গভীর সমুদ্রে চিত্রায়িত মেজবাউর রহমান সুমনের বহুল প্রতীক্ষিত চলচ্চিত্র ‘হাওয়া’র পোস্টার সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে।
অতল সমুদ্রে গন্তব্যহীন একটি ফিশিং ট্রলারে আটকে পড়া আটজন মাঝি মাল্লা ও এক রহস্যময় বেদেনীকে ঘিরে চলচ্চিত্রটি নির্মিত হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
নির্মাতার বরাতে জানা গেছে, হাওয়া চলচ্চিত্রটি মূলত একালের রূপকথা। বহুল প্রচলিত এ ফর্মটি সিনেমার পর্দায় নতুন আঙ্গিকে দেখতে পাবেন দর্শকরা।
মেজবাউর রহমান সুমনের কাহিনী ও সংলাপে চলচ্চিত্রটির চিত্রনাট্য লিখেছেন জাহিন ফারুক আমিন, সুকর্ণ সাহেদ ধীমান ও মেজবাউর রহমান সুমন।
বিজ্ঞাপন
এতে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী, নাজিফা তুষি, শরীফুল ইসলাম রাজ, সুমন আনোয়ার, সোহেল মণ্ডল, নাসির উদ্দিন খান, রিজভী রিজু, মাহমুদ আলম ও বাবলু বোস।
চলচ্চিত্রটির চিত্রগ্রহণ করেছেন কামরুল হাসান খসরু। সম্পাদনা সজল অলক, আবহ সঙ্গীত রাশিদ শরীফ শোয়েব ও গানের সঙ্গীত আয়োজন করেছেন ইমন চৌধুরী।
প্রকাশিত পোস্টারটি ডিজাইন করেছেন সব্যসাচী মিস্ত্রী। চলচ্চিত্রটির নির্মাণ সংস্থা ফেসকার্ড প্রোডাকশন ও প্রযোজনা সংস্থা সান মিউজিক অ্যান্ড মোশন পিকচার্স লিমিটেডের সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে চলচ্চিত্রটির নির্মাণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। শিগগিরই সেন্সরে জমা পড়তে যাচ্ছে। কোভিডের পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিনেমা হলে মুক্তির দিনক্ষণ অচিরেই জানানো হবে।
এ সময়ে ছোটপর্দার অন্যতম জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী সাবিলা নূর। তাকে দর্শক শুধুই ভালোবাসেন কাজের মাধ্যমে। কারণ, তার ব্যক্তিজীবনে নেই কোন রসালো গল্প।
খুবই বুঝে শুনে পা ফেলেন এই অভিনেত্রী। ভালো গল্প, চরিত্র আর নির্মাতার সঙ্গে কাজেই শুধু তার ঝোঁক। নেই শোবিজ পলিটিক্স, কিংবা গসিপিং-এ। অভিনয়ের বাইরে বাকীটা সময় কাটান পরিবার, বই পড়া কিংবা সিনেমা দেখার মাধ্যমে।
সাবিলা নূর । ছবি: টুডে স্টোরি
তাইতো কখন যে লুকিয়ে লুকিয়ে একটি বই লিখে ফেললেন কেউ জানতেই পারেনি। কাজ হওয়ার আগে তার বিন্দুমাত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশও করেননি এই মেধাবী অভিনেত্রী। অথচ আজ একুশে বইমেলার শেষবেলাতে এসে একেবারে বইয়ের প্রচ্ছদ নিয়ে হাজির সাবিলা!
