দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদুল ফিতর। ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে প্রিয়জনদের নিয়ে চাঁদপুরে কেনাকাটায় ব্যস্ত হয়ে পড়ছে নানান শ্রেণি পেশার মানুষ।
জেলা শহরের বিপনি বিতান, হাজীগঞ্জের রয়েল সুপার মার্কেট, জোনাকি শপিং সেন্টার, কাতার কানাডা টাওয়ার ও হকার্স মার্কেটসহ বিভিন্ন মার্কেটে ধুম লেগেছে বেচাকেনার।
প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ঈদের নতুন পোশাক কিনতে শহরে আসেন ক্রেতারা। ক্রেতাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সমাগম প্রবাসী বাংলাদেশি পরিবারের সদস্যদের।
স্বামী-সন্তানসহ পরিবার নিয়ে ঈদের নতুন পোশাক কিনতে শপিং সেন্টার ও বিপনি বিতানগুলোতে ভিড় করছেন নারীরা। অন্যান্য বছরের তুলনায় পোশাকের দাম বেশি হলেও নিজেদের সাধ্যের মধ্যে পরিবারের সদস্যদের জন্য কেনাকাটা করছেন বলে জানান ক্রেতারা।
জেলা শহরের বিপনি বিতানের বিক্রেতা আলমগীর হোসেন বলেন, অন্যান্য বছর দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বা রাষ্ট্রীয় জটিলতার কারণে ব্যবসার অবস্থা খারাপ ছিল। কিন্তু এবছর বেচা-বিক্রি কিছুটা বেড়েছে।
জেলা শহরের কুহিনূর বেগম বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর পোশাকের দাম বেশি। তবুও নিজেদের সাধ্যের মধ্যে পরিবারের সদস্যদের জন্য কেনাকাটা করেছি। শ্বশুর-শাশুড়ি, ছেলে-মেয়েসহ পরিবারে যারা আছে সবার জন্যই কেনাকাটা শেষ।
ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে নারীদের প্রথম পছন্দ পাকিস্তানী থ্রি পিস, লেহেঙ্গা, ওয়ান পিস, টু পিস, কূর্তিসহ নানান ধরনের পোশাক। বড় বড় শপিংমল গুলোতে ক্রেতাদের মধ্যে সবথেকে বেশি প্রবাসীদের স্ত্রী-সন্তানরা।
এদিকে ঈদুল ফিতরকে ঘিরে অসাধু ব্যবসায়ীরা যাতে ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা না করতে পারে সেজন্য নিয়মিত বাজার পরিদর্শন করছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরান।
ঈদুল ফিতরের পোশাক সামগ্রীর পাশাপাশি জুতা, প্রসাধনীসহ যাবতীয় পণ্যের দোকানে ভিড় করছেন ক্রেতারা। ভোক্তাদের সঙ্গে প্রতারণা না করে ন্যায্য দামে ব্যবসায়ীরা বেচা বিক্রি করবে প্রত্যাশা তাদের।