লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা উপজেলায় ধর্ষণের শিকার সাত বছর বয়সী শিশুটি বর্তমানে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সবশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী শিশুটির শারীরিক অবস্থা ভালো আছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। অন্যদিকে অভিযুক্তকে ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি।
ঘটনা যেভাবে ঘটলো:
ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত যুবক জহুরুল মোল্লা ওরফে সাগর একটি বেসরকারি বিদ্যুতের লাইনের শ্রমিক হিসেবে হাতিবান্ধা উপজেলায় কর্মরত ছিলেন। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যায় একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির পাইলিং এর কাজ চলার সময় বাল্ব জ্বালানোর জন্য বৈদ্যুতিক সংযোগ দরকার হলে সে পাশের একটি বাড়িতে যায়। সেই বাড়িতে ওই শিশুটিকে একা পেয়ে ২০ টাকা দেয়ার লোভ দেখিয়ে কাছে ডেকে নেয়। তারপর ওই শিশুকে ধর্ষণ করার সময় শিশুর চিৎকারে তার মা পাশের বাড়ি থেকে ছুটে আসলে দ্রুত পালিয়ে যায় সাগর। পরে অভিযুক্ত সাগরকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয়রা। মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগী শিশুটির পরিবারের সাথে কথা বলে ঘটনার এমন বর্ণনা পাওয়া গেছে।
কেমন আছে শিশুটি:
ঘটনার পরপর ওই শিশুটিকে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। এরপর শিশুটিকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকেরা। বৃহস্পতিবার রাত ১ টার দিকে সদর হাসপাতালে পৌঁছালে সেখানে শিশুটির চিকিৎসা চলছে।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) দুপুরে শিশুটির সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা জানতে লালমনিরহাট সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। হাসপাতালটির তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আব্দুল মোকাদ্দেম ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সামিরা হোসেন চৌধুরীকে একাধিকবার ফোন দিলেও তাদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। পরে লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল হাকিম বলেন, ‘লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসারের সাথে আমার সকালে কথা হয়েছে। শিশুটির শারীরিক অবস্থা ভালো। সর্বোচ্চ মানের চিকিৎসাসেবা দেয়ার চেষ্টা করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে শিশুটির চিকিৎসা চলছে। তবে ভয়ের কিছু নেই।
মামলা করেছেন শিশুটির বাবা:
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিশুর বাবা হাতীবান্ধা থানায় এজাহার দাখিল করেছেন। ধর্ষণের ঘটনায় এজাহার প্রাপ্তি ও একজনকে গ্রেফতারের বিষয়টি বৃহস্পতিবার রাত ২ টায় হাতীবান্ধার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুন নবী নিশ্চিত করেছেন।
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহমুদুন নবী বলেন, ভুক্তভোগী শিশুর পরিবার একটি এজাহার দিয়েছে। আমরা অভিযুক্ত জহুরুল মোল্লা(সাগর)কে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। নারী ও শিশু নির্যাতনের ৯/১ ধর্ষণ মামলায় তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত জহুরুল মোল্লা ওরফে সাগর(২৪) বরিশালের আগৌলঝাড়া উপজেলার আশকর গ্রামের হেলাল মোল্লার ছেলে বলে জানিয়েছে পুলিশ।