চুপিসারে লেখক বনে গেলেন এই তারকা। নিজের লেখা প্রথম বইয়ের মোড়ক ফেসবুকে প্রকাশ করে সাবিলা লিখেছেন, ‘‘আমার প্রথম বই ‘ভালোবাসা অতঃপর’। এই বইজুড়ে থাকছে দশ রকমের দশটি গল্প। পাওয়া যাচ্ছে এবারের বইমেলায়। অনন্যা প্রকাশনী, প্যাভিলিয়ন-২৭’।’’
সাবিলার প্রথম বইয়ের প্রচ্ছদ
বইটির লেখক সাবিলা একা নন। যৌথভাবে লিখেছেন সালাম রাসেল নামের আরেক লেখক।
প্রসঙ্গত, লেখক হিসেবে সাবিলা এবারই প্রথম আত্মপ্রকাশ করলে তিনি লেখালেখি করেন ছোটবেলা থেকেই। সেই লেখা যে কেবল নিজের নোটবুক কিংবা ডায়রিতে খসড়া হিসেবেই থেকে গেছে তাও কিন্তু নয়।
সাবিলা নূর । ছবি: শায়ান তানজিল
এই অভিনেত্রীর লেখা গল্প নিয়ে ২০২১-এ নির্মিত হয় নাটক ‘পারাপার’। রাফাত মজুমদার রিংকুর নির্দেশনায় সেই নাটকে অভিনয় করেন সাবিলা নূর নিজেই। তার সহশিল্পী ছিলেন তাহসান খান ও মনোজ প্রামাণিক।
এরপর ২০২২-এ সাবিলা লেখেন দর্শক নন্দিত নাটক ‘রিদিকা’র গল্পটি। সেই নাটকে তার সহশিল্পী ছিলেন ইয়াস রোহান।
সাবিলা নূর । ছবি: টুডে স্টোরি
বাংলাদেশ বিনোদন সাংবাদিক সমিতি (বাবিসাস) অ্যাওয়ার্ড ২০২৩-২০২৪ এ শ্রেষ্ঠ নৃত্যশিল্পী ও কোরিওগ্রাফার হিসেবে পুরস্কৃত হলেন সময়ের তরুণ নৃত্যশিল্পী মোফাসসাল আলিফ। গত ২২ ফেব্রয়ারি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে এক জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে। এটি ছিলো বাবিসাসের ২৪ তম আয়োজন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কিংবদন্তী অভিনেত্রী আনোয়ারা বেগম। দেশ বরেণ্য মিডয়া ব্যাক্তিত্বের উপস্থিতিতে মুখরিত ছিলো অডিটোরিয়াম।
নৃত্যশিল্পী মোফাসসাল আলিফ
মোফাসসাল আলিফ দেশের পাশাপাশি সমান তালে দেশের বাইরেও পারফরম্যান্স করে যাচ্ছেন।
বাংলাদেশের নাচ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মাথা উচু করে দাঁড়াবে এটাই তার চাওয়া। সে লক্ষ্যেই নিজের নৃত্যদল 'অ্যালিফিয়া স্কোয়াড' নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।
এভাবে আর কত দিন নাটক করতে পারব জানি না: মোমেনা চৌধুরী
মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
|
মোমেনা চৌধুরী
বিনোদন
৪০ বছর ধরে অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত মোমেনা চৌধুরী। থিয়েটার, টিভি নাটক ও চলচ্চিত্র- সমৃদ্ধ হয়েছে তার অভিনয়ে। মঞ্চে উপহার দিয়েছেন ‘লাল জমিন’-এর মতো জনপ্রিয় একক নাটক। এবার এই অভিনেত্রী অভিনয়ের পাশাপাশি আসছেন নাট্যকার পরিচয়ে। তার নিজের দল ‘শূন্যন’-এর নতুন নাটক ‘আত্মজয়’ মঞ্চে আসছে আগামী ২৭ ফেব্রয়ারি। এই নাটক ও সমসাময়িক বিষয়ে বার্তা২৪.কমের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মাসিদ রণএকক মঞ্চ নাটক ‘লাল জমিন’-এর দৃশ্যে মোমেনা চৌধুরী
নতুন নাটক ‘আত্মজয়’ নিয়ে কিছু বলুন...
আমরা পুরোদমে রিহার্সেল করছি প্রতিদিন। কারণ নাটকটি আর দুদিন পরেই দর্শকের সামনে আসছে। আগামী ২৭ ও ২৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় জাতীয় শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে নাটকটির প্রদর্শনী হবে। নির্দেশনা দিচ্ছেন শামীম সাগর। ‘আত্মজয়’ আমারই লেখা, পাশাপাশি অভিনয়ও করছি। অভিনয়শিল্পী হিসেবে আরও রয়েছেন তাহমিনা সুলতানা মৌ, রাফিউল রকি, মুনিরা রহমান ও তানভীর সানি। মঞ্চ পরিকল্পনা করেছেন অভিনেতা প্রাণ রায়। শিল্প নির্দেশনা দিয়েছেন নির্মাতা শাহনেওয়াজ কাকলী। কোরিওগ্রাফী করেছেন অভিনেত্রী তাহমিনা সুলতানা মৌ। আলোক পরিকল্পনা করেছেন ঠান্ডু রায়হান আর পোশাক পরিকল্পনা করেছেন সামিউন জাহান দোলা। আমাদের পুরো টিমের নামগুলো এ কারণে উল্লেখ করলাম যাতে সবাই বুঝতে পারেন যারা কাজ করছেন তারা যার যার জায়গায় কতটা দক্ষ। এই প্রমাণিত টিম নিয়ে আমরা আসছি, আশা করছি দর্শক আমাদের নতুন প্রযোজনা পছন্দ করবেন।
নতুন নাটক ‘আত্মজয়’-এর দৃশ্যে রকি ও তাহমিনা সুলতানা মৌ
শিল্পকলা নিয়ে সম্প্রতি একাধিক অস্থিরতার খবর এসেছে। কতোটা দর্শক সাড়া পাবেন এই মুহূর্তে?
