ইউক্রেন ইস্যুতে বন্ধ হতে যাচ্ছে পাইপলাইন নর্ড স্ট্রিম-২

  রুশ-ইউক্রেন সংঘাত
  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

নর্ড স্ট্রিম প্রকল্পের পাইপলাইন বন্ধের দাবি জেলেনস্কির

নর্ড স্ট্রিম প্রকল্পের পাইপলাইন বন্ধের দাবি জেলেনস্কির

রাশিয়া থেকে জার্মানি পর্যন্ত গ্যাস পাইপলাইন নর্ড স্ট্রিম-২ অবিলম্বে বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

ভলোদিমির জেলেনস্কি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, পূর্ব ইউক্রেনের দুটি বিদ্রোহী  অঞ্চলের স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য রাশিয়াকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে। আমি আহ্বান করব নর্ড স্ট্রিম ২ সম্পূর্ণ বন্ধসহ অবিলম্বে নিষেধাজ্ঞা জারি করার।

বিজ্ঞাপন

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইইউ ইতিমধ্যেই রাশিয়ার জ্বালানি এবং প্রতিরক্ষা খাতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন গ্যাস কোম্পানি গ্যাজপ্রম, তার তেলের প্রধান উৎস গ্যাজপ্রমনেফ্টসহ তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান- লুকোয়েল, রোসনেফ্ট এবং সারগুটনেফতেগাজ রফতানি/আমদানি এবং ঋণের ওপর বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হয়েছে।

এদিকে ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার সর্বশেষ পদক্ষেপের কারণে নর্ড স্ট্রিম ২ গ্যাস পাইপলাইন কার্যক্রম আর এগিয়ে যাবে না বলে জানিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ।

বিজ্ঞাপন

অস্ট্রিয়ান চ্যান্সেলর কার্ল নেহামার জানিয়েছেন, নর্ড স্ট্রিম ২ প্রকল্প রাশিয়া থেকে জার্মানি পর্যন্ত পাইপলাইন নির্মাণ সমাপ্ত হয়েছে। তবে এখনও নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন পায়নি। এটিও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়তে পারে।

দীর্ঘদিন ধরে ইউরোপে রাশিয়ার অর্থনৈতিক ও সামরিক প্রভাবকে ঘিরে যে রাজনীতি চলছে তাতে এই নর্ড স্ট্রিম গ্যাস পাইপলাইনকে দাবার ঘুঁটি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। আর এই রাজনীতিতে রাশিয়া, জার্মানি ছাড়াও রয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র, আর ইউরোপীয় ইউনিয়নের পূর্বাঞ্চলীয় কয়েকটি দেশ।

নর্ড স্ট্রিম প্রকল্প

রাশিয়া তার বিপুল পরিমাণ জ্বালানি সম্পদ নানাভাবে বিদেশে রফতানি করতে চাইছে। এর অংশ হিসেবে বাল্টিক সাগরের তলদেশ দিয়ে নর্ড স্ট্রিম পাইপলাইনের মাধ্যমে রাশিয়া সরাসরি জার্মানিতে গ্যাস সরবরাহ করে। নর্ড স্ট্রিম-২ কিন্তু রাশিয়া থেকে জার্মানিতে গ্যাস সরবরাহের প্রথম প্রকল্প না। এর আগে নর্ড স্ট্রিম-১ নামে একটি পাইপলাইন নির্মাণ করা হয়েছে যেটি চালু আছে। নর্ড স্ট্রিম-১ এর নির্মাণকাজ শেষ হয় ২০১১ সালে। দ্বিতীয় প্রকল্পটি চালু হওয়ার কথা ছিল ২০২১ সালে, তবে এখনও অনুমোদন পায়নি।

রাশিয়া ইউক্রেইনের মাধ্যমে ইউরোপের কাছে গ্যাস বিক্রি করছে। সাইবেরিয়া থেকে তারা চীনে গ্যাসের পাইপলাইন বসাচ্ছে। অন্যদিকে কৃষ্ণ সাগর দিয়ে তারা তুরস্কের কাছে গ্যাস পৌঁছে দিচ্ছে।