সাতক্ষীরায় ডেঙ্গু আতঙ্ক, আক্রান্ত ১০
-
-
|

ডেঙ্গুর জীবাণু বাহক এডিস মশা/ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
সাতক্ষীরায় ডেঙ্গু আতঙ্কে ভুগছে সাধারণ মানুষ। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২৭ জুলাই র্যালী বের করা হয়। স্কুলে স্কুলে শিক্ষার্থীদের নিয়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হচ্ছে। তবুও কাটছে না আতঙ্ক। ইতোমধ্যে জেলার সদর হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পেয়েছেন চিকিৎসকরা। এতে আতঙ্ক বিরাজ করছে সর্বমহলে।
রোববার (২৮ জুলাই) ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত ১০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন বলে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্র জানায়। সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. জয়ন্ত সরকার জানান, রোববার দুপুর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৮ জন। এরমধ্যে সদর হাসপাতালে ভর্তি আছেন এক নারীসহ ৫ জন ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন আরও একজন। এছাড়াও চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছেন একজন, আর ঢাকায় পাঠানো করা হয়েছে একজনকে।
এরপর রোববার বিকেলে ও সন্ধ্যায় আরও ২জনের ভর্তির খবর নিশ্চিত করেছেন সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সদর হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন জেলার আশাশুনি উপজেলার রামনগর গ্রামের মৃত বাবর আলীর ছেলে হামিদুল ইসলাম, দেবহাটার সুবর্ণবাদ গ্রামের মাহাবুবর রহমানের ছেলে মেহেদী হাসান, সদরের থানাঘাটা গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে নাহিদ হোসেন, সদরের চুপড়িয়া গ্রামের মালেক সরদারের ছেলে আব্দুল লতিফ ও শহরের মিল বাজার এলাকার সাবরিনা খাতুন।
এছাড়াও সদরের চুপড়িয়া গ্রামের মোস্তফার ছেলে আল মামুনকে ইতোমধ্যে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আশাশুনির খাসবাগান গ্রামের হায়দার মোড়লের ছেলে শামিম সুস্থ্য হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন।
এদিকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্মরত চিকিৎসকরা জানান, বিকালে দেবহাটার সখিপুর গ্রামের আজগর আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম ও একই উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে মেহেদি হাসান ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন।
মেডিকেল অফিসার ডা. জয়ন্ত সরকার আরও জানান, সদর হাসপাতালে ডেঙ্গু কর্নার খোলা হবে। সেখানে নিয়মিত ডেঙ্গু পরীক্ষা ও সেবা দেয়ার ব্যবস্থা থাকবে।
তিনি আরও বলেন, সাতক্ষীরাবাসীকে আতঙ্কিত হওয়ার কোন কিছুই নেই। আক্রান্তদের সকলেই ঢাকায় ছিলেন। সেখান থেকেই তারা আক্রান্ত হয়েছেন। এখনও পর্যন্ত সাতক্ষীরায় অবস্থান করে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে এমন রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এদিকে নাগরিক মঞ্চের আহ্বায়ক এড. ফাহিমুল হক কিসলু বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সাতক্ষীরায় দৃশ্যমান কোন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়নি। সাতক্ষীরা পৌরসভাও কোন কার্যক্রম বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেয়নি।
তবে পৌর মেয়র তাসকিন আহমেদ চিশতি বলেছেন, পৌরসভার পক্ষে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। মেশিনের মাধ্যমে মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।