ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে নির্মিত হচ্ছে নাটক ‘কাজল’। মোস্তফা কামাল রাজের পরিচালনায় নাটকটিতে অভিনয় করছেন মেহজাবিন চৌধুরী ও তারিক আনাম খান।
তাদের নতুন কাজের নাম ‘কাজল’। বাবা ও মেয়েকে কেন্দ্র করে সাজানো হয়েছে এর গল্প।
বিজ্ঞাপন
কাজল মেয়েটি বেশ আত্মবিশ্বাসী। নাটকে নাম ভূমিকায় দেখা যাবে মেহজাবিনকে। তার বাবার চরিত্রে আছেন তারিক আনাম খান। ঘরে-বাইরে বাবা-মেয়ের সম্পর্কের বিভিন্ন বাঁক থাকছে এতে।
‘কাজল’ প্রসঙ্গে মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ বলেন, ‘নাটকটি ভালোবাসা দিবসকে সামনে রেখে বানাচ্ছি। সাধারণত এই বিশেষ দিনে প্রেমিক-প্রেমিকার ভালোবাসার কথা বলাবলি হয়। আমি ভাবলাম, বাবা-মেয়ের ভালোবাসার গল্প বলবো। তাই এটি লিখেছি। তারিক আনাম ভাই আমাদের নাট্যাঙ্গনের সম্পদ। তিনি দারুণ আন্তরিক একজন অভিনেতা। আর মেহজাবিনের গুণের কথা আমরা সবাই জানি। তারা দুই জনই আমার মনের মতো অভিনয় করেছেন এই নাটকে। বাকিটা দর্শকদের ওপর নির্ভর করছে।’
বিজ্ঞাপন
ঢাকার উত্তরায় গত ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে নাটকটির দৃশ্যধারণ চলছে। আজ শেষ দিনের কাজ করবেন চিত্রগ্রাহক রাজু রাজ। অন্য দুটি চরিত্রে অভিনয় করছেন মিলি বাশার ও অপ্সরা।
নাটকটির জন্য মেয়ের দৃষ্টিকোণ থেকে বাবাকে নিয়ে একটি গান বানিয়েছেন নির্মাতা মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ। এর সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন নাভেদ পারভেজ। আবহসংগীত তারই। সম্পাদনা ও রঙ বিন্যাস করবেন রাশেদ রাব্বি।
আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবসে ইউটিউবে সিনেমাওয়ালা চ্যানেলে মুক্তি পাবে ‘কাজল’।
মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের পরিচালনায় সর্বশেষ ‘ম্যাজিক অব লাভ’ নাটকে অভিনয় করেছিলেন মেহজাবিন। তার সহশিল্পী ছিলেন জিয়াউল ফারুক অপূর্ব। ২০১৯ সালের ৬ ডিসেম্বর এটি মুক্তি পায় সিনেমাওয়ালা চ্যানেলে।
জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন বাংলা রক গানের কিংবদন্তি শিল্পী আজম খান। মৃত্যুর সাড়ে ১৩ বছর পর এই পুরস্কার পাচ্ছেন এই রক তারকা।
বাংলা রক সংগীতকে অনন্য উচ্চতায় নিয়েছেন আজম খান; অনুরাগীদের কাছে তিনি পপগুরু হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। ২০১১ সালের ৫ জুন মারা যান এই রক তারকা।
আজম খান একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, একাত্তরে অস্ত্র হাতে গেরিলাযুদ্ধ করেছেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধের পর আজম খান বন্ধুদের নিয়ে সংগীতের দল গড়েন, নাম দেন ‘উচ্চারণ’।
