মুমিন-মুসলমানের অজান্তে অনেক সময় গুনাহ হয়ে যায়। আর ছোট ছোট কিছু আমলের মাধ্যমে এসব গুনাহ মোচন হয় এবং মর্যাদা বৃদ্ধি পায়। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রতি ফজর ও মাগরিবের নামাজের পর তা পড়তে বলেছেন। এমন একটি আমল হলো-
لآ إِلهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الُحَمْدُ يُحْيِيْ وَيُمِيْتُ وَهُوَ عَلى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيْرٌ
উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু, ওয়া লাহুল হামদু, ইউহয়ি ওয়া ইউমিতু, ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কদির।
অর্থ: একমাত্র আল্লাহ ছাড়া অন্য কোনো উপাস্য নেই। তিনি একক। তার কোনো অংশীদার নেই। তারই জন্য পুরো রাজত্ব। তার জন্য সব প্রশংসা। তিনি জীবিত করেন ও মৃত্যু দান করেন। তিনি সব বিষয়ে ক্ষমতাবান।
হাদিসে আছে, হজরত আবদুর রহমান বিন গানম (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি মাগরিব ও ফজরের নামাজ শেষে ফিরে বসা ও পা সরানোর আগে উল্লিখিত দোয়াটি ১০ বার পড়বে মহান আল্লাহ তার জন্য প্রতি বারের বিনিময়ে ১০টি সওয়াব লিখবেন, ১০টি গুনাহ মাফ করবেন এবং ১০ স্তর মর্যাদা উন্নীত করবেন। ওই ব্যক্তি সব ধরনের অপ্রীতিকর বিষয় ও বিতাড়িত শয়তান থেকে সুরক্ষিত হবেন। শিরিক ছাড়া তার সব ধরনের ক্ষমা করা হবে। ওই ব্যক্তি আমলের দিক থেকে সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তি হবে। তবে কেউ তার চেয়ে উত্তম জিকির পড়লে তার কথা ভিন্ন।’ -মুসনাদে আহমাদ: ১৭৯৯০