সার্বিয়ায় সংসদে সরকারি এমপিদের লক্ষ্য করে ধোঁয়ার গ্রেনেড এবং কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছেন বিরোধী দলের এমপিরা। এঘটনায় এক এমপি স্ট্রোক করেছেন।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) চার মাস ধরে চলমান ছাত্র-জনতার বিক্ষোভে সমর্থন জানাতে সংসদে ধোঁয়ার গ্রেনেড মারেন বিরোধী এমপিরা। বার্তাসংস্থা রয়টার্স এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর দেশটির নোভি সাদে রেলস্টেশনের ছাদ ধসে ১৫ জন নিহত হন। ওই ঘটনার পর দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নামেন শিক্ষার্থীরা। তাদের সাথে যোগ দিয়েছেন কৃষক, মজুরসহ সব সাধারণ মানুষ। এর জেরে দেশটির প্রধানমন্ত্রী মিলোসি ভুকেভিক পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। তা সত্ত্বেও আন্দোলন থামেনি। এ মুহূর্তে প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার ভুকিকের প্রায় এক দশকের শাসন হুমকির মুখে পড়েছে।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ও অন্যান্য বিষয় সংসদের এজেন্ডায় আনে ক্ষমতাসীন দল সার্বিয়ান প্রোগ্রেসিভ পার্টি (এসএনএস)। ওই সময় বিরোধী দলের এমপিরা তাদের আসন থেকে ওঠে স্পিকারের দিকে ছুটে যান এবং সংসদের নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে বিবাদে জড়ান। অপর একটি অংশ ধোঁয়ার গ্রেনেড এবং কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে মারেন।
স্পিকার আনা বার্নাবিক জানান, এসব ঘটনায় দুজন এমপি আহত হয়েছেন। এরমধ্যে সরকার দলীয় জেসমিনা ওব্রাদোভিক স্ট্রোক করেন। তবে তা সত্ত্বেও সংসদের অধিবেশন ‘সার্বিয়ার মঙ্গলের’ জন্য চালু রাখার ঘোষণা দেন স্পিকার।
তার নির্দেশনা অনুযায়ী যখন অধিবেশন চলছিল তখন সরকার দলীয় এমপিরা কথা বলা শুরু করেন। তখন বিরোধী এমপিরা বাঁশি ও হর্ন বাজিয়ে সেগুলো বাধাগ্রস্ত করেন। এছাড়া তারা ‘ধর্মঘটের’ ডাক দেন।
ওই সময় সংসদের বাইরে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ মানুষ। তারা রেলস্টেশন ধসে নিহত সেই ১৫ জনের জন্য নিরবতা কর্মসূচি পালন করেন। এছাড়া ১৫ মার্চ বেলগেরেদে বিশাল র্যালির ঘোষণা দিয়েছে বিক্ষোভের নেতৃবৃন্দরা।