ফরিদপুরে বিএনপি নেতা হত্যা মামলায় আ.লীগের চেয়ারম্যান মিন্টু গ্রেফতার
ফরিদপুরে বিএনপি নেতা হিরু শেখকে পিটিয়ে হত্যা মামলায় যুবলীগ নেতা ডিক্রিরচর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান মিন্টুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নগরকান্দা উপজেলার তালমার মোড় এলাকায় ঢাকাগামী একটি যাত্রীবাহী বাস থামিয়ে তাকে গ্রেফতারকরা হয়। নিক্সন চৌধুরীর ঘনিষ্টজন হিসেবে পরিচিত মেহেদী হাসান ডিক্রিরচর ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক।
২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর শহরতলীর সিএন্ডবিঘাট এলাকায় বিএনপির প্রার্থী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের পক্ষে পোস্টার সাটানোর সময় আয়জুদ্দিন মাতুব্বরের ডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা হিরু শেখকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় নিহত হিরুর ছেলে রুমন শেখ মিন্টুকে আসামি করে সম্প্রতি রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এছাড়া শহরের কমলাপুর মহল্লার বাসিন্দা আজাদ শেখ বাদী হয়ে মিন্টুকে আসামি করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে আরেকটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদপুর কোতয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কবির আহমেদ বলেন, মেহেদী হাসানকে রোববার (১ ডিসেম্বর) আদালতে সোপর্দ করা হবে। তাকে পুলিশের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের অনুমতি চাওয়া হবে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান জানান, মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় হত্যা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে দুটি মামলা রয়েছে। তাকে হত্যা মামলায় আপাতত গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। পরে তাকে অপর মামলায় ‘শৌন এরেস্ট’ দেখানো হবে।
এছাড়া ফরিদপুরের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক খালিদ হোসাইন বাদী হয়ে কিছুদিন আগে একটি মামলা দায়ের করেন। তার বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে এক কোটি সাত লাখ ৪৮ হাজার ১৭২ টাকা অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারায় দুদক এ মামলাটি রুজু করা হয়।