আসলেই শিল্পকলায় আগের মতো সেই গমগমে অবস্থাটা আর নেই। আমরা দু’দিনেও ৫০টির বেশি লিফলেট বিতরন করতে পারিনি। কারণ তেমন কোন লোকই এখন শিল্পকলায় আসছে না। দর্শকখরা প্রচণ্ড, তারমধ্যে মঞ্চ নাটকের পৃষ্ঠপোষকতার জন্য সরকারি কিংবা কর্পোরেট থেকে কোন সহায়তা আমরা পাই না। এই নাটকটির জন্যও অনেক কোম্পানির কাছে গিয়েছে, সবাই আমাকে ফিরিয়ে দিয়েছে। তারপরও আমরা নতুন নাটক আনছি, শুধু প্রাণের তাগিদে। জানি না এভাবে আর কয়দিন আমরা শিল্পমনা মানুষ নাটক করতে পারব। প্রতিবারই নতুন নাটক করার সময় ভাবি, আর করবো না। কিন্তু সেটি মঞ্চে আসার পর দর্শকের প্রতিক্রিয়া দেখে আবারও নতুন স্বপ্ন বুনতে শুরু করি। নতুন গল্প, নতুন চরিত্র, নতুন আইডিয়া মাথায় খেলা করতে থাকে। যতোক্ষণ সেটি বাস্তবায়ন না করতে পারি আরাম পাই না!
নতুন নাটক ‘আত্মজয়’-এর পোস্টার
এমন পরিস্থিতিতেও ‘আত্মজয়’-এর গল্পটা দর্শকের সামনে কেন আনতে ইচ্ছে করলো?
এটাই তো শিল্পস্বত্তার তাড়না। আমরা চেষ্টা করি আমাদের সৃষ্টিশীলতার মধ্য দিয়ে সমাজকে এমনকিছু বার্তা দিতে যা খুবই প্রয়োজনীয়। যেমন, আত্মজয়-এর গল্প আত্মহত্যাকে ‘না’ বলা নিয়ে। আমরা দেখছি, বর্তমানে আত্মহত্যা প্রবণতা আগের তুলনায় বেড়েছে। ফেসবুক লাইভে এসে অনেকে আত্মহত্যা করছে। এই চর্চা কিংবা মনেবৃত্তি সমাজের জন্য কি পরিমাণ ভয়াভয় সেটা আমরা সবাই বুঝতে পারি। এ থেকে উত্তরণের হয়তো অনেক পথই আছে, কিন্তু আমি যেহেতু শিল্পী তাই আমার বক্তব্য তুলে ধরতে ও সচেতনতা বাড়াতে নাটককেই বেছে নিয়েছি।
মোমেনা চৌধুরী
দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে অভিনয় করছেন। এ পর্যায়ে এসে নিজেকে কিভাবে মূল্যায়ন করবেন?
অভিনয়জীবন আমাকে যা দিয়েছে সেটার কোন তুলনা হয় না। আমার কোন আক্ষেপ নেই, কোন ক্ষোভ নেই। আমি পুরস্কারের আশায় কিংবা কোন পদ-পদবীর আশায় তো অভিনয়টা করতে আসিনি। এসেছি আমার শিল্পী মনকে তুষ্ট করতে, আমার সমাজচেতনা দর্শকের মধ্যে পৌঁছে দিতে, তাতে যদি একটি মানুষেরও উপকার হয় সেটিই আমার সার্থকতা। এসবের বাইরে দেশের আনাচে-কানাচে এতো মানুষের ভালোবাসা, সম্মান পেয়েছি যা পুরোটাই বাড়তি প্রাপ্তি বলে মনে করি। তবে সামগ্রিকভাবে সংস্কৃতি অঙ্গন নিয়ে বেশ চিন্তিত। আবার কবে থিয়েটার হল কানায় কানায় দর্শকে ভরে উঠবে, আমরা একটু আর্থিকভাবে নিশ্চিন্ত হয়ে কাজ করতে পারব এই চিন্তা করি। তবে আমি আশাবাদী মানুষ, এই অসময় থাকবে না।
মেয়ে নভেরা রহমানকে নিয়ে মোমেনা চৌধুরী
আপনার মেয়ে নভেরা রহমানও অভিনেত্রী। তাকে নিয়ে কিছু বলুন?
