চট্টগ্রাম বিএনপির কর্মসূচিতে অংশ নিতে মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামে আসার কথা ছিল বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানের। প্রস্তুত ছিল মঞ্চ, অপেক্ষায় ছিলেন নেতাকর্মীরা। কিন্তু সেই মঞ্চে আর কখনোই দাঁড়াবেন না নোমান। দীর্ঘ রাজনৈতিক পথচলা থেমে গেল চিরতরে।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ভোরে ঢাকার ধানমন্ডির বাসায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। দ্রুত একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হলেও সকাল ৬টায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বর্ষীয়ান এই রাজনীতিক।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্যক্তিগত সহকারী নুরুল আজিম হিরু। তিনি বলেন, নোমান স্যার বাসায় ইন্তেকাল করেন। হাসপাতালে নেওয়া হলেও তিনি বেঁচে ছিলেন না। আজ চট্টগ্রামে তার একাধিক কর্মসূচিতে থাকার কথা ছিল। কিন্তু তিনি আর ফিরলেন না।
তার মৃত্যুতে চট্টগ্রামের রাজনীতিতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। যেখানে আজ তার বক্তব্য শোনার কথা ছিল, সেখানে এখন শুধুই কান্না। বিএনপির নেতাকর্মীরা শোকে মুহ্যমান। স্থগিত করা হয়েছে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির পূর্বঘোষিত সমাবেশ।
ষাটের দশকে ছাত্র ইউনিয়নের মাধ্যমে রাজনীতিতে পথচলা শুরু করেন আবদুল্লাহ আল নোমান। মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়ার পর শ্রমিক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হন এবং পরে বিএনপিতে যোগ দেন। চট্টগ্রামের কোতোয়ালী আসন থেকে ১৯৯১ ও ২০০১ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ এবং খাদ্য মন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে চট্টগ্রামের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা নোমান আর কোনোদিন ফিরবেন না তার প্রাণের নগরীতে। যেখানে আজ তার নেতৃত্ব দেওয়ার কথা ছিল, সেখানে এখন শোকের মাতম।