পাকিস্তান থেকে সরকারি উদ্যোগে আমদানি করা ২৬ হাজার ২৫০ টন চাল নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে জাহাজ এমভি সিবি
পাকিস্তান থেকে সরকারি উদ্যোগে আমদানি করা চালের প্রথম চালান নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে পাকিস্তানি পতাকাবাহী ‘এমভি সিবি’ নামের একটি জাহাজ। প্রথম চালানে ২৬ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন আতপ চাল এসেছে।
বুধবার (৫ মার্চ) দুপুর সাড়ে তিনটার দিকে বন্দরের সিসিটি-১ জেটিতে জাহাজটি ভিড়ে।
খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, এই আমদানি বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর পাকিস্তানের সঙ্গে সরকারি পর্যায়ে প্রথম বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপনকে চিহ্নিত করেছে। বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান সরকারের মধ্যে স্বাক্ষরিত গেভার্নমেন্ট-টু-গেভার্নমেন্ট (জি-টু-জি) চুক্তির আওতায় এই চাল আমদানি করা হচ্ছে।
খাদ্য অধিদফতর সূত্র জানায়, গত ১৪ জানুয়ারি পাকিস্তান থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল আমদানির জন্য সরকারি পর্যায়ে সমঝোতা স্মারক সই হয়। এই সমঝোতা স্মারকটি ট্রেডিং করপোরেশন অব পাকিস্তান এবং খাদ্য অধিদফতরের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়। এর আওতায় প্রথম চালান নিয়ে আসা জাহাজটি ৪ মার্চ রাত ২টায় চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছায় এবং বুধবার (৫ মার্চ) বেলা সাড়ে তিনটায় সিসিটি-১ জেটিতে ভিড়েছে।
চট্টগ্রামের চলাচল ও সংরক্ষণ নিয়ন্ত্রক দফতরের নিয়ন্ত্রক জ্ঞান প্রিয় চাকমা জানান, পাকিস্তান থেকে চুক্তির ৫০ হাজার মেট্রিক টন আতপ চালের মধ্যে প্রথম চালানে ২৬ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন চাল বন্দরে পৌঁছেছে। আমদানি চালের নমুনা পরীক্ষা ও সার্ভে শেষে রাতে খালাস প্রক্রিয়া শুরু হয়।
তিনি আরও জানান, বাকি চালের চালান নিয়ে আরেকটি জাহাজ আগামী সপ্তাহে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
চট্টগ্রামের খাদ্য পরিদর্শক মহিউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী বলেন, একটি জাহাজ থেকে দৈনিক প্রায় তিন হাজার মেট্রিক টন চাল খালাস করা সম্ভব। সে অনুযায়ী পাকিস্তান থেকে আসা জাহাজের ২৬ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন চাল খালাস করতে আট দিন লাগতে পারে।
চট্টগ্রাম বন্দরে গত মাসে ৯৩ হাজার ৭৮৩ মেট্রিক টন চাল খালাস হয়েছে, যেগুলো ভারত ও মিয়ানমার থেকে আমদানি করা হয়েছিল।