১৯৭২ সালে ‘উচ্চারণ’ ব্যান্ডের যাত্রা শুরু হয়। সে বছরই বিটিভিতে প্রচারিত ‘এত সুন্দর দুনিয়ায় কিছুই রবে না রে’ আর ‘চার কলেমা সাক্ষী দেবে’ গান দুটি তাকে জনপ্রিয় করে তোলে। এরপর ‘ওরে সালেকা ওরে মালেকা’, ‘রেললাইনের ওই বস্তিতে’, ‘আসি আসি বলে তুমি আর এলে না’, ‘আলাল ও দুলাল’, ‘হারিয়ে গেছে খুঁজে পাব না’ ইত্যাদি গানে তিনি শ্রোতাদের মাতিয়ে তোলেন।
কিংবদন্তি শিল্পী আজম খান
‘এক যুগ’ নামে তার প্রথম অডিও ক্যাসেট প্রকাশিত হয় ১৯৮২ সালে। সব মিলিয়ে তার গানের অ্যালবাম ১৭টি। গানের ভুবনের বাইরে খেলাধুলার প্রতিও ছিল তার দারুণ ভালোবাসা। ১৯৯১ থেকে ২০০০ সালে তিনি গোপীবাগ ফ্রেন্ডস ক্লাবের পক্ষ হয়ে প্রথম বিভাগ ক্রিকেট খেলতেন।
অভিনয়ও করেছিলেন ২০০৩ সালে, ‘গডফাদার’ নামের একটি বাংলা চলচ্চিত্রে। পাশাপাশি বিজ্ঞাপনচিত্রে মডেল হয়েছেন এবং সাঁতারের প্রশিক্ষক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
২০১৯ সালে মরণোত্তর একুশে পদক পেয়েছেন আজম খান।
এ বছর আজম খানসহ আটজনকে পুরস্কার দেওয়া হবে। যারমধ্যে আজম খানসহ ৭ জনই মৃত। বেঁচে আছেন একমাত্র লেখক গবেষক বদরুদ্দীন উমর, তার বয়স ৯৪ বছর।
কিংবদন্তি শিল্পী আজম খান
আর মৃতরা হলেন-
জেনারেল এম এ জি ওসমানী অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম স্যার ফজলে হাসান আবেদ কবি আল মাহমুদ ভাস্কর নভেরা আহমেদ এবং বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ।
ধামাকা নিয়ে আসছে নেটফ্লিক্সের তারকাবহুল সিরিজ ‘খাকি: দ্য বেঙ্গল চ্যাপ্টার’
বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
|
‘খাকি: দ্য বেঙ্গল চ্যাপ্টার’ ওয়েব ফিল্মে জিৎ, প্রসেনজিৎ, চিত্রাঙ্গদা সিং ও পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়
বিনোদন
অনুমান ছিল এমন এক ধামাকার। বুধবার সন্ধায় সেই ধামাকা দেখা গেল ‘খাকি: দ্য বেঙ্গল চ্যাপ্টার’-এর ট্রেলারে। বাংলার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে যে রগরগে এক থ্রিলার উপহার দিতে চলেছেন পরিচালক নীরজ পাণ্ডে, ট্রেলার দেখেই তা বেশ বোঝা গেল। বলতে গেলে ট্রেলারেই বাজিমাত করলেন নীরজ পাণ্ডে।
ট্রেলারটিতে দেখা যায়, গ্যাংস্টার পুলিশ ও রাজনীতিবিদদের ত্রিমুখী লড়াইয়ের উত্তপ্ত কলকাতা। পুলিশ শাসক দলকে সুরক্ষা দেয়, আর শাসকদল সুরাক্ষা দেয় অপরাধীদের। এমনই এক কণ্ঠে শুরু হয় ভিডিওটি। যেখানে ড্রোন শটে দেখা যায় কলকাতা শহরকে।
নিচে ফুটে ওঠে লেখা কলকাতা ২০০২। তারপরই দেখা যায় কোনও এক রাজনৈতিক দলের জনসভায় ভিড় করেছেন বিপুল জনতা। সেখানে নেতার বেশে দেখা মেলে প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জির। যাকে কিনা মঞ্চে উঠে জনতার উদ্দেশ্য হাত নাড়তে দেখা যায়।
‘খাকি: দ্য বেঙ্গল চ্যাপ্টার’ ওয়েব ফিল্মের দৃশ্য
আর তারপরই দেখা মেলে একের পর এক খুনের দৃশ্য। এমনই কিছু দৃশ্যায়নই উঠে এসেছে ‘খাকি: দ্য বেঙ্গল চ্যাপ্টার’-এর ট্রেলারে।
ট্রেলারে রাজনীতিবিদের চরিত্রে দেখা মিলেছে প্রসেনজিতের, অপরাধীর চরিত্রে দেখা মেলে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের। পুলিশ অফিসারের ভূমিকায় দেখা মেলে পরমব্রত ও জিৎ-এর। জিৎ এর সহযোগীর ভূমিকায় দেখা মেলে মিঠুন পুত্র মিমোর।
আবার আরও এক রাজনীতিবিদের ভূমিকায় দেখা মেলে শুভাশিষ মুখার্জির। রয়েছেন চিত্রাঙ্গনা সিংয়ের মতো অভিনেত্রীও।
‘খাকি: দ্য বেঙ্গল চ্যাপ্টার’ ওয়েব ফিল্মের দৃশ্যে চার জনপ্রিয় বাঙালি অভিনেতা জিৎ, প্রসেজিৎ, শাশ্বত ও পরমব্রত
গোটা ট্রেলার জুড়ে উঠে এসেছে কলকাতা শহরে ঘটে যাওয়া অপরাধ, অপরাধী, রাজনৈতিক কার্যকলাপ আর পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকার ছবি। ২০ মার্চ নেটফ্লিক্সের পর্দায় আসছে ‘খাকি: দ্য বেঙ্গল চ্যাপ্টার’।
উর্বশী রাওটেলা, নোরা ফাতেহি, ফ্যায়জু, জান্নাত জুবায়ের ও আলিয়া ভাট
বিনোদন
বর্তমান যুগ প্রযুক্তির যুগ। আবার অনেকে বলে থাকেন, বর্তমান যুগ সোশ্যাল মিডিয়ার যুগ। আমাদের জীবনের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। যার প্রভাবও অনেক নতুন সমাজে। তবে এক এক দেশে এক এক সোশ্যাল মিডিয়া জনপ্রিয়। যেমন বাংলাদেশে ফেসবুক সবচেয়ে জনপ্রিয়। আবার পাশের দেশ ভারতে ইন্সটাগ্রাম সবচেয়ে বেশি চর্চিত। বলিউড তারকা ইন্সটাগ্রামে রাজত্ব করছে গোটা ভারতে।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ফলোয়ারের দিক দিয়ে বলিউডের শীর্ষ ৩০ তারকার তালিকা-শ্রেয়া ঘোষাল
৩০. শ্রেয়া ঘোষাল
বলিউডের শীর্ষ গায়িকা শ্রেয়া ঘোষালের ভক্ত শুধু হিন্দি গানের দর্শক না। বিদেশের পাশাপাশি পুরো ভারতের বিভিন্ন ভাষায় সুপারহিট সব গান গাওয়ার কারণে তার অনেক বড় ভক্ত সংখ্যা রয়েছে। আর ইন্সটাগ্রামের এই তালিকায় তিনি দ্বিতীয় গায়িকা। তার ফলোয়ার সংখ্যা ৩২.৪ মিলিয়ন।
মি. ফ্যায়জু
২৯. ফ্যায়জু