প্রথমেই বলতে চাই নভেরার বয়সে আমি ওর মতো এতো জানাশোনা, বোঝা, পরিপক্ক অভিনেত্রী ছিলাম না। আমি যা শিখেছি পুরোটাই কাজ করতে করতে। আর ও তো থিয়েটারের মধ্যেই বড় হয়েছে। এরপর আবার কানাডায় নাটক নিয়েই পড়তে পাঠিয়েছিলাম। সুতরাং এই সাবজেক্টে তার পড়াশুনা আবার চেয়ে অনেক বেশি। সে আমার থেকে অনেক ভালো অভিনেত্রী। তবে সে কতোটা সিরিয়াসলি কাজ করবে তার ওপর নির্ভর করে কতোদূর যাবে। আমি মা হিসেবে সবটুকু সমর্থন দিয়ে চলেছি। যদিও আমরা দুজন ইন্ডিভিজুয়্যাল আর্টিস্ট, ফলে আমরা কি কাজ করবো সে ব্যাপারে নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিই। কিন্তু একটি কাজে ঢোকার পর সেটিকে বেটার করার জন্য একে অপরের পরামর্শ সব সময় নিয়ে থাকি। তবে আমার মধ্যে মা বলে কোন কিছু চাপিয়ে দেবার স্বভাব একেবারেই নেই।
কবি হেলাল হাফিজের জীবনের গল্পে নির্মিত হয়েছে ‘কি যেন ভুলতে চেয়েছিলাম’
বিনোদন
কবি পরিচয়ের বাইরেও প্রয়াত কবি হেলাল হাফিজের আরেকটি পরিচয় হচ্ছে, তিনি ছিলেন একজন তুখোড় প্রেমিক পুরুষ। কিন্তু প্রেমিক হিসেবে তিনি ব্যর্থ। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কাটিয়েছেন ব্যর্থ প্রেমের যন্ত্রণা নিয়ে। চোখে জল আনার মতো জীবনের গল্প রয়েছে তার। সেই গল্পই এবার পর্দায় নিয়ে এলেন নির্মাতা রুবেল আনুশ।
হেলাল হাফিজের জীবনের গল্প নিয়ে তিনি নির্মাণ করেছেন নাটক ‘কি যেন ভুলতে চেয়েছিলাম’। নাটকটিতে হেলাল হাফিজের চরিত্রে অভিনয় করেছেন জুনায়েদ আহমেদ বোগদাদী। তার প্রেমিকার চরিত্রে অভিনয় করেছেন তন্নি মাহমিদ তৃণা।
নাটকে দেখা যাবে- কিশোর হেলাল হাফিজ প্রেম করতেন হেলেন নামে এক কিশোরীর সাথে। নেত্রকোনায় তারা প্রতিবেশী ছিলেন! দারোগার মেয়ের সাথে স্কুল শিক্ষকের ছেলের প্রেম মেনে নেননি দারোগা বাবু। মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দেন এক সিনেমা হলের মালিকের সাথে ঢাকায়। হেলাল হাফিজও চলেন আসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে। তার এক মাত্র কবিতার বই বের হয়। নাম ‘যে জলে আগুন জ্বলে!’ হেলেনের স্বামী বইমেলা থেকে বইটি কিনে হেলেন কে উপহার দেন। হেলেন দেখেন পুরো কবিতার বই জুড়ে কবির আকুতি তাকে না পাওয়ার। হেলেন সে কবিতার বই পড়ার পর মানসিকভাবে আঘাত পেয়ে আস্তে আস্তে পাগল হয়ে যান। স্বামী তাকে তালাক দেয়। নেত্রকোনায় বাবার বাড়ি ফিরে যান হেলেন। তাকে শিকল দিয়ে ঘরে বেঁধে রাখতে হয়।
‘কি যেন ভুলতে চেয়েছিলাম’ নাটকের দৃশ্য
হেলাল হাফিজ মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সেই প্রেমকে বয়ে নিয়ে বেড়িয়েছেন। আর কখনো বিয়ে করেননি তিনি।