কুমিল্লায় ছুটির দিনে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা |

কুমিল্লায় ছুটির দিনে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা

শুক্রবার ছুটির দিনে রীতিমতো জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে কুমিল্লার মার্কেট গুলো। সকাল থেকেই পুরো এলাকাজুড়ে তৈরি হয়েছে বিভিন্ন বয়সী মানুষের ভিড়। আসন্ন ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে পরিবার-পরিজন ও প্রিয়জনের মুখে হাসি ফোটাতে নতুন কাপড় কিনতে সবাই ভিড় করছেন শাড়ি, থ্রিপিস, বাচ্চাদের পোশাক, পাঞ্জাবি, পায়জামা এবং টিশার্টসহ অন্যান্য পোশাকের দোকানগুলোতে। তবে মার্কেটগুলোতে পুরুষ ক্রেতার তুলনায় নারী ক্রেতার সংখ্যাই বেশি।

নতুন পোশাকে ঈদ উদযাপনে কেনাকাটায় জমে উঠেছে কুমিল্লার ঈদ বাজার। সকল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত তরুণ-তরুণী সহ নানান বয়সী মানুষের পদচারনায় মুখর নগরীর বিপনী বিতানগুলো। পছন্দের পোশাক কিনতে ঘুরছেন এক মার্কেট থেকে অন্য মার্কেটে। বিশেষ করে কুমিল্লা নগরীর শপিংমল ও বিভিন্ন মার্কেটের থ্রি-পিস কর্নারগুলো রোজার শুরু থেকেই ক্রেতাদের আকর্ষণে এগিয়ে রয়েছে।

ভারত সীমান্তবর্তী এ জেলার ফ্যাশন সচেতন তরুণীদের পোশাকের মধ্যে বরাবরের মতো এবারও পছন্দের শীর্ষে রয়েছে ভারতীয় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পোশাক। ক্রেতা-বিক্রেতাদের সমাগমে দিনরাত যেন একাকার হয়ে গেছে। তবে প্রতিটি স্থানেই পুরুষের তুলনায় নারীদের উপস্থিতি বেশি লক্ষ্য করা গেছে।

নগরীর কান্দিরপাড়ের অভিজাত শপিং মল প্লানেট এসআর, সাত্তার খান কমপ্লেক্স, খন্দকার হক টাওয়ার, ময়নামতি গোল্ডেন টাওয়ার, আনন্দ সিটি সেন্টার, কিউ আর টাওয়ার সহ ক্যাটসআইসহ ব্র্যান্ডের শোরুমগুলোতে হরদম চলছে কেনাকাটা।

বিক্রেতারা বলেন, ঈদ সামনে রেখে প্রতি বছরই তাদের বাড়তি বিক্রির আশা থাকে। এবারও তেমনটিই আশা করছেন তারা। তবে রমজানে দিনের তুলনায় সন্ধ্যার পর থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ভিড় বেশি থাকে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।

বিক্রেতারা আরও বলেন, ফুটপাতে দোকান ভাড়া না থাকায় কম দামে পণ্য বিক্রি করতে পারেন তারা। অপেক্ষাকৃত কম দামে পণ্য পেয়ে ফুটপাতের মার্কেটে ভিড় করছেন অনেক ক্রেতা।

কুমিল্লার রেসকোর্স থেকে কেনাকাটা করতে খন্দকার হক টাওয়ারে আসা ফাহিমা আক্তার বলেন, প্রতি বছর নিজের পরিবার এবং আত্মীয়স্বজনের জন্য খন্দকার মার্কেট থেকে কেনাকাটা করি৷ কিছুদিন পর ভিড় বেড়ে যাবে। তাই আগেই কেনাকাটা সেরে ফেললাম।

উর্মিলা প্রীতি নামে এক ক্রেতা বলেন, আগেভাগে বাড়ি চলে যাব। সেজন্য ছুটির দিন বেছে নিয়েছি কেনাকাটা করার জন্য। সকালেই এসেছি। তারপরও অনেক ভিড়ের মধ্যে পড়তে হয়েছে। বিক্রেতারা এমনিতেই দাম বাড়িয়ে বলেন। এরপর ঈদের এখনো অনেক সময় বাকি। সেজন্য তারা দাম কমাতে চাচ্ছেন না। প্রতিটি জিনিসই দামাদামি করে কিনতে হচ্ছে।

নুসরাত জাহান নামে এক ক্রেতা বলেন, আগামী সপ্তাহে গ্রামের বাড়ি চলে যাবো। এজন্য কাপড় কিনতে আসা৷ পরিবারের লোকজনের জন্য কিনে নিয়ে যাবো৷ এখানে একসঙ্গে অনেক দোকান থাকায় পছন্দমতো কেনাকাটা করা যায়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর

right arrow