ডাক নাম ফ্যায়জু নামেই বেশি পরিচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর ফয়সাল শেখ। ফলোয়ারের দিক দিয়ে ফ্যায়জুও রয়েছেন শীর্ষে। জান্নাত জুবায়েরের পর কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের মধ্যে তিনিই এই তালিকায় একমাত্র নাম। আর পুরুষ কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের মধ্যে তিনিই সবার শীর্ষে। প্রসঙ্গত, ফ্যায়জু আর জান্নাতের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে বলে বলিউডে গুঞ্জন বেশ চর্চিত। তার ফলোয়ার সংখ্যা ৩৩.১ মিলিয়ন।
শিল্পা শেঠী
২৮. শিল্পা শেঠী
বলিউডের ফিটনেসফ্রিক নায়িকাদের আইডল তিনি। এখনো শিল্পা যেখানে যান সেখানে অন্য নায়িকারা ফিকে পড়ে যান তার তন্বী শারীরিক গড়ন আর লাস্যময়ী হাসিতে। ছোটপর্দার জনপ্রিয় সব রিয়েলিটি শোয়ের বিচারক হিসেবে তিনি এখনো নিজেকে প্রাসঙ্গিক রেখেছেন দারুণভাবে। তার ফলোয়ার সংখ্যা ৩২.৭ মিলিয়ন।
সোনম কাপুর
২৭. সোনম কাপুর
মেগাস্টার অনিল কাপুরের আদরের কন্যা বলিউড অভিনেত্রী সোনম কাপুরকে বলা হয় বলিউডের ‘ফ্যাশন কুইন’। ফলে তার দারুণ সব ফ্যাশন স্টেটমেন্ট, ফটোশুট ও রিলস দেখার জন্য হলেও অনেক ভক্ত ভিড় করে তার ইন্সটাগ্রাম আইডিতে। তার ফলোয়ার সংখ্যা ৩৪.৮ মিলিয়ন।
কিয়ারা আদভানি
২৬. কিয়ারা আদভানি
মিষ্টি হাসি, সাবলিল অভিনয় আর কাটা কাটা চেহারা দিয়ে কিয়ারা অতি দ্রুত সবার মন জয় করেন। বড় বাজেটের একাধিক সিনেমা এখন তার হাতে। অভিনেত্রী সম্প্রতি মা হওয়ার খবর দিয়েছেন। তার অনুসারির সংখ্যা ৩৫.৭ মিলিয়ন।
সামান্থা রুথ প্রভু
২৫. সামান্থা রুথ প্রভু
রাশমিকার পর সাউথ ইন্ডয়ান নায়িকাদের মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে সামান্থা রুথ প্রভু। তিনিও বর্তমানে বলিউডের নিয়মিত মুখ। শক্তিশালী অভিনয়, ভুবনভোলানো হাসি আর পার্সোনালিটি দিয়ে সবার মন জয় করেছেন সামান্থা। নাগা চৈতন্যের সঙ্গে বিয়ে বিচ্ছেদের পর ব্যাপকভাবে আলোচিত হন এই নায়িকা। তবে বর্তমানে সেসব অতীত, তিনি কাজ করে চলেছেন নিজের যোগ্যতায়। সামান্থার ফলোয়ার সংখ্যা ৩৭ মিলিয়ন।
অমিতাভ বচ্চন
২৪. অমিতাভ বচ্চন
কিংবদন্তিদের মধ্যে একমাত্র অমিতাভ বচ্চনই তরুণ প্রজন্মের পছন্দের এই জায়গাটিতে সগর্বে অবস্থান করছেন। এতেই বোঝা যায় তিনি অন্য সবার চেয়ে অনেক বেশি প্রাসঙ্গিক। তার ফলোয়ার সংখ্যা ৩৭.৫ মিলিয়ন।
মাধুরী দীক্ষিত
২৩. মাধুরী দীক্ষিত
বলিউডের অল টাইম ফেভারিট হিরোইন মাধুরী দীক্ষিতও অনুসারীদের দিক দিয়ে পাল্লা দিচ্ছেন তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে। সিনিয়র নারী তারকাদের মধ্যে তার মতো এতো অনুসারী আর কারও নেই। কারণ ঐশ্বরিয়া রাই অনেক পরে ইন্সটাগ্রামে এসেছেন। আর বাকী যারা আছেন ইন্সটাগ্রামে তাদের চেয়ে মাধুরী অনেক বেশি অ্যাকটিভ সোশ্যাল মিডিয়ায়। তার ফলোয়ার সংখ্যা ৪০ মিলিয়ন।
