গাজীপুরের কালিয়াকৈর ও টঙ্গী এলাকায় শ্রমিক আন্দোলনের জেরে ১০টি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। ঈদের আগে হঠাৎ ছুটি ঘোষণায় বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে শ্রমিকরা। এ ঘটনায় অস্থিরতা বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সকাল থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিভিন্ন দাবি জানিয়ে আন্দোলন করেন শ্রমিকরা। একই সময়ে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কের কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক এলাকায়ও শ্রমিক ছাটায়ের প্রতিবাদ ও একাধিক দাবী জানিয়ে আন্দোলনে নামে শ্রমিকরা। এতে ব্যাস্ততম দুই মহাসড়কেই তৈরি হয় তীব্র যানজট।
এক পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা গিয়ে শ্রমিকদের সাথে আলাপ করে তাদের নিয়ন্ত্রণ করেন। দুপুর ২ টার দিকে মহাসড়কে যানবাহণ চলাচল পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়।
এদিকে শ্রমিক আন্দোলনের কারণে পরিস্থিতি অনূকূলে রাখতে গাজীপুরের মৌচাক, টঙ্গী, ভোগড়াসহ আশপাশের কয়েকটি এলাকার ১০টি কারখানা ছটি ঘোষণা করেছেন কর্তৃপক্ষ। ছুটি ঘোষণা করা এসব কারখানার শ্রমিকদের মাঝে অস্থিরতা বিরাজ করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শ্রমিক বলেন, ঈদের আগে অর্ধেক বেতন, বোনাস না দিয়ে কারখানা হঠাৎ বন্ধ করে দেয়ার মানে টা কী? এটা কি বেতন বোনাস না দেয়ার নতুন কৌশল। এভাবে চলতে থাকলে সব কারখানার শ্রমিকরা আবারও রাস্তায় নামবে।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের পুলিশ সুপার একেএম জহিরুল ইসলাম জানান, যেসব শ্রমিকরা আন্দোলন না করে কাজে যোগ দিতে চেয়েছিলেন, আন্দোলনরত শ্রমিকদের একটি পক্ষ তাদের মারধর করে আন্দোলনে নামতে বাধ্য করেছে বলে শুনেছি। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় গাজীপুরে এখন পর্যন্ত ১০টি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে যেকোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে।