একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার ডা. খন্দকার গোলাম ছাব্বির আহমেদের জামিন শুনানি পিছিয়ে ১২ ডিসেম্বর দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আসামিপক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এস এম শাহজাহান। প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তানিম। চিফ প্রসিকিউটর দেশে না থাকায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ডা. গোলাম ছাব্বির আহমেদের জামিন শুনানি পিছিয়ে ১২ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়।
২০২৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি গোলাম ছাব্বিরসহ পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন- মো. হরমুজ আলী, ফখরুজ্জামান, আব্দুস সাত্তার, এবং খন্দকার গোলাম রব্বানী।
এরপর কারাবন্দি আসামিরা আইন অনুসারে এক মাসের মধ্যে আপিল করেন।
২০২৩ সালের ১০ অক্টোবর, মানবতাবিরোধী অপরাধে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ডা. গোলাম ছাব্বির আহমেদ ও আব্দুস সাত্তারের জামিন আবেদন নাকচ করে দেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এর নেতৃত্বে ৬ বিচারপতির একটি বেঞ্চ ওই রায় দেন।
২০১৫ সালের ১৯ মে তৎকালীন সংসদ সদস্য হান্নানসহ তিনজনের নামে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুর রহমানের স্ত্রী রহিমা খাতুন।
মামলায় জাতীয় পার্টির তৎকালীন সংসদ সদস্য এম এ হান্নান ছাড়াও জামায়াত নেতা ফখরুজ্জামান ও গোলাম রব্বানীকে আসামি করা হয়।পরে তদন্তে আরও পাঁচজনের সম্পৃক্ততা পাওয়ায় এ মামলার আসামি করা হয় মোট আটজনকে।
এ মামলায় ২০১৬ সালের ১১ ডিসেম্বর সংসদ সদস্য হান্নানসহ আটজনের নামে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ২০১৯ সালের ২৭ মে এ মামলার বিচার শুরু হয়।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় ২১ এপ্রিল থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ত্রিশাল উপজেলায় তারা অপরাধগুলো সংঘটিত করেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।