কার্তিক আরিয়ান
২২. কার্তিক আরিয়ান
হ্যান্ডসাম লুক, কনফিডেন্স, নাচের মুভ আর অভিনয় দিয়ে কার্তিক আরিয়ান বর্তমানে বলিউডের জনপ্রিয় সুপারস্টার। প্রতি ছবিতে পারিশ্রমিকও নেন অনেক। এই নায়ক তাই ফলোয়ারের দিক থেকেও অনেক বড় তারকার চেয়ে এগিয়ে। তার ফলোয়ার সংখ্যা ৪৪.৫ মিলিয়ন।
রাশমিকা মান্দানা
২১. রাশমিকা মান্দানা
সাউথ ইন্ডিয়ার সিনেমা দিয়ে জনপ্রিয়তা পেলেও রাশমিকা মান্দানা এখন বলিউডেই বেশি ব্যস্ত। এই নায়িকার মিষ্টি হাসির জুড়ি নেই। তাকে ভারতের ন্যাশনাল ক্রাশও বলা হয়। বিজয় দেবারাকোন্ডার সঙ্গে একাধিক ছবিতে তার রোমান্টিক পর্দা উপস্থিতিই তাকে এতোটা জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছে। তার ফলোয়ার সংখ্যা ৪৫.২ মিলিয়ন।
সারা আলী খান
২০. সারা আলী খান
একেবারেই তরুণ প্রজন্মের বলিউড প্রতিনিধি সারা আলী খান। কিন্তু অল্প সময়ে তিনি যে পরিমাণ অনুসারী নিজের করে নিয়েছেন তা যে কাউকে তাক লাগিয়ে দেয়। তার প্রজন্মের অন্য কোন তারকা ফলোয়ারের দিক দিয়ে তার ধারে কাছেও নেই। তার ফলোয়ার সংখ্যা ৪৫.৭ মিলিয়ন।
বারুণ ধাওয়ান
১৯. বারুণ ধাওয়ান
বারুণ ধাওয়ানের এতো ফলোয়ার অবাকই করে। কারণ তিনি বলিউডে পা রেখেছেন বেশ পরে। দর্শক তার নাচ ও ফানি সাইড পছন্দ করে। তার ফলোয়ার সংখ্যা ৪৬.৬ মিলিয়ন।
শাহেদ কাপুর
১৮. শাহেদ কাপুর
বলিউড দীর্ঘদিন জনপ্রিয়তা ধরে রাখা শাহেদ কাপুরও কম যান না। তিনি রয়েছেন সেরা ১৮ তে। তার ফলোয়ার সংখ্যা ৪৭ মিলিয়ন।
নোরা ফাতেহি
১৮. নোরা ফাতেহি
দুর্দান্ত নাচের দক্ষতা আর আকর্ষনীয় শারীরিক অবয়বের কারণে নোরা ফাতেহি ভারতে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। তিনিও ক্যাটরিনা, জ্যাকুলিন কিংবা সানি লিওনের মতো বিদেশ থেকে এসে বলিউডে নিজের শক্ত অবস্থান তৈরি করে নিয়েছেন। ভারতের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত নৃত্যশিল্পী তিনি।
রণবীর সিং
১৭. রণবীর সিং
তরুণ প্রজন্মের নায়কদের মধ্যে এই তালিকায় সবচেয়ে এগিয়ে আছেন রণবীর সিং। কারণ রণবীর কাপুরের অফিসিয়াল কোন ইন্সটাগ্রাম আইডিই নেই। তার ফলোয়ার সংখ্যা ৪৭.৫ মিলিয়ন।
হৃত্বিক রোশন
১৬. হৃত্বিক রোশন
দুই খানের পর বলিউডে জনপ্রিয়তা কিংবা গ্রহণযোগ্যতার দিক দিয়ে হৃত্বিক রোশনের নামই আসে। ইন্সটাগ্রাম ফলোয়ারের ক্ষেত্রেও সেকথা প্রমাণিত। সালমান-শাহরুখের পরই নিজের জায়গা পোক্ত করেছেন হৃত্বিক। তার ফলোয়ার সংখ্যা ৪৭.৭ মিলিয়ন।
শাহরুখ খান
১৫. শাহরুখ খান
