জবিতে সমাজতাত্ত্বিক ছাত্র ফ্রন্টের ১৯ দাবি

, ক্যাম্পাস

জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2025-02-24 22:17:22

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা কর্তৃক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস সংস্কারের জন্য ১৯ দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারী) সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি ইভান তাহসীব এবং সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম মারুফ এর স্বাক্ষরিত একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দাবিসমূহ জানানো হয়।

দাবিসমূহ হলো

১. ক্যাম্পাসে সন্ত্রাস ও দখলদারিত্বমুক্ত গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করে দ্রুততম সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় আইনে জকসু নীতিমালা সংযোজন করে অবিলম্বে কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ, হল সংসদ ও বিভাগভিত্তিক শিক্ষার্থী সংসদ নির্বাচন দিতে হবে।

২. ক্যাফেটেরিযার পরিধি বৃদ্ধিসহ উন্নত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। ভর্তুকি প্রদান সাপেক্ষে ক্যাফেটেরিয়া ও ছাত্রী হলে ২০ টাকায় দুপুরের খাবার নিশ্চিত করতে হবে এবং রাতের খাবারের ব্যবস্থা চালু করতে হবে।

৩. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন সংশোধন করে পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করতে হবে।

৪. ২০২৬ সালের মধ্যে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে আবাসন নিশ্চিত করতে হবে এবং আবাসন নিশ্চিত হওয়ার আগ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের আবাসন ভাতা নিশ্চিত করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের জন্য আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

৫. শিক্ষা ও গবেষণায় পর্যাপ্ত বাজেট নিশ্চিত করতে হবে। সকল শিক্ষার্থীর জন্যে গবেষণায় অংশগ্রহণের সুযোগ নিশ্চিত করাতে হবে। আগ্রহী সকল শিক্ষার্থীদের গবেষণা তহবিলে অন্তর্ভুক্ত করা শিার্থীর জন্যে গবেষনায় মূল মানসম্মত গবেষণা প্রকাশনার জন্য শিক্ষার্থীদের আর্থিক প্রণোদনা দিতে হবে।

৬. শিক্ষক নিয়োগে গবেষণা ও অভিজ্ঞতাভিত্তিক অগ্রাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষক নিয়োগে লিখিত পরীক্ষা, শিক্ষার্থীদের সামনে ডেমো ক্লাস নেওয়ার প্রক্রিয়া চালু করতে হবে। মিস্ত মিলিয়ত করতে হবে। শিবেষণা ও নিরপেক্ষতা মুলায়নে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৭. মেডিকেল সেন্টারে ২৪ ঘন্টা চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করে, পর্যাপ্ত ডাক্তার-নার্স, টেকনিশিয়ান নিয়োগসহ অ্যাম্বুলেন্স সংখ্যা বৃদ্ধি ও উন্নত চিকিৎসা সামগ্রী, পর্যাপ্ত ঔষুধ এবং স্যানিটারি ন্যাপকিনের ডাক্তার নার্স হবে। কয়েকরী কাউন্সিলিং সেন্টার গঠন করতে হবে। শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।

৮. উচ্চশিক্ষা ধ্বংসের হাতিয়ার ইউজিসির কৌশলপত্র বাতিল করে শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ বন্ধ করতে হবে। অভ্যন্তরীণ আাযের নামে শিক্ষার্থীদের বেতন বৃদ্ধি করা যাবে না এবং সান্ধ্যকালীন কোর্স বাতিল করতে হবে।

৯. প্রতিটি বিভাগে বৈশিষ্ট্যভিত্তিক একাডেমিক ল্যাব, ক্লাসরুমে প্রজেক্টর, পর্যাপ্ত বই, কম্পিউটার ও ফটোকপি মেশিনসহ আধুনিক শিক্ষাসুবিধা সহ উন্নত ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপন করতে হবে।

১০. যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেল কার্যকর করতে হবে। ক্যাম্পাসে সংঘটিত যৌন নিপীড়ন, ব‍্যাগিং ও নির্যাতনের পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে নিপীড়নের ইন্ধনদাতা ও সমর্থনকারীদের যথাযথ বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

১১. বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল আর্থিক লেনদেন জনসম্মুখে প্রকাশ করতে হবে এবং বিগত সময়ের উন্নয়ন প্রকল্পের দুর্নীতিসহ সকল প্রশাসনিক দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে হবে।

১২. রেজিস্ট্রার ভবন, আইটি সেল, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দপ্তরসহ প্রশাসনিক বিভাগে সকল অনিয়ম ও হয়রানি বন্ধে ডিজিটালাইজড সিস্টেম চালু করতে হবে। ওয়ান স্টপ-সার্ভিস চালু করতে হবে।

১৩. শহীদ সাজিদ ভবনে পর্যাপ্ত লিফট স্থাপন করতে হবে। নারী শিক্ষার্থীদের জন্য মানসম্মত ওয়াশরুম এবং প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের বিশেষায়িত ওয়াশরুম নিশ্চিত করতে হবে।

১৪. কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখতে হবে। লাইব্রেরির ব্যবস্থাপনা আধুনিকীকরণ করতে হবে।

১৫. ক্যাম্পাসে বাসের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে। শাটল বাসের রুট বৃদ্ধি করতে হবে। সকল রুটে বাসের নিয়মিত চলাচল নিশ্চিত করতে হবে।

১৬. সাংস্কৃতিক ও সামাজিক কার্যক্রমের জন্য বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধি এবং নিয়মিত সমাবর্তনের ব্যবস্থা করতে হবে করতে হবে।

১৭. ক্যাম্পাসের সামগ্রিক পরিবেশের মান উন্নত করতে হবে। জনপরিসর বাড়াতে হবে।

১৮. জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যার ইন্ধনদাতা ও সমর্থনকারীদের যথাযথ তদন্তপূর্বক প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

১৯. শিক্ষার্থীদের পার্ট টাইম কাজের সুযোগ করে দিতে হবে। স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে শিক্ষক সহায়তাকারী (Graduat e Teaching Assistant) নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করতে হবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর