ভারতের অন্যতম সম্মানজনক পুরস্কার ‘ফিল্মফেয়ার’। গত শতকের ষাটের দশক থেকে বলিউডে এই পুরস্কার প্রাদাণ করা হয়। একটা সময় হিন্দি ভাষার বাইরের তারকাদের কাছে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার ছিলো অসাধ্য। কিন্তু সময়ের দাবীতে ফিল্মফেয়ার হিন্দি ছবির বাইরে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলভিত্তিক পুরস্কারের আয়োজন করে। ফিল্মফেয়ার বাংলা’র যাত্রাও শুরু হয়েছে এক দশকের বেশি সময় ধরে। আর সেই পথচলার শুরু থেকেই বাংলাদেশের নন্দিত অভিনেত্রী জয়া আহসানের নাম জুড়ে আছে। তিনি এরইমধ্যে বেশকিছু ফিল্মফেয়ার নিজের করে নিয়েছেন।
গত বছরই প্রথম জয়ার বাইরে অন্য কোন বাংলাদেশি তারকা এই পুরস্কার পান। সেরা নবাগত অভিনয়শিল্পী হিসেবে পুরস্কার জেতেন তাসনিয়া ফারিণ ও সোহেল মণ্ডল।
২০২৪-এর সেরা শিল্পী, নির্মাতা ও কলাকুশলীদের সম্মান জানাতে ফিল্মফেয়ার বাংলার আসর বসার কথা আসছে ১৮ মার্চ। তার আগে ফিল্মফেয়ার কতৃপক্ষ প্রকাশ করেছে মনোনয়ন। তাতে জয়া আহসান ছাড়াও দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের দুজন প্রখ্যাত অভিনয়শিল্পীর নাম। তারা হলেন মোশাররফ করিম ও চঞ্চল চৌধুরী।
জানা গেছে, প্রখ্যাত নির্মাতা মৃণাল সেনের বায়োপিক ‘পদাতিক’ এর জন্য সেরা অভিনেতার মনোনয়ন (সমালোচক ক্যাটাগরী) পেয়েছেন চঞ্চল। একই বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছেন মোশাররফ করিম। ব্রাত্য বসু পরিচালিত ‘হুব্বা’য় অভিনয়ের জন্য মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি। অর্থাৎ চঞ্চল চৌধুরী ও মোশাররফ করিম—দুজনের যে কেউ পুরস্কারটি পেতে পারেন।
ফিল্মফেয়ারের মঞ্চে জয়া আহসানের উপস্থিতি নতুন কিছু নয়। গত বছরও ‘দশম অবতার’ সিনেমার জন্য সেরা অভিনেত্রী ও ‘অর্ধাঙ্গিনী’র জন্য সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছিলেন। পার্শ্ব অভিনেত্রীর পুরস্কারটিও তিনি পেয়েছিলেন।
এবারের আসরে ‘ভূতপরী’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য সেরা অভিনেত্রী (জনপ্রিয় ক্যাটাগরী) বিভাগে মনোনয়ন পেয়েছেন জয়া। তার সঙ্গে মনোনয়ন তালিকায় আরও রয়েছেন অপরাজিতা আঢ্য (এটা আমাদের গল্প), কৌশানী মুখার্জি (বহুরূপী), ঐন্দ্রিলা সেন (মির্জা), ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত (অযোগ্য) ও শুভশ্রী গাঙ্গুলি (বাবলি)।