দেন- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি ড. মোহাম্মদ রেজুয়ানুল হক, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক গোলাম মোহাম্মদ বাতেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. আলা উদ্দিন, স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান হলের প্রভোস্ট ও রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এজিএম নিয়াজ উদ্দিন, জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও জেলা জামায়াতের সাবেক আমির অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভুঁইয়া, সাবেক জেলা আমির একেএম শামসুদ্দিন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল, যুগ্ম আহবায়ক এয়াকুব নবী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মুহাইমিন তাজিম।
সংগঠক শরিফুল ইসলাম অপুর পরিচালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন, জেলা জামায়াতের প্রচার সম্পাদক আ.ন.ম. আবদুর রহিম, ইসলামী আন্দোলন ফেনী জেলার সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ একরামুল হক ভূঁঞা ও এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য প্রকৌশলী শাহ আলম বাদল ও সিনিয়র সাংবাদিক আবু তাহের।
বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, রাষ্ট্রে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা হলে দেশের সংবাদপত্র, পুলিশ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও ফ্যাসিবাদের অংশ হয়ে যায়। বিগত সময়ে নানা আইন প্রয়োগের মাধ্যমে সাংবাদিকদের মুখ বন্ধ রাখা হয়েছিল। আগামীতে এসব বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
অনুষ্ঠানে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি ড. মোহাম্মদ রেজুয়ানুল হক বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ফেনী বিভিন্ন দুর্যোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এজন্য সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
এমন উদ্যোগের বিষয়ে দৈনিক ফেনীর সম্পাদক আরিফুল আমিন রিজভী বলেন, ফেনীর এ বন্যা স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা। বন্যাকালীন ও পরবর্তী সময়ে দেশের সর্বস্তরের মানুষ ও জেলার বিভিন্ন সংগঠন ফেনীবাসীর পাশে দাঁড়িয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় জেলার স্বেচ্ছাসেবীদের কাজকে সম্মান জানিয়ে আমাদের এ উদ্যোগ। আবেদনের প্রেক্ষিতে যাচাই-বাছাই করে ১০০ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।
এর আগে অনুষ্ঠানে জুলাই বিপ্লব, ফেনীর বন্যা ও বছরজুড়ে পত্রিকায় প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন নিয়ে স্থির চিত্র উপস্থাপন করা হয়। এ সময় ফেনীর বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, সাংবাদিক, শিক্ষক, ছাত্র প্রতিনিধি, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
চুয়াডাঙ্গায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রীদের ওপর হামলার ঘটনায় জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক গিনি ইসলামকে (৫০) গ্রেফতার করেছে সদর থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের ঈদগাহ পাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামি গিনি ইসলাম চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের ঈদগাহ পাড়ার রফিকুল ইসলামের মেয়ে।
পুলিশ জানিয়েছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে সদর থানার পুলিশ ঈদগাহ পাড়া এলাকায় গিনি ইসলামের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে। পরে তাকে গ্রেফতার করে সদর থানা হেফাজতে নেওয়া হয়।
গিনি ইসলামকে গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) হোসেন আলী বলেন, ‘গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনা ঘটে। ওই হামলায় হাসনা জাহান খুশবু নামে এক শিক্ষার্থী আহত হন। পরে ৩ অক্টোবর হাসনা জাহান খুশবু বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলা তদন্ত পূর্বক গিনি ইসলামের জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়ে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সংশ্লিষ্ট মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে বুধবার (৪ ডিসেম্বর) তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।’
চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৫০ লাখ ৫৮ হাজার ৯৩০ টাকার সমান সৌদি রিয়াল, ওমানি রিয়াল ও ইউএই দিরহামসহ সাকিব নেওয়াজ (২৪) নামে এক যাত্রীকে আটক করা হয়েছে। তিনি সবজির ব্যাগে লুকিয়ে এসব বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বেবিচকের সহযোগিতায় তল্লাশির মাধ্যমে টার্মিনাল ভবনের আন্তর্জাতিক বর্হিগমন ৭ নম্বর গেইটে এনএসআই এবং কাস্টমস টিম এ অভিযান পরিচালনা করে।
আটক সাকিব নেওয়াজ চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার আধুনগর ইউনিয়নের মনসুর আলী সিকদার বাড়ির আবদুল মোনাফের ছেলে।
বিমানবন্দর সূত্র জানায়, সাকিব বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের দুবাইগামী বিজি-১৪৭ ফ্লাইটের যাত্রী ছিলেন। বিমানে ওঠার আগে তার সঙ্গে থাকা একটি সবজির ব্যাগ তল্লাশি করে ১ লাখ ৪০ হাজার সৌদি রিয়াল, ৫৭৫ ওমানি রিয়াল এবং ৯ হাজার ২০০ ইউএই দিরহাম জব্দ করা হয়।
শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল বলেন, উদ্ধার হওয়া তিনটি ভিন্ন দেশের মুদ্রাগুলোর বাজারমূল্য ৫০ লাখ ৫৮ হাজার ৯৩০ টাকা। জব্দকৃত মুদ্রাগুলো বিমানবন্দর কাস্টমসের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।