করোনা আতঙ্কে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (খুমেক) ১৭৫ জন ইন্টার্ন চিকিৎসক রোগী দেখা বন্ধ করে দিয়েছে। প্রয়োজনীয় পারসোনাল প্রটেকটিভ ইক্যুইপমেন্ট (পিপিই) না থাকায় তারা কর্মবিরতিতে গিয়েছেন বলে জানা যায়।
রোববার (২২ মার্চ) বিকালে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৭৫ জন ইন্টার্ন চিকিৎসক একযোগে ওয়ার্ডগুলোতে রোগী দেখা বন্ধ করে দেয়। এর আগে চিকিৎসা দিতে গিয়ে দুই ইন্টার্ন চিকিৎসক জ্বর সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হলে অন্যদের মধ্যে ভীতি ছড়িয়ে পড়ে। যার কারণে চিকিৎসকরা এ সিদ্ধান্ত নেয়।
হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. হাসান শাহরিয়ার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গত কয়েকদিন ধরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা তাদের পারসোনাল প্রটেকটিভ ইক্যুইপমেন্ট (পিপিই) দাবি করলেও তার ব্যবস্থা হয়নি। এছাড়া বাজারে সংকট থাকায় নগদ টাকা দিয়েও তা কেনা সম্ভব হচ্ছে না। এ অবস্থায় ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসা দিতে গিয়ে দুইজন ইন্টার্ন চিকিৎসক ভাইরাস জনিত রোগে আক্রান্ত হয়। এ কারণে ভাইরাস জনিত রোগে সংক্রমিত হওয়ার আতঙ্কে প্রয়োজনীয় পিপিই ছাড়া কোনো ইন্টার্ন চিকিৎসক ওয়ার্ডগুলোতে চিকিৎসা দিতে যাবে না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিকে হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতির কারণে রোগীদের দুর্ভোগ বেড়েছে। এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
উল্লেখ্য, বর্তমানে খুমেক হাসপাতালে ১৭৫ জন ইন্টার্ন চিকিৎসকই কর্মরত রয়েছেন। সকল ইন্টার্ন চিকিৎসক কর্মবিরতিতে যাওয়ায় ভোগান্তি পোহাচ্ছে রোগীরা।