ইউপি নির্বাচন: কুমিল্লায় ভোট শুরুর আগেই গুলিতে আহত ৫

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ভোট শুরুর আগে গুলিতে আহত একজন,  ছবি: বার্তা২৪.কম

ভোট শুরুর আগে গুলিতে আহত একজন, ছবি: বার্তা২৪.কম

কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার গলিয়ারা দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) ও গলিয়ারা উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোটগ্রহণ শেষ হবে বিকেল ৫টায়।

বিজ্ঞাপন

তবে অভিযোগ উঠেছে, ওই দুই ইউনিয়ন পরিষদের বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরুর আগেই গুলি বিনিময়, ককটেল বিস্ফোরণ, ভাঙচুর ও কেন্দ্র দখল করা হয়েছে। সোমবার সকাল ৭টার দিকে ওই ইউনিয়ন পরিষদের যশপুর, শুভপুরসহ বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে এসব ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় ৫ জন গুলিবিদ্ধ হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৭টার দিকে শুভপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের পাশে দু'পক্ষের লোকজনের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়। এতে ৫ জন গুলিবিদ্ধ হয়। তাদের সকলকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুভপুর কেন্দ্রের কৃষ্ণনগর গ্রামের ভোটারদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ভোটাররা।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, যশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে সকল ভোটারদের সকাল ৯টার আগে বের করে দেয় বহিরাগতরা।

শুভপুর এলাকায় গুলি বিনিময়ে আহত আবুল বাশার অভিযোগ করে বলেন, ‘ছেলেসহ আমি ভোটকেন্দ্রে যাচ্ছিলাম। পথে মেম্বার প্রার্থী জিয়া উদ্দিনের (ফুটবল মার্কা) সমর্থকরা অপর মেম্বার প্রার্থী (মোরগ) মামুনুর রশিদের সমর্থকদের ওপর গুলি চালায়। এতে ৫ জন গুলিবিদ্ধ হয়।’

যশপুর কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার বিজয় কুমার দাস জানান, ভোটকেন্দ্রের মধ্যে কোনো সমস্যা হয়নি। বাইরে হলে হতেও পারে। তবে ভেতরে খুব সুন্দরভাবে ভোট হচ্ছে।

একই দাবি করেছেন শুভপুর কেন্দ্রের ভোটগ্রহণের দায়িত্বপ্রাপ্তরাও। তাদের দাবি, নিরপেক্ষভাবে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। তারা যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করছেন।

কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাচন অফিসার নাছির উদ্দিন চৌধুরী জানান, এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো প্রকার অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়নি। যদি কোনো অনিয়মের খবর পাওয়া যায় সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য, ওই দুই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মোট চেয়ারম্যান প্রার্থী ১২ জন। মেম্বার প্রার্থী ১০৫ জন। সীমানা বিরোধের জের ধরে দীর্ঘদিন ধরে এ দুইটি ইউনিয়নে নির্বাচন বন্ধ ছিল।