সহজলভ্য বাসের টিকিট, কাউন্টারে নেই বাড়তি চাপ

, জাতীয়

স্টাফ করেস্পন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, ঢাকা |

আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে অগ্রীম টিকিট বিক্রি করছে বাস কাউন্টারগুলো। রাজধানীর শ্যামলী, কল্যাণপুর ও গাবতলী এলাকা থেকে দেশের উত্তর ও দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলগামী বাসের টিকেট বিক্রি ইতোমধ্যে প্রায় শেষ। অনলাইন ও সরাসরি দুইভাবেই টিকিট কাটতে পারায় কমেছে যাত্রী ভোগান্তি।

সোমবার (১৭ মার্চ) সকালে সরেজমিনে রাজধানীর শ্যামলী, কল্যাণপুর ও গাবতলী এলাকার বিভিন্ন টিকিট কাউন্টার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। এসময় অধিকাংশ টিকিট কাউন্টার ছিলো ফাঁকা। টিকিট বিক্রিও প্রায় শেষ বলে জানান অনেক বিক্রেতা।

এদিন, শ্যামলী পরিবহন, শ্যামলী এন আর পরিবহণ, এস আর পরিবহন, রয়েল পরিবহন, আগমনী পরিবহন সহ আরও বেশ কিছু টিকিট কাউন্টার ঘুরে দেখা যায়, অনেকটা অলস সময় পার করছেন বিক্রেতারা। কিছু কিছু যাত্রী আসলেও তার অধিকাংশই তাৎক্ষণিক যাতায়াতের জন্য টিকিট নিতে আসছেন। এছাড়া ফাঁকা ছিলো টিকিট কাউন্টারগুলো।

টিকিট বিক্রি কেমন হচ্ছে জানতে চাইলে টেকনিক্যাল শ্যামলী পরিবহনের ম্যানেজার শাহজাহান বার্তা২৪.কম কে বলেন, আমাদের টিকিট বিক্রি সব শেষ। ৩৬ সিটের গাড়ির আমরা ১৮ সিট পাইছি। বাকি ১৮ সিট বিক্রি হইছে অনলাইনে। গত ২/৩ দিনেই আমাদের যত টিকিট ছিলো সব শেষ।

এস আর পরিবহনের সিনিয়র ম্যানেজার মো. আমিনুন্নবী বার্তা২৪.কম কে বলেন, আমরা গত এক সপ্তাহ ধরে ২৫-২৯ মার্চের টিকিট বিক্রি করছি। চাহিদা এবার কিছুটা কম মনে হচ্ছে। এখন পর্যন্ত আমাদের ৬০-৬৫ গাড়ির অর্ধেক টিকিট বিক্রি হইছে। টিকিট সহজেই পাওয়া যাচ্ছে তাই কাউন্টারে এখনো সেভাবে যাত্রীরা আসছে না।

তবে ভিন্ন সুর ছিলো আগমনী পরিবহনের ম্যানেজারে মতি মিয়ার কথায়। তিনি অনেকটা আক্ষেপের সুরেই বার্তা২৪.কম কে বলেন, এবার আমাদের টিকিট বিক্রি নাই বললেই চলে। অন্যান্য বছর এই সময় টিকিট বিক্রি প্রায় শেষ হয়ে গেলেও এবার অর্ধেকের মত টিকিট বিক্রি হইছে। সামনে যেহেতু আরও কিছুদিন আছে ঈদ যাত্রার তাই আশা করি বিক্রি শেষ হয়ে যাবে।

২৫ মার্চের জন্য রংপুরের টিকেট কিনেছেন আনিসুর রহমান। অন্যান্য সময়ের তুলনায় টিকিটের দাম কিছুটা বেশি অভিযোগ করলেও কোন ভোগান্তি ছাড়াই টিকিট পাওয়ায় কোন সমস্যা লাগেনি তার কাছে। আনিসুর রহমান বার্তা২৪.কম কে বলেন, এমনিতে রংপুরের টিকিট ৭৫০-৮০০ টাকা হলেও আজ কিনেছি ৮৬০ টাকায়।

তবে দাম বেশি রাখার অভিযোগ অস্বীকার করে টিকিট বিক্রেতারা বলছেন, ঈদ বা উৎসব ছাড়া আমরা যাত্রী কম থাকায় বিআরটিএ নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে কম রাখা হয়। কিন্তু এখন যেহেতু যাত্রীর চাপ বেশি তাই বিআরটিএ নির্ধারিত ভাড়ায় রাখছি। এই কারণে অনেক যাত্রীর কাছে মনে হতে পারে যে, টাকা বেশি রাখছি কিন্তু আসলে তা না। অন্যান্য সময় আমরা টিকিটের দামের চেয়ে কম রাখলেও এখন নির্ধারিত ভাড়া রাখছি।

আগমনী পরিবহন থেকে রংপুর টিকিট নিয়েছেন আব্দুল ওয়াহাব। আগে আসলে ভিড় থাকতে পারে তাই কিছুটা দেরি করেই আসলেন তিনি। তবে এদিন কাউন্টারে কোন ভিড় না থাকায় স্বস্তিতেই টিকিট নিতে পারছেন তিনি। আব্দুল ওয়াহাব বার্তা২৪.কম কে বলেন, এখন ত কোন ভিড় নাই। এসেই টিকিট পেয়ে গেলাম। কোন সমস্যা হয়নি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর