বন্দরগুলো খুলে না দিলে বিশ্বে খাদ্য সংকট দেখা দেবে: জেলেনস্কি
রুশ-ইউক্রেন সংঘাত-
-
|

ছবি: সংগৃহীত
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ইউক্রেনকে ২২ মিলিয়ন টন খাদ্য পণ্য রফতানি করতে বাধা দিচ্ছে রাশিয়া।
শনিবার (২১ মে) পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও কস্তার বৈঠকের পর সংবাদমাধ্যমকে জেলেনস্কি বলেন, বিশ্ব সম্প্রদায় যদি ইউক্রেনকে তার বন্দরগুলো ব্যবহারে সহায়তা না করে তবে জ্বালানির পর খাদ্য সংকটও দেখা দেবে।
যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনের বন্দর দিয়ে পণ্য সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। যুদ্ধের আগে ইউক্রেন থেকে প্রচুর পরিমাণে সূর্যমুখী তেলের পাশাপাশি ভুট্টা ও গম রফতানি হতো।
যুদ্ধের কারণে ইউক্রেন থেকে পণ্য রফতানি না হওয়ায় বিশ্বব্যাপী খাদ্যের দাম ইতিমধ্যে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে, ইউক্রেনের বন্দরগুলো খুলে দিতে রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। জবাবে রাশিয়ার ওপর পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের শর্ত দিয়েছে মস্কো। বলেছে, ইউক্রেন অভিযানের জেরে রাশিয়ার ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া নিষেধাজ্ঞাগুলো পুনর্বিবেচনা করা হলেই বন্দর খোলার বিষয়ে ভাববে তারা। আল–জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
রাশিয়া ও ইউক্রেন বিশ্বের ৩০ শতাংশ গম রফতানি করে থাকে। যুদ্ধের আগে ইউক্রেনকে বিশ্বের রুটির ঝুড়ি বলা হতো, দেশটি প্রতি মাসে ৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন টন কৃষি পণ্য রফতানি করত।
কিন্তু গত ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া দেশটিতে আক্রমণ শুরু করার পর থেকে রফতানি কমে গেছে এবং দাম আকাশচুম্বী হয়েছে। গত শনিবার ভারত গম রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর দাম আরও বেড়েছে।
জাতিসংঘ বলছে, বর্তমানে ইউক্রেনে প্রায় ২০ মিলিয়ন টন শস্য আটকে আছে, যা ছেড়ে দেওয়া হলে বিশ্ব বাজারের চাপ কমাতে পারে।