রাজবাড়ীতে রিংকু হত্যা মামলায় ৪ জন আসামি স্বেচ্ছায় আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। পরে রাজবাড়ীর ১নং আমলী আদালতের বিচারক তামজিদ হাসান তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ প্রদান করেন।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজবাড়ী কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মোঃ জসিম উদ্দিন। এর আগে সোমবার (৩ মার্চ) তারা আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
আসামীরা হলো- রাজবাড়ী পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড বিনোদপুর গ্রামের আনোয়ারের ছেলে মোঃ মেহেদী (২৭), একই ওয়ার্ডের বিনোদপুর গ্রামের মোঃ আক্কাসের ছেলে মোঃ শিমুল (৩২), বিনোদপুর গ্রামের নাসির শেখের ছেলে রাজবাড়ী সরকারী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ রাহাত (২৭) ও আঃ রহমান গেদার ছেলে রুহুল আমিন (৩৫)। এরা সবাই হত্যা মামলার চার্জশীটভুক্ত আসামি। বর্তমানে চার্জশীটভুক্ত নাহিদ (২৫) ও রকি সেখ (২৩) পলাতক রয়েছে।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উল্লেখিতদের সাথে নিহত রিংকুর পরিবারের দীর্ঘদিনের মনোমালিন্য ছিল। এ মনোমালিন্যকে কেন্দ্র করে ২০২৩ সালের ২৬শে জুন রাত আনুমানিক ১টার দিকে রিংকু মেছোঘাটা বাজার থেকে বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা হলে বিনোদপুর ৯নং ওয়ার্ডের জনৈক মতিন মন্ডলের বাড়ীর সামনের পাকা রাস্তার ওপর পৌঁছালে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা আসামিরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে রিংকুর ওপর হামলা চালায়। পরে সে জীবন রক্ষার জন্য চেঁচামিচি করলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
পরে তার অবস্থা আশংকাজনক হলে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও তার অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে রেফার করে। পরে রিংকু শেখ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
এ ঘটনায় রিংকু শেখের স্ত্রী মোছাঃ তাছলিমা বেগম বাদী হয়ে ৮জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ১০-১২ জনকে আসামি করে রাজবাড়ীর ১নং আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে রাজবাড়ী সদর থানাকে এফআইআর করতে নির্দেশ প্রদান করেন। পরে রাজবাড়ী সদর থানায় ২০২৩ সালের ২৮ আগস্ট মামলাটি এফআইআরভুক্ত হয়। সদর থানার মামলা নং-৪৯, তাং- ২৮/৮/২০২৪ইং। এরপর তদন্ত শুরু করে থানা পুলিশ। পরে ২০২৪ সালের ২৮ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের সাথে সংশ্লিষ্ট থাকায় ৬ জন আসামিকে চিহ্নিত করে পুলিশ চার্জশীট প্রদান করে। এরপর থেকেই আসামিরা পলাতক ছিল।
রাজবাড়ী কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন, রিংকু হত্যা মামলার ৪জন আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।