বলিউড কিং শাহরুখ খান রয়েছেই এই তালিকায় সেরা ১৫ নম্বরে। আর নায়কদের মধ্যে তিনি শুধু পিছিয়ে আছেন আরেক খান সালমান আর অক্ষয় কুমার থেকে। কারণ তিনি ইন্সটাগ্রামে তুলনামূলক কম সক্রিয়। তার ফলোয়ার সংখ্যা ৪৭.৮ মিলিয়ন।
জান্নাত জুবায়ের
১৪. জান্নাত জুবায়ের
সরাসরি বলিউড নায়িকা না হলেও কনটেন্ট ক্রিয়েশন আর ছোটপর্দায় কাজ করে ব্যাপক সংখ্যক অনুসারী জোগাড় করেছেন মিষ্টি মেয়ে জান্নাত জুবায়ের। ইন্সটাগ্রাম ফলোয়ারের দিক দিয়ে কটটেন্ট ক্রিয়েটর কিংবা ছোটপর্দার তারকাদের মধ্যে তিনিই সবার শীর্ষে। তার ফলোয়ার সংখ্যা ৪৯.৬ মিলিয়ন।
সানি লিওন
১৩. সানি লিওন
বলিউডের জনপ্রিয় আইটেম গার্ল ও অভিনেত্রী সানি লিওনের সৌন্দর্যের দিওয়ানা অনেকেই। তার ফলোয়ার সংখ্যা ৫৫.৯ মিলিয়ন।
দিশা পাটানি
১২. দিশা পাটানি
দিশা পাটানি অভিনয় দিয়ে না হলেও ফিটনেস আর গ্ল্যামার দিয়ে দর্শকের আকৃষ্ট করে রাখেন তার ইন্সটাগ্রাম ওয়ালে। তার ফলোয়ার সংখ্যা ৬১.৩ মিলিয়ন।
অক্ষয় কুমার
১১. অক্ষয় কুমার
বলিউড নায়কদের মধ্যে এই তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে আর সামগ্রিকভাবে ১১ নম্বরে আছেন আরেক মেগাস্টার অক্ষয় কুমার। তার ফলোয়ার সংখ্যা ৬৭.২ মিলিয়ন।
আনুশকা শর্মা
১০. আনুশকা শর্মা
বলিউডের আরেক নারী সুপারস্টার আনুশকা শর্মা। অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজনাতেও তিনি সফল। বর্তমানে অভিনয় থেকে দূরে আছেন। দুই সন্তানকে মনের মতো করে মানুষ করছেন। তারপরও ভক্তদেও আগ্রহ তাকে নিয়ে একটুও কমেনি। এর অন্যতম কারণ তিনি ক্রিকেট জগতের মহাতারকা বিরাট কোহলির স্ত্রী। এই দম্পতিকে দারুণ পছন্দ করে ভক্তরা। বলে রাখা ভালো, ভারতের সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে আনুশকার স্বামী বিরাটের ইন্সটাগ্রাম ফলোয়ারই সবচেয়ে বেশি। শুধু বেশিই নয়, দ্বিতীয় স্থানে থাকা শ্রদ্ধা কাপুরের চেয়ে বিরাটের ফলোয়ার প্রায় ২০০ মিলিয়ন বেশি! আর আনুশকার ফলোয়ার সংখ্যা রয়েছে ৬৮.৮ মিলিয়ন। এই সংখ্যাই বা কয়জনের আছে? বলিউড তারকাদের মধ্যে আনুশকা রয়েছেন শীর্ষ ১০ নম্বরে।
সালমান খান
৯. সালমান খান
ইন্সটাগ্রামের এই তালিকায় শীর্ষ ৯-এ আছেন বলিউড মেগাস্টার সালমান খান। এবং তিনিই ভারতের অভিনেতাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ফলোয়ারপ্রাপ্ত তারকা। এজন্যই সালমানকে ভারতের সবচেয়ে লোকপ্রিয় নায়ক বলা হয়। তার ফলোয়ার সংখ্যা ৭০ মিলিয়ন।
জ্যাকুলিন ফার্ন্দান্দেজ
৮. জ্যাকুলিন ফার্ন্দান্দেজ
জ্যাকুলিন ফার্ন্দান্দেজের নাচ আর ফ্যাশন সেন্সের ভক্ত অনেকেই। ফলে তিনি সহজেই বলিউডের প্রথম সারির তারকায় পরিণত হন। যদিও বর্তমানে ব্যক্তিজীবন খুব একটা ভালো যাচ্ছে না তার। তারপরও তার অনুসারী সংখ্যা যে কারও চোখ কপালে তুলে দেবে। তার ফলোয়ার সংখ্যা ৭১ মিলিয়ন।
