বাকৃবি অধ্যাপকের উদ্যোগে ময়মনসিংহে ক্যাট শো

  • বাকৃবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

প্রফেসর’স পেট কেয়ারের উদ্যোগে ময়মনসিংহে বিড়াল প্রেমীদের জন্য ক্যাট শো ও ফ্রি র‍্যাবিস ভ্যাক্সিন প্রদানের আয়োজন করা হয়েছে।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) শিল্পাচার্য জয়নুল পার্কে সকাল ১১টায় ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

প্রফেসর'স পেট কেয়ারের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) সার্জারি ও অবস্টেট্রিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ‍মাহমুদুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মো. বাহানুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির মাইক্রোবায়োলজি এন্ড হাইজিন বিভাগের অধ্যাপক ও নিরাপত্তা কাউন্সিলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো আরিফুল ইসলাম, ময়মনসিংহের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট মো. আনোয়ার আজিজ (টুটুল) এবং ময়মনসিংহের সহকারী পুলিশ সুপার তাহমিনা আক্তার। অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সার্জারি ও অবস্টেট্রিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল আলম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মো. বাহানুর রহমান বলেন, মানুষ ও প্রাণীর ভালোবাসা অত্যন্ত পবিত্র। আমাদের সন্তানরা মোবাইলে আসক্ত হয়ে যাচ্ছে। এতে একসময় শিশুরা মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়বে। বাচ্চাদের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য পোষা প্রাণীর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পোষা প্রাণীর সাথে সময় কাটানোর একটা ভালো মাধ্যম।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, নিয়মিত বিড়াল ও অন্যান্য পোষা প্রাণীর যত্ন নিতে হবে। পোষা বিড়ালকে বাইরের বিড়ালের সাথে মিশতে দেয়া যাবে না এবং নোংরা বা অপরিষ্কার হাতে বিড়াল স্পর্শ করা যাবে না। এতে করে তারা রোগাক্রান্ত হবার হাত থেকে অনেকাংশেই রক্ষা পাবে।

অনুষ্ঠানে প্রায় ১৫০ জন বিড়ালপ্রেমী তাদের বিড়াল নিয়ে এই ক্যাট শো-তে অংশগ্রহণ করেন। এদের মধ্যে অর্ধ শতাধিক বিদেশী জাতের বিড়াল ছিলো।

এসময় ক্যাট শো তে অংশগ্রহণকারী বিড়াল মালিক মাহমুদা হোসেন মলী বলেন, আমার দুইটি বিড়াল আছে। সকল ব্যস্ততার পরে ঘরে ফিরলে ওদের দুষ্টুমি দেখলে ক্লান্তি ভুলে যাই। বিড়াল আসলেই নির্মল বিনোদনের একটি মাধ্যম।

আরেক অংশগ্রহণকারী রোকসানা নাসরীন বলেন, বিড়ালের সমস্যা একটি বৈশ্বিক সমস্যা। তারাও বৈষম্যের শিকার। যেমন গ্রামে কালো বিড়ালকে অশুভ হিসবে দেখা হয়। তবে ইতোমধ্যে বিশ্বে অনেক দেশ বিড়ালের ভাষা বুঝার চেষ্টা করছে।

সমাপনী বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মো. ‍মাহমুদুল আলম বলেন, বিড়ালের বা যে কোনো পোষা প্রাণীর ব্যাপারে আমার প্রতিষ্ঠান থেকে সর্বোচ্চ সাহায্য করা হয়। আজকে আমরা ফ্রি র‍্যাবিস ভ্যাক্সিনেশন করেছি এবং অংশগ্রহণকারী বিড়ালদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছি। এছাড়া আমার প্রতিষ্ঠান থেকে অসহায় অসুস্থ বিড়াল ও পোষা প্রাণীদের উদ্ধার করে বিনামূল্যে চিকিৎসাও দেয়া হয়।