হিমাগারের আলু সংরক্ষণ ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে মহাসড়কে আলু ফেলে সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন করেছেন লালমিনরহাটের আলু চাষিরা।
শনিবার (১ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টায় লালমনিরহাট রংপুর মহাসড়কে সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর বাজারে মহাসড়কে আলু ফেলে মানববন্ধন করেন তারা।
মানববন্ধনে অংশ নেয়া আলু চাষি ও ব্যবসায়ীরা জানান, লালমনিরহাটের ৫টি উপজেলা ও দুইটি পৌরসভার চাষিদের উৎপাদিত আলু জেলার ৯টি হিমাগারে সংরক্ষণ করা হয়। চাষি ও ব্যবসায়ীরা বীজসহ সংকট কালিন সময়ের জন্য আলু সংরক্ষণ করেন। গত বছর ৬০ কেজি ওজনের এক বস্তা আলু সংরক্ষণে হিমাগারের ভাড়া ছিল তিন শত ৫০ টাকা। কিন্তু চলতি বছরে হিমাগার কর্তৃপক্ষ কোন প্রকার ঘোষণা ছাড়াই একই বস্তা আলুর ভাড়া চার শত ৮০ টাকা নির্ধারণ করায় প্রান্তিক কৃষকরা দিশাহারা হয়ে পড়েছেন। চলতি বছরে আলুর উৎপাদন খরচ উঠছে না। এতে আবার সংরক্ষণ বাড়াও বেড়েছে। ফলে মরার উপর খরার ঘাঁ তৈরী হয়েছে প্রান্তিক আলু চাষিদের।
তাই আলু সংরক্ষণে হিমাগারের বাড়তি ভাড়া বাতিল করে পূর্বের ভাড়া বহাল রাখার দাবী জানিয়ে মানববন্ধন করে আলু চাষি ও ব্যবসায়ীরা। দুই ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধন ও মহাসড়ক অবরোধ করায় শতশত যান বাহন আটকা পড়ে উভয় প্রান্তে। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহম্মেদ লিমন, কৃষক প্রতিনিধি নুরনবী মোস্তফা, সাওয়ার সরকার লিংকন, জাহাঙ্গীর আলম, আঃ সামাদ, আজিজুল হক, বেলায়েত হোসেন ও ফয়সাল হোসেন প্রমূখ।
মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, চলতি মৌসুমে আলু উৎপাদনের খরচ কয়েকগুণ বেড়েছে। এ বার আলুর বীজ, সার, কীটনাশক কিনে উপাদান করতে গিয়ে মূল্য আগের তুলনায় অনেক বেশি পড়েছে। তার ওপর হিমাগারের ভাড়া বৃদ্ধি করায় কৃষকদের জন্য আলু সংরক্ষণ করা প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠেছে।
এমনিতেই আলুর দাম কম, তার ওপর হিমাগারের ভাড়া অযৌক্তিকভাবে বাড়িয়ে কৃষকদের সংকটে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এতে করে প্রান্তিক চাষিরা মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়বেন। যার প্রভাব পুরো অর্থনীতিতে পড়বে। ভাড়া বৃদ্ধি সরাসরি কৃষকদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। যদি অবিলম্বে ভাড়া বৃদ্ধির ঘোষণা প্রত্যাহার করা না হয়। তাহলে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়ার ঘোষনা দেন বক্তরা।