উর্বশী রাউটেলা
৭. উর্বশী রাউটেলা
এই তালিকায় সেরা ৭-এ রয়েছেন উর্বশী রাউটেলা। তবে কেন তিনি এতো উপরে অবস্থান করছেন তা অনেকেরই অজানা! কারণ এই নায়িকার ক্যারিয়ারে নেই তেমন কোনই হিট সিনেমা। না তিনি অভিনয় ভালো করেন। শুধু গ্ল্যামার, সাজ সজ্জা আর উল্টা পাল্টা কথার কারণে বিতর্ক তৈরী করে আলোচনায় থাকেন এই বিউটি পেজেন্ট বিজয়ী। তার ফলোয়ার সংখ্যা ৭২.৭ মিলিয়ন।
নেহা কাক্কার
৬. নেহা কাক্কার
বলিউডের সঙ্গীতশিল্পীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ফলোয়ার নেহা কাক্কারের। তার আবেদনময়ী কণ্ঠশৈলী তরুণ প্রজন্ম দারুণ পছন্দ করে। পাশাপাশি নেহা কাক্কারের ফ্যাশন সেন্সও দারুণ। তার ফলোয়ার সংখ্যা ৭৮.২ মিলিয়ন।
দীপিকা পাড়ুকোন
৫. দীপিকা পাড়ুকোন
শুরুর দিকে ইন্সটাগ্রাম অনুসারীর দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিলেন বলিউডের লেডি সুপারস্টার দীপিকা পাড়ুকোন। তবে মাঝে তিনি ইন্সটাগ্রামের সব ছবি মুছে ফেলেন। এরপর থেকেই তিনি এই তালিকায় পিছিয়ে যাচ্ছেন দিনকে দিন। তারপরও বর্তমানে তার অবস্থান রয়েছে সেরা ৪-এ। তার ফলোয়ার সংখ্যা ৮০.৩ মিলিয়ন।
ক্যাটরিনা কাইফ
৪. ক্যাটরিনা কাইফ
ভারতের জন সাধারনের নায়িকা বলা হয় ক্যাটরিনা কাইফকে। ফলে তার অনুসারী সংখ্যা যে বিশাল হবে সে কথা সবারই জানা। এই অভিনেত্রীর ব্যক্তিত্ব ও নির্ভেজাল হাসি পছন্দ করেন দর্শক। তার ফলোয়ার সংখ্যা ৮০.৩ মিলিয়ন।
ফ্র্যান্সে ল’রিয়েল প্যারিসের ফ্যাশন শোতে আলিয়া ভাট
৩. আলিয়া ভাট
ইন্সটাগ্রামে আলিয়া ভাটের উত্থান অতি দ্রুত। তিনি দারুণ সব সিনেমায় অভিনয় করে দর্শকের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পৌঁছান। এছাড়া তিনি বিশে^র বড় বড় আন্তর্জাতিক পণ্যের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর। অংশ নেন বিশ্বের বড় বড় চলচ্চিত্র ও ফ্যাশনবিষয়ক ইভেন্টে। যেমন- কান চলচ্চিত্র উৎসব, মেট গালা ইত্যাদি। হলিউডেও কাজ করেছেন এই তারকা। তার ফলোয়ার সংখ্যা ৮৬.২ মিলিয়ন।
সৌদি আরবের রেড সি ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া
২. প্রিয়াঙ্কা চোপড়া
ইন্সটাগ্রাম অনুসারীদের এই তালিকায় বলিউডে শুধু থেকেই রাজত্ব করে আসছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। কারণ ভারতের পাশাপাশি তার রয়েছে আন্তর্জাতিক ফ্যানবেজ। হলিউডেও তিনি নিয়মিত কাজ করছেন। তবে সম্প্রতি তিনি শ্রদ্ধা কাপুরের পেছনে পড়ে গেছেন এই তালিকায়। তার ফলোয়ার সংখ্যা ৯২.৫ মিলিয়ন।
শ্রদ্ধা কাপুর
১. শ্রদ্ধা কাপুর
সবাইকে ছাড়িয়ে কিছুদিন আগেই ইন্সটাগ্রাম ফলোয়ারের দিক দিয়ে এক নম্বর অবস্থানে পৌঁছেছেন বলিউডের মিষ্টি মেয়ে শ্রদ্ধা কাপুর। ইন্সটাগ্রামে নিয়মিত ভক্তদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া, ভক্তদের করা ভিডিও শেয়ার করা কিংবা নো মেকাপ লুকের ছবি বেশি বেশি পোস্ট করার জন্য তিনি ভারতের দর্শকের মন জয় করেছেন। তার ফলোয়ার সংখ্যা ৯৪.২ মিলিয়ন।
‘আলো আসবেই’ কথাটি দেশের মানুষের কাছে চিরচেনা। এ নিয়ে কথা উঠলেই সামনে আসে শিল্পীদের গোপন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ! যা তৈরি হয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমাতে। আর সেখানে যুক্ত হয়েছিলেন শোবিজের একদল শিল্পী। তারা অবস্থান নিয়েছিলেন শেখ হাসিনা সরকারের পক্ষে। সেই দলেরই একজন অভিনেত্রী সোহানা সাবা।
আগস্টে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর বিপাকে পড়েছেন ‘আলো আসবেই’ গ্রুপের শিল্পীরা। অনেকেই আবার দিয়েছেন গা ঢাকা। এরই মধ্যে অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন—সমালোচনার মুখে গ্রুপটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে! তবে তা হয়নি। বিষয়টি জানিয়েছেন সোহানা সাবা নিজেই।
সোহানা সাবা । ছবি: ফেসবুক
এই অভিনেত্রী জানান, এই গ্রুপ থেকে অটো ইনভাইটেশন যাচ্ছে। এটি বন্ধ করতে সবার সাহায্য চান তিনি। সোহানা সাবা জানালেন, ‘আলো আসবেই’ সেই গ্রুপ থেকে অটো ইনভাইটেশন যাচ্ছে। যা কোনোভাবেই বন্ধ করতে পারছেন না তিনি। ফলে নতুন করে আবারও বিপাকে পড়েছেন।
বুধবার সন্ধ্যায় এক ভিডিও বার্তা সোহানা সাবা বলেন, ‘আমার ফেসবুক থেকে অনেকের কাছে ইনভাইটেশন যাচ্ছে যে, আলো আসবেই গ্রুপের জন্য। এটা কিভাবে যাচ্ছে, আমি জানি না। আমাকে সাহায্য করুন, প্রথমে জানান আমি কিভাবে গ্রুপটা বন্ধ করতে পারি। ইনভাইটেশন যে যাচ্ছে, এটা আমি দিচ্ছি না, কিন্তু এটা যাচ্ছে।’
সোহানা সাবা । ছবি: ফেসবুক
‘আলো আসবেই’ গ্রুপের অ্যাডমিন ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও অভিনেতা ফেরদৌস, নায়ক রিয়াজ, অভিনেতা সাজু খাদেম ও অভিনেত্রী শামীমা তুষ্টি। আর এতে যুক্ত ছিলেন জায়েদ খান, সাইমন সাদিক, অভিনেত্রী সুজাতা, অরুণা বিশ্বাস, নিপুণ, শমী কায়সার, রোকেয়া প্রাচী, সুইটি, হৃদি হক, আশনা হাবিব ভাবনা, জ্যোতিকা জ্যোতি, সাজু খাদেম, সোহানা সাবা, চন্দন রেজা, সংগীতশিল্পী শুভ্র দেব, নির্মাতা মুশফিকুর রহমান গুলজার, এস এ হক অলিক, খোরশেদ আলম খসরুসহ অনেকে।