জীবনযাপনের গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো আত্মকেন্দ্রিকতা থেকে বেরিয়ে আসা। জ্ঞানীরা বলেছেন, পরামর্শ না করে কোনো উন্নতি বা অগ্রগতি অর্জিত হয় না। ইসলামের শিক্ষা হলো- জীবনযাপনের ক্ষেত্রে পরামর্শভিত্তিক পথ চলা। মানবজীবনে এর যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে।
পৃথিবীতে এমন কোনো মানুষ নেই, যে জীবনে কোনো সমস্যার সম্মুখিন হননি, মানুষ বলতেই সমস্যায় পড়েন এবং সেই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে চেষ্টাও করেন। কিন্তু মানুষের স্বাভাবিক প্রবণতা হলো সমস্যা সমাধানের জন্য সময় না দেওয়া। তাই সমাধানের বহু পথ ও উপায় থাকা সত্ত্বেও সেগুলো আমাদের চোখে পড়ে না। দ্রুত সমাধানের পথে অগ্রসর হই আমরা। অথচ তাড়াহুড়া করে নেওয়া কোনো সিদ্ধান্ত সমস্যা সমাধানে খুব বেশি সাহায্য করে না। কারণ হলো, দ্রুততার সঙ্গে গৃহীত সিদ্ধান্তে সমস্যার গভীরে দৃষ্টি দেওয়ার সুযোগ থাকে না। তাই সমাধানটাও সুদূরপ্রসারী হয় না।
চীনা একটি প্রবাদ আছে, ‘যদি কোনো কাজ সঠিকভাবে করতে চাও তাহলে অন্তত তিনজন বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তির সঙ্গে পরামর্শ করো।’ বলা হয়, ‘যে বেশি বেশি পরামর্শ করে সে তুলনামূলকভাবে কম ভুল করে।’
যে সব মানুষ অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতে চিন্তাভাবনা করে, প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে সমস্যা কাটিয়ে ওঠার পথ খুঁজে বেড়ায়- তারা জীবনে সফল।
এ কারণে অধিকাংশ সফল মানুষদের দেখা যায়, জীবনে সমস্যার সম্মুখিন হলে সবাই সমস্যার ওপরই গুরুত্ব দেয়। ফলে সমস্যার সঠিক সমাধান মেলে। বিভিন্ন রকমের চিন্তা বা পরামর্শের কারণে তুলনামূলকভাবে ভালো সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়। সুতরাং সমস্যা সমাধানের শক্তি এবং সাফল্যে পৌঁছার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
পরামর্শ করার ফলে অভিজ্ঞ ও চিন্তাশীলদের চিন্তাকে কাজে লাগানোর একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়। আর অভিজ্ঞদের চিন্তার প্রভাবে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি ও চিন্তাও গভীর হয়, সমৃদ্ধ হয়।