অফিস ভাড়া দিয়ে বিপাকে বাড়িওয়ালা

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪. কম | 2024-12-03 23:44:08

রাজধানীর কলাবাগানে অফিস ভাড়া দিয়ে বিপাকে পড়েছেন বাড়িওয়ালা। অফিসের মালিক বকেয়া ভাড়া পরিশোধ না করে উল্টো বাড়ির মালিকের নামে থানায় অভিযোগ দিয়ে হেনস্তা করার অভিযোগ উঠেছে।

এদিকে হেনস্তার বিষয়ে থানায় অভিযোগ করেছেন বাড়ির মালিক ইসমাইল হোসেন, সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, নূরতাজ ডটকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সেলিম শেখ গত ০১/১২/২০২৩ইং তারিখে ফেয়ার দিয়া কমপ্লেক্স এর ৬/আই ফ্ল্যাটটি মাসিক ৫৫,০০০/-(পচান্ন হাজার) টাকা ভাড়ায় নিয়ে অফিস পরিচালনা করছিলেন। ভাড়া নেওয়ার পর তারা ফ্ল্যাটের বিভিন্ন কাজ করে যার ফলে তাদের এক মাসের ভাড়া মুওকফও করে দেই। কিন্তু ফ্লাট ভাড়া নেওয়ার পর থেকেই তারা অনিয়মিত ভাবে ভাড়া প্ররিশোধ করত, আজ নয় কাল দিবে বলে গত এপ্রিল/২০২৪ মাস হইতে এখন পর্যন্ত তালবাহান করে আসছে। আমি গত ২৭/১১/২০২৪ইং তারিখ সকালে আমার ফ্ল্যাটের ভাড়া জন্য বিবাদীর অফিসে গিয়ে দেখি অফিসের দরজা খোলা এবং ভিতরে প্রবেশ করে দেখি অফিসের কোনো মালামাল নাই। তারা ছয় মাসের ভাড়া বাবাদ(৫৫,০০০X৬=৩,৩০,০০০/-(তিন লক্ষ ত্রিশ হাজার) টাকা এবং বিদ্যুৎ বিল ৩২,০০০/-(বত্রি হাজার) টাকা পরিশোধ না করিয়া পালিয়ে যায়।

বাড়ির মালিক ইসমাইল হোসেন জানান, নূরতাজ ডটকমের কাছে ৬ মাসের ভাড়া বকেয়া রয়েছে। তার সেই ভাড়া পরিশোধ না করে তারা মালপত্র নিয়ে পালিয়ে গেছে। এখন আমার নামে থানায় তাদের অফিসের মালামাল লুটপাটের অভিযোগ করেছে।

তিনি বলেন, গত এপ্রিল মাস থেকেই ভাড়া দেয়ার বিষয়ে গড়িমসি করে আসছেন নূরতাজ ডটকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম শেখ। তাকে উকিলের মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশও দিয়েছি আমি, সর্বশেষ গত মাসে নূরতাজ ডটকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম শেখকে ভাড়া পরিশোধ না করায় অফিস খালি করার নোটিশ দেই, তারপরে তারা ভাড়া না দিয়ে আমার নামে থানায় অভিযোগ দিয়েছে।


ইসমাইল হোসেন আরও বলেন, সেলিম শেখ আরও অনেক মানুষের থেকে প্রতারণা করেছেন। এখন সেসব লোক আমার বাড়িতে এসে তাকে খুঁজছে, আমাকে নানান প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

এদিকে স্থানীয় কলাবাগান থানার ১৬নং ওয়ার্ডের বিএনপির সহসভাপতি আব্দুল মান্নান ভূইয়ার নাম জড়িয়েও আনা হয়েছে চাঁদাবাজি ও লুটপাটের অভিযোগ।

এ বিষয়ে আব্দুল মান্নান ভূইয়া জানান, আমি কখনো নূরতাজের অফিসেও যাইনি। আমার বাসা একই বিল্ডিংয়ে হওয়ায় বাড়ির মালিক আমাকে বিষয়টি জানালে আমি এটা সমাধান করতে বলি। এদিকে সেলিম শেষ আমাকে জড়িয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছে। অথচ আমি চাঁদাবাজি লুটপাট তো দূরের কথা ওনার সাথে এর আগে আমার কথাও হয়নি।

এ বিষয়ে জানতে নূরতাজ ডটকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম শেখের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে ফোন করে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর