অভিশংসনের মুখে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের বিরুদ্ধে অভিশংসনের আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির আইনপ্রণেতারা। সামরিক আইন জারি ও তা প্রত্যাহার–সংক্রান্ত বিতর্ককে কেন্দ্র করে এমন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। এটি হলে এশিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে স্বীকৃত দেশটির জন্য গত কয়েক দশকের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক সংকটে পড়েছে।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারি করেন প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল। সেনারা তখন পার্লামেন্ট ভবনে ঢুকেও পড়ছিলেন। তবে আইনপ্রণেতারা তাদের সেই প্রচেষ্টা রুখে দেন। সামরিক আইন জারির কয়েক ঘণ্টা পর বিক্ষোভের মুখে তা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন ইউন।

প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টি ২০২২ সাল থেকে ইউনকে পদত্যাগ বা অভিশংসনের মুখোমুখি করার আহ্বান জানিয়ে আসছে।

বিজ্ঞাপন

পার্লামেন্টে বিরোধী দলগুলোর আইনপ্রণেতাদের একটি জোট বলেছে, ইউনকে অভিশংসনের জন্য প্রস্তাব দিয়ে তাঁরা আজ একটি বিল উত্থাপনের পরিকল্পনা করছেন। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এ বিল নিয়ে ভোটাভুটি করতে হবে।

বিরোধীদলীয় ওই জোটের এমপি (পার্লামেন্ট সদস্য) হোয়াং উন হা সাংবাদিকদের বলেন, দ্রুত একটি অভিশংসন বিল পাস করতে হলে অবিলম্বে প্রেসিডেন্টের কাজকর্ম স্থগিত করার দিকে পার্লামেন্টের মনোনিবেশ করতে হবে।

পার্লামেন্টের সিনিয়র ডিপি সদস্য পার্ক চ্যান-ডে এক বিবৃতিতে বলেছেন, পুরো জাতির কাছে এটা পরিষ্কার যে প্রেসিডেন্ট ইউন আর স্বাভাবিকভাবে দেশ চালাতে পারবেন না। তার পদত্যাগ করা উচিত।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সামরিক আইন জারির ঘোষণা দিয়ে ইউন বলেছিলেন, পারমাণবিক অস্ত্রের দেশ উত্তর কোরিয়া ও উত্তর কোরিয়াপন্থী রাষ্ট্রবিরোধী বাহিনীগুলো থেকে দেশকে এবং অবাধ সাংবিধানিক শৃঙ্খলাকে সুরক্ষিত রাখতে সামরিক আইন জরুরি। তবে তিনি তখন সুনির্দিষ্ট করে কোনো হুমকির কথা উল্লেখ করেননি।

ইউনের এ ঘোষণার পরপরই সিউলে পার্লামেন্ট ঘিরে উত্তেজনা দেখা দেয়। প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে পার্লামেন্টের বাইরে অবস্থান নেন বিক্ষোভকারীরা। প্রেসিডেন্টকে গ্রেফতারের দাবিতে তাদের স্লোগান দিতে শোনা যায়। হেলমেট পরা সেনারা ভাঙা জানালা দিয়ে পার্লামেন্টে ঢুকে পড়লে এবং আকাশে হেলিকপ্টারের টহল শুরু হলে পরিস্থিতি আরও বিশৃঙ্খল হয়ে ওঠে। পার্লামেন্টের কাজে সহযোগিতার জন্য নিযুক্ত কর্মীরা সেনাদের পিছু হটাতে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র থেকে স্প্রে করেন। পার্লামেন্টের বাইরে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়।

পরে বিক্ষোভের মুখে সামরিক আইন জারির আদেশ প্রত্যাহারের কথা জানান দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। এক টেলিভিষণ ভাষণে তিনি বলেন, পার্লামেন্ট সদস্যদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আমি সামরিক আইন প্রত্যাহারের কথা সামরিক বাহিনীকে জানিয়েছি।